‘১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নয়াপল্টনেই হবে’
কুমিল্লা, রাজশাহী ও ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ ঘোষিত স্থানেই হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঢাকার বিভাগীয় সমাবেশ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে করার অনুমতি চেয়ে গত সপ্তাহে বিএনপি ঢাকা মেট্রোপলিটনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছে।
সোমবার (২১ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একটা কথা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, কুমিল্লায় ২৬ নভেম্বর, রাজশাহীতে ৩ ডিসেম্বর এবং ১০ ডিসেম্বর ঢাকায়। এই বিভাগীয় সমাবেশগুলো প্রত্যেকটি ঘোষিত স্থানেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত হবে যদি ন্যূনতম শুভ বুদ্ধির উদয় হয় এই সমাবেশগুলোতে বাধা প্রদান না করা এবং নিজেদেরকে এভাবে একেবারে হাস্যকর অবস্থায় না নিয়ে যাওয়া। যখন তারা বলে যে, আমরা সুন্দর ব্যবস্থা করছি, সমাবেশকে সমর্থন করছি, সহযোগিতা করছি তখন লোকে হাসে। মানুষজন তো প্রতিটা খবর রাখে। এখন তো ওই দিন নেই যে, সরকার যা বলে সব বিশ্বাস করতে হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ মুহূর্তের মধ্যে সব খবর পেয়ে যায়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭টি সমাবেশে জনস্রোত দেখে সরকার ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গোটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। যেসব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে সেখানে হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বাকি তিনটা সমাবেশে যাতে লোকগম না হয় সেজন্য তারা মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে এখন মহানগরীতে আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নেতারা কেউ বাসায় থাকতে পারছেন না।’
দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ‘আবার সেই জঙ্গি নাটক’ কি না জনগণের কাছে প্রশ্ন উঠেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘কী খোঁড়া যুক্তি? স্প্রে করে আপনারা জঙ্গি, কনভিক্টেড জঙ্গি। তাকে নাকি একজন পুলিশ সদস্য নিয়ে আসতেছিল। এটা কেমন করে হতে পারে? অসম্ভব ব্যাপার। সেই ক্ষেত্রে জনগণের কাছে প্রশ্ন জেগেছে আবার যে, আবার সেই জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করা হচ্ছে কি না। যাতে করে তাদের আবার ক্ষমতায় টিকে থাকা স্থায়ী হতে পারে, কিছুটা সময় পায়। আমরা জনগণের প্রশ্নটাই তুলে ধরলাম। আমরা বিশ্বাস করি এসব অশুভ চক্রান্ত থেকে সরকার সরে দাঁড়াবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা গুলি করে নয়ন মিয়াকে হত্যা করতে পারেন, শাওনকে হত্যা করতে পারেন। আর আদালতে আপনাদের জঙ্গি উধাও হয়ে যায় তখন আপনারা কিছুই করতে পারেন না। আমরা তো আদালতে যাই নিয়মিত, হাজিরা দিতে হয় আমাদের। আমরা তো দেখি চতুর্দিকে পুলিশ। সেখানে এন্ট্রি, এক্সিট সবই নিয়ন্ত্রিত।’
তিনি আরও বলেন, আরেকটা শুরু করেছিল অগ্নিসন্ত্রাস। খুব একটা হালে পানি পায়নি। এটা খুব বেশি নেয়নি মিডিয়া। কিছুদিন হলো জঙ্গি জঙ্গি শুরু করেছে। তারপর উধাও করে দিল। তা আবার কারা? অভিজিত হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, যাদের শাস্তি হয়েছে। মার্কিন নাগরিক.. বিষয়টা হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। এটা হতেই পারে না। আজকে জনগণের কাছে এই প্রশ্নটা এসেছে, কীভাবে আদালত থেকে আসামি ছিনতাই হয়ে যেতে পারে। তাও অভিযুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
এমএইচ/এসজি