সংকট সৃষ্টির দায়ভারে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত: বিএনপি
সরকারের গৃহিত তথাকথিত মেগা ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ, উচ্চ সুদে ঋণ গ্রহণ, ব্যক্তিস্বার্থে ঋণ গ্রহণ অর্থনীতিতে গভীর সংকট সৃষ্টির দায়ভার নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়। দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অর্থ বরাদ্দ না থাকায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি কার্যক্রম ‘বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও তালাকপ্রাপ্ত নারীদের ভাতার জন্য নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করায় সরকারের তীব্র সমালোচনা করে দলটি। সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠির সবচেয়ে অসহায় অংশ বয়স্ক ও বিধবা, স্বামী নিগৃহীত মহিলা। বর্তমান মূল্যস্ফীতির সময় এই কর্মসূচিতে নতুন তালিকাভুক্তি বন্ধ করা অমানবিক। অবিলম্বে নতুন তালিকাভুক্তি শুরু করার দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সীমাহীন দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও অব্যস্থাপনার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের মদদপুষ্ট গুটিকতক কোম্পানিকে সব সুবিধা প্রদান, ইনডেমনিটি আইন প্রণয়ন, দেশে গ্যাস উত্তোলনে অনীহা, স্পট মার্কেট থেকে উচ্চমূল্যে এলএনজি ক্রয় এবং সর্বোপরি অর্থ লুঠ করে বিদেশে পাচারের কারণে রিজার্ভ এর পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। সরকারের কোথাও জবাবদিহি না থাকায় নজিরবিহীন দুর্নীতি চরম পরিস্থিতির দিকে নিয়ে গেছে। জ্বালানি উপদেষ্টার মন্তব্য বিএনপির কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন ও সেমিনারের বক্তব্যকেই প্রতিষ্ঠিত করেছে। জ্বালানির অপ্রাপ্যতা, বিদ্যুতের সরবরাহে চরম বিপর্যের সব দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
পদে পদে বাধা, হামলা, পুলিশের গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য খুলনা বিভাগের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়। দুই দিন আগে সরকারি যোগসাজসে স্থলপথ ও জলপথে পরিবহন ধর্মঘট আহ্বানের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা, আগের দিন ও সমাবেশের দিন আওয়ামী লীগের সমাবেশ পণ্ড করার প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়। আগামী সমাবেশগুলো সফল করার লক্ষে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ উপকূলীয় এলাকায় প্রায় ৩০ জনের প্রাণহানী ও অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধ্বংস, মৎস্য খামার ও ফসল বিনষ্ট হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। নিহতদের প্রতি শোক প্রকাশ করা হয় এবং নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
এসএন