প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন মানেই গণতন্ত্রকামী মানুষের মৃত্যুদিন: রিজভী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন মানেই গণতন্ত্রকামী মানুষের মৃত্যুদিন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে যে ধরনের প্রচার করা হচ্ছে গণমাধ্যমে, আমরা বুঝতে পেরেছি এটা চাপে পড়ে, সরকারের নানাবিধ হুমকির কারণে করা হচ্ছে। যিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে যিনি স্টিমরোলার চালিয়ে থেঁতলে দিচ্ছেন তার জন্মদিন উপলক্ষে যে ধরনের প্রচার আমরা দেখলাম, এটা দেখে এই দেশের জনগণ মনে করছে তার জন্মদিন মানেই গণতন্ত্রকামী মানুষের মৃত্যুদিন। গত পরশুদিন থেকে গণতন্ত্রকামী মানুষের মৃত্যুদিন হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওলামা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, 'বর্তমান অবৈধ সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। প্রধানমন্ত্রীসহ তারা নানা কথা বলছেন দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন অর্থাৎ তারা অত্যন্ত সুখে আছেন অর্থ পাচার করে মহাদুর্নীতি করে মহালুট পাট করে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, একটা দরজা-জানালার দাম ২২ লক্ষ টাকা! এইভাবে বিভিন্ন সেক্টরে অবাধ লুণ্ঠনের মাধ্যমে তারা (সরকার) স্বর্গরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেছে। এই স্বর্গ থেকে তারা বিদায় হতে চান না বলেই আজকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন বিএনপির মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত নামাতে হবে। এটা তো উনি বলবেনই, আইনমন্ত্রী বলছেন বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়কের দাবি থেকে সরে আসতে হবে। এ কারণেই বলছেন আইনমন্ত্রী তো দিনের ভোটে কোনোদিনই তার এলাকায় জিততে পারবেন না। তাকে এই বিনাভোটেই নির্বাচিত হতে হবে। সেই কারণেই অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন তারা হতে দিতে চায় না।ওবায়দুল কাদেরও জানেন সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কী পরিণতি হবে তাদের।
রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগ তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে বই কলমের পরিবর্তে লাঠি তুলে দিয়েছে। এর প্রমাণ আপনারা কয়েকদিন আগে দেখেছেন। একদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সোনার ছেলেরা অন্যদিকে ইডেন কলেজে তাদের স্বর্ণালী কন্যারা যে ঘটনা ঘটাচ্ছেন সেটা তো নজিরবিহীন। এসমস্ত ঘটনা অব্যাহত রাখতেই ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বলেছেন বিএনপিকে মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভুত নামাতে হবে।
রুহুল কবির বলেন, 'বিদেশিরা কী কথা বলছেন এদের (সরকারের) কানে যায় না। বাংলাদেশের রাজনীতি যারা পর্যবেক্ষণ করে তারা কী বলছেন; ইউরোপ, আমেরিকা কী কথা বলছে অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশ কী কথা বলছে তারা যে সামনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় এটা তাদের কানে যায় না। কারণ যাদের অবৈধ সত্তা আছে যারা জনগণের ভোটকে সবচেয়ে বেশি ভয় পায় তারা এগুলো শুনবে না।
এসময় ওলামা দলের আহ্বায়ক প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ্ মো. নেসারুল হক, সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সেলিম রেজা, মাওলানা শাহ্ মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ্ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএন