সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ন্যায়সঙ্গত: রিজভী
সরকারের বিরুদ্ধে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রকে ন্যায়সঙ্গত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জাতির উদ্দেশ্য দেওয়া প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আপনি বলেছেন ২০২২ সাল হবে উন্নয়নের মাইলফলক তাহলে গণতন্ত্রের কী হবে? বাক স্বাধীনতার কী হবে? সত্য কথা বলতে গিয়ে অনলাইন এক্টিভিস্ট যাদেরকে গুম করা হয়েছে, যাদেরকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করেছেন তাদের কী হবে? আজ যে শিশু জন্ম নিচ্ছে তার মাথাপিছু ঋণ ৮৯ হাজার টাকা। অথচ এটা যে ঋণের মাইলফলক, গুমের মাইলফলক হবে, এটা যে বন্ধুকযুদ্ধের মাইলফলক হবে। কতজন যে তাদের গুমের শিকার হবে তা বলা মুশকিল।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘ষড়যন্ত্র হবে কেন? এদেশের শিশু থেকে বৃদ্ধ, যারা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিশ্বাস করে যারা মুক্ত কণ্ঠে কথা বলতে চায় তারা সবাই চায় এই মুহূর্তে আপনার (প্রধানমন্ত্রী) পদত্যাগ। আপনার বিরুদ্ধে দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র হবে কেন? একজন রক্তপিপাসু দানব যদি রক্তপান করতে করতে রাস্তা দিয়ে যায় তাহলে জনগণ আঘাত করে চসেটা কী অন্যায়? সেটা অন্যায় নয়। আজকে এই রক্ত পিপাসু সরকার, তার বিরুদ্ধে যদি দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েও থাকে ষড়যন্ত্র ন্যায়সঙ্গত বলে মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘বাহ ! প্রধানমন্ত্রী আপনি সকল কিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যা খুশি তাই বলতে পারেন। আপনি দিনের ভোট রাতে করেন? যদি আপনার উপর জনগণ আস্থা রেখে তাহলে জনগণের উপর আস্থা রাখছেন না কেন? বরং আপনি ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। কারণ আপনাকে তো মিথ্যার উপরই ভর করতে হবে। অপপ্রচারের উপর নির্ভর করতে হবে, এছাড়া কোনো উপায় নেই।’
রবিবার ৯ জানুয়ারি দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্ট নামক সংগঠনের এক মিলাদ মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘এটা জুলুমের আইন করা হয়েছে। বিরোধী দলের কোনো নেতা আওয়ামী লীগের নামে সকালে মামলা করলে বিকালে মামলা খারিজ হবে। আর আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বিএনপির কারও বিরুদ্ধে মামলা করলে তাকে আদালতে হাজির হতে হবে, পুলিশ গ্রেফতার করবে, কারাগারে পাঠাবে।জামিনের জন্য বারবার আবেদন করা হলেও জামিন দিবে না। সুতরাং প্রযুক্তি যদি খারাপ লোকের হাতে থাকে তাহলে সমাজ ও দেশের জন্য সর্বনাশ।’
মিলাদ মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম, কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক ওবায়দুর রহমান টিপু প্রমুখ।
এমএইচ/