সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে অবাধ নির্বাচনের বিকল্প নেই: চরমোনাই পীর

ফাইল ছবি

সহিংস রাজনীতি থেকে দেশকে মুক্ত করতে নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে অবাধ নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।

শনিবার (১ অক্টোবর) বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পরিষদ প্রেসিডিয়াম, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আমেলার যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্ধশত বছরের অধিক সময় ধরে একটি স্বাধীন দেশ। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক হতাহতের পরিসংখান দেখলে মনে হবে বংলাদেশ এখনো যুদ্ধাবস্থায় আছে। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩৭৮টি। তাতে ৫৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৪০০ জন। এই তথ্যই বলে দেয় দেশ স্বাধীন হলেও দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আজো যুদ্ধকালীন অবস্থায় থেকে গেছে। এর দায় ক্ষমতার লড়াইয়ে থাকা দলগুলোর।

রেজাউল করীম বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ আরও সহিংস হয়ে উঠার সমূহ আশঙ্কা দৃশ্যমান হচ্ছে। আন্দোলন দমনে সরকারের সহিংস হয়ে উঠা প্রতিক্রিয়ায় বিরোধী শক্তিও প্রতিরোধ গড়ে তোলার দৃশ্য জাতিকে আতঙ্কিত করে তুলছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী হলো আসন্ন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা এবং ভোটের অধিকার রক্ষায় আশঙ্কা তৈরি হওয়া।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। এটা বারংবার প্রমাণিত, ইভিএম নিয়েও বিতর্ক সার্বজনীন। কিন্তু তার পরেও এই সরকারের অধীনে ইভিএমে নির্বাচন আয়োজনের পাঁয়তারা জনমনে আশঙ্কা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। পুরো বিষয়টা সরকারের অনিঃশেষ ক্ষমতার লোভের প্রতিক্রিয়া।

চরমোনাই পীর আক্ষেপ করে বলেন, একটি দলের লোভ দেশকে এভাবে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তা সহ্য করা যায় না। রাজনীতিকে শান্ত করতে, দেশকে স্বাভাবিক ও গতিশীল করতে অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের রূপরেখা জাতির সামনে পেশ করে সেই মতে পদক্ষেপ নিতে হবে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেললে পরিণতি কী হয় সেটার দৃষ্টান্ত ১৯৭১ সালে এই জাতি দেখিয়েছে। অতএব জনতার ধৈর্য পরীক্ষা করবেন না।

সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল, মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই), মাওলানা আব্দুল আউয়াল (পীর সাহেব খুলনা), মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, আলহাজ্ব খন্দকার গোলাম মাওলা, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ (পীর সাহেব কমলনগর), আল্লামা ড. বেলাল নুর আজিজী, অধ্যাপক ডা. জহুরুল হক, অ্যাডভোকেট শেখ আতিয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন, জনাব সৈয়দ আলী মোস্তফাসহ মজলিসে আমেলার সদস্যরা। যৌথসভা সঞ্চালনা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহারের মাধ্যমে বরণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদল। ঢাবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

রোববার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসা শিক্ষার্থীদের মাঝে নোটবুক, কলম, পানি, বিস্কুট, সেলাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও মেডিসিন সরবরাহ করা হয়। পাশাপাশি অভিভাবকদের বিশ্রামের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা হয়।

এ সময় নাছির উদ্দিন শাওনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক ও আকিব জাবেদ রাফি, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সেকান্দার, গণসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, সদস্য ইমদাদুল হক ও হাসিবুর রহমান সাকিব, মহসিন হল শাখার দপ্তর সম্পাদক মোঃ আবুজার গিফারী ইফাত, সহ ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক রায়হানা পারভীন, সহ-আইন সম্পাদক সাফওয়ান হাসান তামিম, কর্মী কাজী আবির, আব্দুল্লাহ অনন্ত, লুৎফুর কবির রানা, ক্রীড়া সম্পাদক (জসীমউদ্দিন হল শাখা) আব্দুল ওহেদ, কর্মী মাসুম বিন বশির এবং নাঈম চৌধুরী।

ছাত্রদল নেতারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সফলতা কামনা করেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

Header Ad
Header Ad

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও নূরজাহান বেগম। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ দাবি করেছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। একইসঙ্গে তাদের দুই সহকারীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও টেন্ডার সংক্রান্ত তদবির বাণিজ্যে লিপ্ত ছিলেন এই দুই উপদেষ্টার সহকারীরা। অভিযোগ রয়েছে, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রায় ৪ শত কোটি টাকা আয় করেছেন। একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবী ও ডা. মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্তদের পেছনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ছিল বলেই তারা এতদূর যেতে পেরেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা কি দায় এড়াতে পারেন?

সংগঠনটি বলেছে, নৈতিক দায়বদ্ধতা ও জনমনে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতেই উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও নূরজাহান বেগমের পদত্যাগ করা উচিত। পাশাপাশি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক ইতোমধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন ও তুহিন ফারাবীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পিও তুহিন ফারাবীকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধে ভারতের ১.১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা
দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা