‘বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়ি’
বাংলাদেশ এখন তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে খুবই বিপদগ্রস্ত। এমন কোনো জিনিস নাই যার দাম বাড়েনি। সবকিছু সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। দেশের মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নেই।’
শনিবার (১৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী সংগ্রাম দলের উদ্যোগে বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি, এবং জ্বালানি ও নৃত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে হত্যা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ করেছিল জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়া। শিল্প, কৃষি, শিক্ষাসহ দেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নাই যেখানে খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমান উন্নয়নের ছোঁয়া দেয়নি। অথচ বর্তমান দেশের অর্থনীতির অবস্থা এতটাই বিপর্যয়ে যে সরকারিভাবে প্রেস নোট জারি করে এই এলসি বন্ধ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদপত্রে জানতে পেরেছি প্রশ্নপত্রের জন্য কাগজ নাই, ব্লাক বোর্ডে প্রশ্ন লিখে দিচ্ছে আর ছাত্রদেরকে সেই প্রশ্নের উত্তর বাড়ি থেকে লিখে নিয়ে আসতে বলছে। এক ভয়াবহ চিত্র। শিক্ষা ক্ষেত্রে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমল থেকে প্রাইমারিতে বই খাতা কলম শিক্ষার উপক্রম ফ্রি দেওয়া হতো। এবার কাগজের অভাবে সব বন্ধ হয়ে গেছে।’
দুদু বলেন, বিএনপির বিভাগীয় ছয়টি সমাবেশ হয়েছে। আজ সিলেটে হচ্ছে। অবৈধ সরকার এসব সমাবেশে জনগণ যাতে কম হয় তার জন্য বাস-লঞ্চসহ সবকিছু বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয় তথাকথিত ব্যারিকেড দিয়ে জনগণকে আটকানোর চেষ্টা করছে। তারপরেও জনগণকে তারা থামাতে পারেনি।
সমাবেশ গুলো জনসমুদ্র পরিণত হয়েছে কোনো কোনো জায়গায় চার দিন ধরে সমাবেশ হয়েছে। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ। এই সমাবেশে উত্তাল তরঙ্গের ন্যায় জনসমুদ্র পরিণত হবে। জনগণকে কোনোভাবে আটকাতে পারবে না।
আমরা মনে করি এই সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে রাস্তায় নেমে আসতে হবে। এ ছাড়া, এই স্বৈরতন্ত্রের হাত থেকে বাঁচার কোনো পথ আছে এটা মনে করি না। আমরা মনে করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করতে পারি, যোগ করেন তিনি।
এমএমএ/