বন্দুকের নলে ভালোবাসা আটকে রাখা যায় না: রুমিন ফারহানা
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, গত ১৫ বছর আমরা বীভৎস সময় পার করছি। আমরা ভোট দিতে পারি নাই, কথা বলতে পারি নাই। অসংখ্য নেতা-কর্মী হারিয়েছি। অনেককে গুম করা হয়েছে। কিন্তু আর না, পরিষ্কার বলে দিতে চাই, দেশের যেখানেই গণসমাবেশ হয়েছে, সেখানেই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আপনারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন, এটা ভালোবাসা। বিএনপির প্রতি ভালোবাসা, দেশের প্রতি ভালোবাসা। এ ভালোবাসা বন্দুকের নল দিয়ে আটকে রাখা যায় না।
তিনি বলেন, বিএনপি ভালো থাকলে বাংলাদেশ ভালো থাকে, বিএনপি খারাপ থাকলে দেশ খারাপ থাকে। কিন্তু সামনে আমি আলো দেখছি। মানুষ আর এ সরকারকে চায় না, তাই শত প্রতিবন্ধকতা দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যায় না।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) কুমিল্লার টাউন হল মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচনের নামে ২০১৪ সালে তামাশা করেছেন, '১৮ সালে তামাশা করেছেন। কিন্তু ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনো তামাশা হবে না। আমরা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করব। এই মুহূর্তে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ দেশে ইভিএমে কোনো ভোট হবে না। ভোট হবে ব্যালটে। সারা পৃথিবীতে ব্যালটে হয়। আমরা ইভিএমে ভোট দেব না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিজের দেশের মানুষের উপর, ভাইদের উপর বন্দুক তাক করবেন না। র্যাবের উপর স্যাংশন আসছে। আপনারা সে পথে আগাবেন না।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়াসহ কুমিল্লা সাংগঠনিক বিভাগের শীর্ষ নেতারা।
গণসমাবেশ পরিচালনা করেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উদবাতুল বারী আবু এবং সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু।
এসজি