শনিবার, ১ মার্চ ২০২৫ | ১৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘রওশনের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সব এমপির যোগাযোগ হচ্ছে’

কোনো বিভেদ বা বিভ্রান্তি নয়, বেগম রওশন এরশাদের আহ্বানে জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে সম্মেলন ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ।

তিনি বলেন, বেগম রওশন এরশাদ পার্টি ভাঙার কথা কখনোই বলেননি। যারা জাতীয় পার্টি নিয়ে কথা বলছেন— পার্টিতে তাদের অবদান কি? চুন্নু সাহেব তো বিএনপি থেকে এসেছেন। তিনি বিএনপির লোক। এখানে যাদের দেখছেন এরাই অরিজিনাল জাতীয় পার্টি। দেলোয়ার সাহেবের মতো আর একটা ডেডিকেটেড লোক জাতীয় পার্টিতে দেখান।

বৃহস্পতিবার (০৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ফার্সে জাতীয় পার্টির দশম কাউন্সিল উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মসীহ এ কথা বলেন।

বর্তমান অসুস্থতা নিয়ে বিদেশে চিকিৎসাধীন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এই সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না।

তাহলে জাতীয় পার্টি কি আবারও ভাগ হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসীহ বলেন, ভাগের তো প্রশ্নই আসে না বরং বেগম রওশন এরশাদ সবাইকে নিয়ে জাতীয় পার্টি গড়তে চান। আমার বিশ্বাস আগামী ২৬ নভেম্বর দশম জাতীয় সম্মেলনে সবাই আসবে। একটু অপেক্ষা করুন, সময়ই বলে দেবে কে আসছেন, কে আসছেন না। আমার বিশ্বাস সবাই আসবে। আগামী নির্বাচনে সরকারের সঙ্গে থাকা না থোকা নিয়ে কাউন্সিলেই সিদ্ধান্ত হবে।

বেগম রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি মহাজোটে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন মহাজোট কী এখন দৃশ্যমান আছে। সক্রিয় আছে?

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দাবি করেছেন কাউন্সিল ডাকার এখতিয়ার রওশন এরশাদের নেই এ বিষয়ে জানতে চাইলে মসীহ বলেন, তিনি (মুজিবুল হক চুন্নু) তো সম্মেলনের মাধ্যমে মহাসচিব হনি। গঠনতন্ত্রের ২০ এর ১ (ক) ধারার ক্ষমতাবলে অবৈধভাবে হয়েছেন। কাজেই তার বক্তব্য জাতীয় পার্টির বক্তব্য না, তার বক্তব্য জিএম কাদের সাহেবের একক বক্তব্য। চুন্নু আমাদের জানেন না, চেনেন না এটা বলে তো লাভ নেই। বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির কি এটা বলার প্রয়োজন নেই। দলে তার কি ভূমিকা সেটা চুন্নু সাহেবের জানার বা বোঝার কথা না।

গোলাম মসীহ ডায়েসে বসা অন্যদের দেখিয়ে বলেন, এখানে ডারা আছেন এরাই প্রকৃত জাতীয় পার্টির লোক। যাদের চেহারা দেখেন, ১৯৯০ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কয়জনের চেহারা দেখেছেন? এরা তো মাঠে ঘাটে রাস্তায় কোথাও ছিল না। চুন্নু সাহেব তো বিএনপি থেকে এসেছেনি। তিনি বিএনপির লোক।

জিএম কাদের এবং চুন্নু সাহেবরা যদি আপনাদের কাউন্সিল না মানেন সেক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত আসতে পারে জানতে চাইলে বলেন, এটা তাদের বিষয়। আমরা জাতীয় পার্টি ছিলাম ৮৬ সাল থেকে, জাতীয় পার্টি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা তো কোথাও যায়নি। এরশাদের জাতীয় পার্টি মানে বেগম রওশন এরশাদ। এর বিকল্প কিছু আছে কি না আমাদের সেই চিন্তা করি না। জিএম কাদের তো চেয়ারম্যান আমরা অস্বীকার করিনি। আমি বলছি না তিনি চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যান না। রওশন এরশাদ তো ভাগ করতে চাচ্ছেন না।

আমার বিশ্বাস ম্যাডাম দেশে আসলে সবাই চলে আসবেন। সেটা সময়ই বলে দেবে। এই মাসেই তিনি দেশে আসবেন। জাতীয় পার্টির প্রত্যেক এমপি বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন দুই একজন বাদে। কাজেই কে আসবেন না আসবেন সেটা সময়ই বলে দেবে। আমরা ২৬ নভেম্বর সম্মেলন করব সেখানেই পার্টির পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।

এসএম/আরএ/

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং সংস্কারের মধ্যে দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। এ সময় মানববন্ধনে সুজন ২৮টি দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করেন।

শনিবার (০১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের ভূঞাপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- দেশজুড়ে সন্ত্রাস, ছিনতাই, খুন ও ধর্ষণ বেড়ে গেছে। পাশাপাশি দ্রব্য মূল্যে দিনদিন উর্ধ্বমুখি। যা বর্তমান সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডরোধে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহবান জানান সুজনের নেতৃবৃন্দরা।

উপজেলা সুজনের সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মহীউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্তের সঞ্চালনায় মানববন্ধনর বক্তব্য রাখেন- সাংবাদিক শাহ আলম প্রামাণিক, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, সুজন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, সুজনের পৌর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুর রিপন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, ফরমান শেখ প্রমুখ।

এ সময় সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন ইবরাহীম খাঁ’র আলোকিত ভূঞাপুর, প্রতিভা ছাত্র ও যুব সংগঠন, সেবক টাঙ্গাইলসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

‘তাদের কারো সময় হয়নি আমাদের ফ্যামিলিকে আমন্ত্রণ জানানোর’ ছাত্রদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান শেষে এমন আক্ষেপ আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেনের। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তিনি, যা ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় আবু সাঈদের ভাই আবু হোসেন তার ফেসবুক একাউন্টে এই স্ট্যাটাস দেন।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘মনে অনেক দুঃখ ব্যথা নিয়ে পোস্ট করতে বাধ্য হলাম। সকল শহীদদের প্রতি সম্মান রেখে বলছি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে অন্য শহীদ ফ্যামিলিদের মাধ্যমে আমন্ত্রিত হয়েছি। তাদের কারো সময় হয়নি আমাদের ফ্যামিলিকে আমন্ত্রণ জানানোর এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার পর কাউকে খোঁজখবর নেয়নি অথচ অন্যান্য শহীদ ফ্যামিলিদের কে নিয়ে টানাটানি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলেন প্রথম শহীদ আবু সাঈদ। যার আত্মত্যাগের কারণে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। তৈরি হয় নতুন বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কয়জন সমন্বয়ক শহীদ আবু সাঈদের ফ্যামিলির খোঁজ নিয়েছে। অথচ অনেক সাধারণ মানুষ এবং অনেক রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ আমাদের খোঁজ নিয়েছে। এখনও এই অবস্থা ভবিষ্যৎতের কথা বাদ দিলাম‌। যাই হোক নতুন রাজনৈতিক দলের সফলতা কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, আজ শুক্রবার আত্মপ্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল। দলের নাম রাখা হয়েছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’ (এনসিপি)। নতুন দলের আত্মপ্রকাশ ঘিরে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বড় জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  

ছবি কোলাজঃ ঢাকাপ্রকাশ

নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এখন জনসমর্থন। শুধু আত্মপ্রকাশই যথেষ্ট নয়। জাতীয় নির্বাচনে প্রমাণ হবে দলটির জনপ্রিয়তা। এমনটাই মনে করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে না পারলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটের মাঠে জায়গা করা কঠিন হবে নাগরিক পার্টির।

রক্ত দিয়ে যারা অবরুদ্ধ স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন জনতার হাতে, তাদের নেতৃত্বেই নতুন এই রাজনৈতিক দল। বিপ্লবীদের শপথ, স্বৈরতন্ত্রের কবর রচনা করে গণতন্ত্রের পথে হাটবে বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতির শপথ নেন নেতারা।

তবে দলটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মূলধারার রাজনৈতিক দলের নেতারা। বিএনপি মনে করে আগামী নির্বাচন ঘিরে জনসমর্থনই দলটির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে সংস্কার দিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের দাবি সুজনের  
এনসিপির আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠানে সরাসরি ডাক পায়নি আবু সাঈদের পরিবার
নির্বাচনে প্রমাণ হবে নাগরিক পার্টির জনসমর্থন: বিএনপি  
জেলেনস্কিকে ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চাইতে বললেন রুবিও  
ভোলায় একদিন আগেই রোজা রাখছেন ১০ গ্রামের মানুষ  
কসবায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
হাসিনাকে পাগল বলিয়েন না, তিনি উন্মাদ: শামসুজ্জামান দুদু  
বিএনপি জনগণের দল, জনগণই বিএনপির শক্তি  
অভ্যুত্থানে আহত ১৪০১ জনকে ‘জুলাই যোদ্ধা’র স্বীকৃতি  
সন্ধ্যায় জানা যাবে দেশে রমজান শুরু কবে  
এই মুহূর্তে সংসদ নির্বাচন হলে বিএনপি ছাড়া কেউ নির্বাচিত হবে না: টুকু  
জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দিলো ট্রাম্প
চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে শনিবার থেকে রোজা শুরু
রমজানে দিনে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধসহ ‘অশ্লীলতা’ বন্ধের আহ্বান জামায়াত আমিরের
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব ছাড়লেন বাটলার
স্বামীকে হত্যার পর বুকে ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে আত্মহত্যা
শিল্পকলার মহাপরিচালক পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা জামিল আহমেদের
অবৈধ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ অমিত শাহর
ক্ষমতায় কে যাবে, তা ভারত নয়, নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ: হাসনাত
নতুন দলের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা থাকবে: জামায়াতের সেক্রেটারি