শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকার

স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান টার্গেট ছাত্রলীগ: লেখক

আজ ৪ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রদের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠনটি। নানা সমালোচনা ঝড়ঝাণ্ড পেরিয়ে ছাত্রলীগের এই পদচারণা কেমন ছিল। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি দাঁয়িত্ব নেওয়ার পর নেতিবাচক সমালোচনা থেকে ছাত্রলীগ কি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে? ছাত্রলীগ কি তার আদর্শের জায়গায় রয়েছে? এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অভিযোগ ওঠে এবং নানা নেতিবাচক সমালোচনা হয় বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: যারা আওয়ামী লীগের বিরোধী তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের বিরোধী। বাংলাদেশের মূলনীতি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র বিরোধী যারা তারা কিন্তু প্রথম টার্গেট হিসেবে ছাত্রলীগকে বেছে নেয়। তারা সব সময় ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য, ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিভিন্ন বিতর্কের জন্ম দেয়। যখনই কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বা  ইতিবাচক কর্মকাণ্ড জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বড় পদক্ষেপ সরকার গ্রহণ করে, তখনই এই স্বার্থন্বেষী মহল স্বাধীনতা বিরোধরা ছাত্রলীগের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে না হয়, উন্নয়ন কাজ যেন বানচাল করতে পারে। যারা সরকারকে এবং বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে কাজ করে, তারাই ছাত্রলীগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বড় ভূমিকা রাখে।

ছাত্রলীগ যেভাবে পরিচালিত হয় সেখানে ছাত্রলীগের কারো ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার সুযোগ নেই। যেখানে আমরা নতুন কমিটি করি না কেন, আমরা যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে গঠণতন্ত্র অনুসরণ করে কমিটি গঠন করে থাকি। বিতর্কিতদের কেন নেব? তাদের নিলে সংগঠনই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হলে নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আমরা আমাদের নেতৃত্বের জন্য হলেও এই চেয়ারের মর্যাদা বজায় রাখার জন্য হলেও আমাদের জ্ঞানত কোন ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড যারা করে তাদের প্রশ্রয় দেই না। কিংবা বিতর্কিত কাউকে আমরা কোনো পদে না দেয়ারই সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু সবখানে কমিটি করার ক্ষেত্রে একের অধিক যোগ্য প্রার্থী থাকে। যেহেতু সকলেই সভাপতি সেক্রেটারি হতে চায়। এই দুইটা পদ যেহেতু সবাইকে দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া দেখবেন প্রত্যেকটা ইউনিটে ১০ জনের বেশি যোগ্য প্রার্থী থাকে। আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যেসকল নির্দেশনা দেয়, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য যেমন সদিচ্ছা দরকার তেমন কিন্তু সেই ক্ষমতা বা যোগ্যতাও থাকা দরকার। সেই যোগ্যতাগুলোকে প্রাধান্য দেই আমরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগসহ সংসদ সদস্য কিংবা আওয়ামী লীগের যারা অভিভাবক আছেন, সাবেক নেত্রীবৃন্দ আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে সঙ্গে সমন্বয় করে কমিটি ঘোষণা করি। যেখানে বিতর্কিত কেউ আসার সুযোগ নেই। যারা কাঙ্খিত পদ পায় না, তারাই অপরাজনীতি করে। তাদের প্রভাবে বিভিন্ন ধরণের প্রচারণা করা হয়, যেন ছাত্রলীগকে একটু বিতর্কিত করা যায়। যেন তারা তাদের সুদুর প্রসারী যে ষড়যন্ত্র সেটা বাস্তবায়ন করতে পারে।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কি বিতর্কিত অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে?

লেখক ভট্টাচার্য্য: আমরা যখন দায়িত্ব পাই তখন দেখেছি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কিছু কর্মকাণ্ড বা ছাত্রলীগের তৎকালিন নেতৃত্বের কিছু প্রশ্নবিদ্ধ আচারণ। যেগুলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সর্বোপরি শুধু মাত্র আওয়ামী লীগের বাইরের লোকজনই না, আওয়ামী লীগের ভেতরের লোকজনও এমনকি ছাত্রলীগের লোকজনও সেসব কর্মকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছে। যেসব কারণে ছাত্রলীগ বিতর্কিত হয়েছিল যেসব কারণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করার সুযোগ পেয়েছিল সেই কারণগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করতে চেষ্টা করেছি এবং আমি মনে করি সেটা সাফল্যের সাথেই করতে পেরেছি। কিন্তু সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত করার জন্য কিংবা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে সাংগঠনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে তৃণমূল পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। করোনা মহামারীর কারণে যখন সবকিছু বন্ধ, তখন তো কিছুই করতে পারিনি। ছাত্রলীগ হচ্ছে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছাত্র সংগঠন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ থাকে, হলগুলো বন্ধ ছিল যে কারণে আমরা কোনো নির্দেশনা দিতে পারি নাই। গ্রামে যে যেখানে ছিল সেখান থেকেই ছাত্রলীগের মাধ্যমে সমন্বয় করে সেই এলাকার মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করেছি। এখন যেহেতু করোনা মহামারী মোকাবিলা করে আবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলো আবার শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখোরিত হয়েছে। এখন আবার প্রচলতিন নিয়মানুসারে আমাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড শুরু করেছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি সম্মেলন করেছি। চলতি মাসে (জানুয়ারি) এবং সামনের মাসেও (ফেব্রুয়ারি) অনেকগুলো তারিখও নির্ধারণ করা আছে। সুতরাং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যেভাবে চালালে সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং আমাদের কর্মী বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের কাছে ছাত্রলীগ যেন প্রশংসা পায় কোন বিতর্কের জন্ম না দেয় সেই আশা নিয়ে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগ কী শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় সংগঠন?

লেখক ভট্টাচার্য্য: অবশ্যই। বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অনুকরণীয় সংগঠন যদি থেকে থাকে সেটা হচ্ছে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একমাত্র সংগঠন যেটা ঐতিহ্যগতভাবে এবং ঐতিহাসিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। ছাত্রলীগ এই দেশের কাজ করার জন্য কিংবা ভবিষ্যত প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরি করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব থেকে বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে আমরা বিবেচনা করি। ছাত্রলীগের মাধ্যমেই কেবলমাত্র একটি ছাত্র তার রাজনৈতিক চর্চার মাধ্যমে নিজেকে পূর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ সুযোগ ছাত্রলীগের মাধ্যমে পায়। সেজন্য আমি মনে করি ছাত্রলীগ শিক্ষাথীদের কাছে অনুকরণীয়।

ঢাকাপ্রকাশ: কোনো কোনো সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ সংগঠন করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে আবেদন করার চিন্তা করছে? এবিষয়ে আপনাদের অবস্থান কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ২০১৩ সালে যখন গণজাগরণ মঞ্চ সৃষ্টি হয়েছিল। যখন বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল মানুষ, অসাস্প্রদায়িক মানুষ যখন মাঠে নেমেছিল কিংবা তাদের অনলাইন প্লাটফর্মে বা বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে হোক যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে বা রায় বাস্তবায়নের পক্ষে কাজ করেছে ওই সময়ও এই গোষ্ঠি একই কাজ করেছে। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন বানোয়াট তথ্য এবং বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে জাতিসংঘের উদ্দেশে পিটিশন রিট করেছিল যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে যেন প্রমাণিত করা হয়। কিন্তু আমরা দেখতে পারি যে তার কিছুদিন পরেই বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ থেকে। সুতরাং এটা অনেকেই চেষ্টা করবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারাই অবস্থান করার চেষ্টা করুক তাদেরকে আগে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অবস্থান করতে হবে, তারপর তারা আওয়ামী লীগ কিংবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থে বিরুদ্ধে দাঁড়ায়। সুতরাং ছাত্রলীগ সকলের প্রধান টার্গেট। এজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা একটু বেশি বিচলিত। তারা তাদের অপকর্মগুলো যেভাবে চালাবে আমরাও সেটা সংঘবদ্ধভাবে মোকাবিলা করব এবং তাদের এই পায়তারা কোন দিনই বাস্তবায়ন হতে দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগকে কেউ কেউ গুন্ডাবাহিনী বলে এর কারণ কী?

লেখক ভট্টাচার্য্য: ৫০ লাখ নেতাকর্মীদের একটা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ আসলে যদি গুন্ডাবাহিনী হয়, ছাত্রলীগ যদি আসলেই চায় ভিপি নুরু কিংবা যেই হোক, যত বড় ব্যক্তিই হোক বাংলাদেশে সে রাজনীতি করতে পারবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যদি মনে করে রাষ্ট্রের বিপক্ষে অবস্থান করার কারণে তার অধিকার নেই বাংলাদেশে থাকার কিংবা বাংলাদেশে রাজনীতি করার তাহলে মনে হয় বাংলাদেশের মাটিতে কেউ কোনো ধরণের সুযোগ পাবে না।

সে যত বড় ক্ষমতাধরই হোক ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কেউ কখনও দাঁড়াতে পারেনি, এটা পাকিস্তানিরাও পারেনি, আমেরিকাও পারেনি। অনেকেই চেষ্টা করেছে কেউ কোনো দিন পারেনি। এরাতো (ভিপি নুর) পারবেই না, তাদের আদর্শেরই কোন ভিত্তি নেই। তারা নিজেদের মধ্যেই মারামারি করে ছাত্রলীগের উপর দায় চাপাতে পারে। কারণ ছাত্রলীগের নামটার সঙ্গে থাকলে কিংবা ছাত্রলীগের কাছ থেকে যদি প্রতিরোধের শিকার হয় তাহলে সেটা তাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে। সেজন্য তারা এসব ধরণের মন্তব্য করে। এগুলো ভিত্তিহীণ বানোয়াট পুরোপুরি মিথ্যা। আমি আহ্বান করব বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন এসব মিথ্যাচার থেকে বিরত থাকে। আন্দোলনের নামে যেনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠা না খুলে। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতির ইমেজকে কাজে লাগিয়ে যেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান করার জন্য বা অর্থ সংগ্রহের জন্য যেন কেউ বাংলাদেশের বিপক্ষে না দাঁড়ায়। দীর্ঘ দিন পর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যারা নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছিল ২৮ বছর পর আবারও ডাকসুকে কলঙ্কিত করেছে ভিপি নুর। 

ঢাকাপ্রকাশ: দীর্ঘ সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। 

লেখক ভট্টচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।

জেডএকে/এএস

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির তালিকা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়ে এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার