স্বল্প সময়ের মধ্যে অসুরকে পরাজিত করা হবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘একটা কথা খুব জরুরি; সেই কথাটি হচ্ছে গণতন্ত্র যদি না থাকে তাহলে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। একটা কথা আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে; আমরা এখন বিপদে আছি, একটা ভয়ঙ্কর সংকটে আছি।’
তিনি বলেন, ‘সেই সংকট হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের সংকট, স্বাধীনতা রক্ষার সংকট ও গণতন্ত্রের সংকট। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমাদের চলমান গণতান্ত্রিক যে আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনে কিন্তু লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ জড়িত হচ্ছে। অর্থ্যাৎ সবাই চায় এই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক; মানুষের অধিকারগুলো সুরক্ষিত হউক।’
সোমবার (৩১ অক্টোবর) গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
ফখরুল ইসলাম বলেন, 'আমরা সবাই বিশ্বাস করি অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেইভাবে তারা জেগে উঠবে এবং ভয়াবহ অসুরকে তারা পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে এই দেশে সুখী সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’
দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্কাইপিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে আমার দেশ সংকটে, আমার জাতি সংকটে। ১৯৭১ সালের কথা আমরা বলি; স্বাধীনতার চেতনার কথা বলা হয়। কিন্তু সেই স্বাধীনতার চেতনাটা কি ছিল? স্বাধীনতার চেতনা ছিল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, প্রত্যেকটি মানুষের অধিকারকে সংরক্ষিত করা। সাম্য-মানবিক-মূল্যবোধ-ন্যায় বিচার এবং একটি কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। সেটি আজকে সবচেয়ে বড় গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আমাদের সামনে যিনি বসতেন নেতৃত্ব দিতেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রথমে কারা অন্তরালে এবং গৃহন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আজকে সরাসরি উপস্থিত থাকার কথা। তিনিও মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হয়ে ৮ হাজার মাইল দূরে নির্বাসিত আছেন। কিন্তু সৌভাগ্য তিনি ৮ হাজার মাইল দূর থেকেও যেভাবে নির্দেশনা দিচ্ছেন।দলকে পরিচালনা করছেন; বাংলাদেশের মানুষকে জাগিয়ে তুলছেন।'
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
এমএইচ/এমএমএম/