বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রিজার্ভ ফাঁকা করে অর্থ লুটেছে সরকার: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানিটিব্যাগে খুঁজলেও জনগণের টাকা পাওয়া যাবে। কিন্তু মানুষ বাজার করতে পারে না। দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নিজেই।’

সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, সরকার তার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতেই তারেক-জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। জনদৃষ্টি ঘোরাতে এই মামলা দেওয়া হয়েছে। মরন কামড় দিতে দেওয়া হবে না। নড়বড়ে মসনদ ধরে রাখার শেষ চেষ্টায় সরকার।

তিনি বলেন, আপনাকে প্রকাশ্যে রাজপথে মানুষ মোকাবিলা করবে। তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ। তাদের উদ্বেল অভিযাত্রায় মিছিলে মিছিলে আপনার পদত্যাগের ধ্বনি উচ্চারিত হচ্ছে। আপনি বরং আপনার প্রাসাদে কাশিমবাজার কুঠি নির্মাণ করেছেন। আপনি সেখানে বসে বিশ্বাসঘাতক ঘষেটি বেগমের ভূমিকা পালন করছেন। আপনি দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্রকে হরণ করেছেন। ধ্বংস করেছেন। আপনি ঘষেটি বেগমের চেয়েও বড়। আপনার বিরুদ্ধে মানুষ প্রকাশ্যে মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে। সেজন্যই মসনদকে উল্টে পড়া থেকে শেষবারের মতো ধরে রাখার চক্রান্ত করছেন।

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দল আয়োজিত বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ হয়।

রিজভী বলেন, অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলক আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যিনি অনেক দূরে থেকেও জাতিকে সুসংগঠিত করছেন। সেই নেতাকে পরিকল্পিতভাবে টার্গেট করেছেন শেখ হাসিনা। শুধু তাকে নয়, এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে, কত নিষ্ঠুর ও কত অমানবিক তার উদাহরণ হলো জোবাইদা রহমানের নামেও মিথ্যা ও চক্রান্তমূলক মামলা দিয়েছেন, যার রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, মানুষের হাতে টাকা নেই। তো টাকা গেল কোথায়? রিজার্ভ তলানিতে কেন। চাল-ডাল, আটা, তেল কিনতে ডলার নেই কেন? এই ডলার গেল কোথায়। আমরা যদি আপনাদের লোকের পকেট ও ভ্যানিটি ব্যাগ হাতড়াই তাহলে ডলার মিলবে। সামিট গ্রুপকে কত টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিয়েছেন। এই সংকটের দিকে কে ঠেলে দিয়েছে। আপনি দিয়েছেন। কারণ আপনার দেশের প্রতি দরদ নেই। আপনার দরদ ছাত্রলীগ-যুবলীগ আর আপনার স্বজনদের প্রতি। তা না হলে তো গণভবনের পুকুরে চিতল মাছ ধরে নিজের বোনকে দেখাচ্ছেন যে দেশে কোনো সংকট নেই। সেই মাছ খেয়ে কাটা ফেলে দেবেন রিক্শাওয়ালার দিকে। এই হচ্ছে আপনার মানসিকতা।

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদের পরিচালনায় এসময় মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, নায়াবা ইউসুফ, শাহিনুর নার্গিস, মিসেস শামীমা রাহিম সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসএন

Header Ad
Header Ad

৩২ নম্বরের বাড়িতে ভাঙচুর জনমনে গভীর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ: বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা

৩২ নম্বরের বাড়িতে ভাঙচুর জনমনে গভীর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ: বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনাকে "অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত" বলে উল্লেখ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে তারা দাবি করেছে, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে যে গভীর ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ছয় মাসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে কোনো আক্রমণ বা ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। তবে বুধবার রাতে পলাতক শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই ঘটনা ঘটে।

সরকারের দাবি, শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি অবমাননাকর ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন। এতে জনগণের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এছাড়া, অভ্যুত্থানের আগে দুর্নীতি ও নিপীড়নের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও একই হুমকি-ধমকির ভাষায় বক্তব্য দিচ্ছেন এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিচ্ছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা, যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি, তিনি যদি বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকেন, তাহলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।

বিবৃতিতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, তাদের ভূখণ্ড যেন বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির কাজে ব্যবহৃত না হয় এবং শেখ হাসিনাকে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছে, জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের বিচার পুরোদমে চলছে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।একইসঙ্গে, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা সরকার খতিয়ে দেখছে।

সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় ফজলুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে পাঁচজন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম ও ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এই মামলায় আরো ১১জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈকত ইলিয়াস কবির। ফজলুর রহমান রাইগাঁ গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, রাইগাঁ গ্রামের তছির উদ্দিনের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৫০), আ: সালাম (৬০), আবুল কালাম আজাদ (৫৫), আ: সামাদের ছেলে আশরাফ (৪৫) ও আতুরা গ্রামের সুবিদ আলী সোনারের ছেলে ইব্রাহিম (৬০)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালের এপ্রিল মাসে ২৪ তারিখ দুপুরে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ গ্রামে আব্দু সাত্তারের জমির পাশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ১৮ থেকে ২০জন ফজলুর রহমানকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। এতে ঘটনাস্থলে মারা যায় ফজলুর রহমান। ঘটনার দিনই তার স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করে ১৭ জনার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।

পরে সিআইডি পুনরায় তদন্ত করে ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আদালতে। এরপর দীর্ঘদিন ধরে চলা এই মামলার ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ১৯ আসামীর মধ্যে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। বাকি ১১জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। আর তিনজন আসামি মামলার বিচার চলাকালে মারা যায়।

Header Ad
Header Ad

ভারতের মেঘালয়ে ৯ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, উদ্ধার ভুয়া আধার কার্ড ও মোবাইল

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পুলিশ বৈধ নথিপত্র ছাড়া প্রবেশের অভিযোগে ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ওয়েস্ট গারো হিলস জেলায় একটি ভ্যানে ভ্রমণ করার সময় তাদের আটক করা হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল ফোন, বেশ কয়েকটি সিমকার্ড, ভারতীয় মুদ্রা এবং ভুয়া আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশ দুইটি রিকশা ভ্যানও জব্দ করেছে।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ৯ বাংলাদেশির ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। মেঘালয়ে প্রবেশে সহযোগিতা করার অভিযোগে তিন ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে, গত সপ্তাহে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মুম্বাইয়ের ঘাটকোপার এলাকা থেকে আরও ৯ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে, তারা যে নথিপত্রের ভিত্তিতে সেখানে বসবাস করছিলেন, সেগুলো ভুয়া ছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ও ভুয়া নথিপত্র ব্যবহারের অভিযোগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সম্প্রতি ধরপাকড় জোরদার করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৩২ নম্বরের বাড়িতে ভাঙচুর জনমনে গভীর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ: বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁয় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
ভারতের মেঘালয়ে ৯ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার, উদ্ধার ভুয়া আধার কার্ড ও মোবাইল
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে মিলল রহস্যময় আয়নাঘরের খোঁজ!
শিবলী রুবাইয়াতের জামিন শুনানি করলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা!
প্রযুক্তির জোয়ারে ছাপা পত্রিকা ও রেডিওর জনপ্রিয়তা কমছে: বিবিএস জরিপ
‘স্যার’ সম্বোধন না করায় গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার হুমকি দিলেন এসপি!
কাশ্মীর ইস্যুতে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি, ভারতের শক্তিকে ভয় পায় না পাকিস্তান: সেনাপ্রধান আসিম মুনির
‘কাউয়া কাউয়া’ স্লোগানে নোয়াখালীতে ওবায়দুল কাদেরের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বর থেকে রড, দরজা যে যা পাচ্ছেন নিয়ে যাচ্ছেন
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাড়িতে আগুন
প্রাথমিকের ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল
সার্বিক পরিস্থিতির জন্য শেখ হাসিনা দায়ী: জামায়াতের আমির
ইয়াশা সাগরকেও টাকা দেয়নি, অন্যদিকে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ চিটাগাং কিংসের
রাজধানীতে ২৬১০ গোলাপী বাস চলাচল শুরু, উঠতে হবে টিকিট কেটে
ডেভিড বিসলির সঙ্গে জাইমাসহ বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ
চুয়াডাঙ্গায় শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর
‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় ধানমন্ডি ৩২-এ নারীসহ দুজনকে মারধর
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন সাংবাদিক মনির হায়দার
হাসনাত আবদুল্লাহর বাসভবন গুড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা