শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘যুদ্ধ-নিষেধাজ্ঞা চাই না’ কথা বেমানান: ফখরুল

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আজকে তিনি বিদেশে গিয়ে বড় বড় কথা বলছেন— আমরা যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না। কেউই চায় না এ রকম যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু তার মুখে এই সব কথা মানায় না। তিনি নিজেই এ দেশে হত্যার সঙ্গে জড়িত।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এ সব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে হত্যা হচ্ছে, গুম হয়ে গেছে আমাদের ৬০০ অধিক নেতাকর্মী। অসংখ্য ছাত্রদলের নেতা গুম হয়ে গেছে মায়ের কোল খালি করে। মা জানে না, বাবা জানে না কোথায় তারা। শত শত মানুষকে থানায় নিয়ে তারা পঙ্গু করে দিয়েছে। সহস্রাধিক মানুষকে তারা হত্যা করেছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা করেছে। এই সরকারের অন্যায় নির্দেশ মানতে গিয়ে র‌্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাত জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এটা নিয়ে সরকারের কোনো মাথা ব্যথা নেই। কারণ তারাই এর নির্দেশ দাতা।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ইতোমধ্যে এই সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে দিয়েছে। মানুষ বলে দিয়েছে তোমাদের আর দরকার নেই। বলে দিয়েছে ‘এনাফ ইজ এনাফ ইউ জাস্ট লিভ’।

আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড আ ফ ম ইউসুফ হায়দারের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন— বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম। সঞ্চালনা করেছেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পুরোপুরিভাবে বিকৃত করা হচ্ছে। শুধু আংশিক নয় পুরোপুরি, একটা ভিন্ন কৌশলে।বাংলাদেশের মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল একদিনে নয়। তাদের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘকাল সংগ্রাম হয়েছে, সেই সংগ্রামে অনেক ত্যাগী নেতার অবদান আছে, আত্মত্যাগ আছে। তাদের কথা কোথাও উল্লেখ করা হয় না। যারা যুদ্ধ করলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, রনাঙ্গণে যুদ্ধ করলে তাদের নামও উচ্চারণ করা হয় না। এমনকি প্রবাসী থেকে প্রবাসী সরকারে যারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করলেন তাদের নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করা হয় না। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নাম একবারের জন্য বলা হয় না। যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করলেন জিয়াউর রহমানের নামও একবার উল্লেখ করা হয় না। বরং তাকে কি করে খাটো করা যাবে তার অবদানকে মুছে ফেলা যাবে সেজন্য ভিন্ন রকমে অপকৌশল চালানো হচ্ছে যা ভাষায় উচ্চারণ করাও যায় না।’

তিনি বলেন, এরা (বর্তমান সরকার) আসলে আহম্মকের স্বর্গে বাস করে, মনে করে তারা কথা বললে মিথ্যা কথা বললেই ইতিহাস সেটা নিয়ে নেবে, কিন্তু ইতিহাস তো সেটা নেয় না। ইতিহাস যা সত্য তাই নেয়। এবং ইতিহাসকে কেউ ইচ্ছা করলে বিকৃত করতে পারে না। আজকে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম, লক্ষ্য শহীদের নাম, মুক্তিযোদ্ধার নাম ইতিহাস থেকে কেউ কখনো মুছে ফেলতে পারে না। সেজন্য আমাদের দায়িত্ব যারা রাজনীতি করছি সমগ্র জাতিকে সত্য কথাটা জানাতে চাই।

স্বাধীনতার ৫১ বছর অতিবাহিত হচ্ছে কি দুর্ভাগ্য হতভাগা জাতি আমরা এখনো আমাদের কে যে বিষয়ে আমরা পাকিস্তানের হানাদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলাম সেই একই সমস্যা নিয়ে এখনো আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে, প্রাণ দিতে হচ্ছে, রাজপথে নামতে হচ্ছে, চিৎকার করতে হচ্ছে। একটা দাবি আমি আমার অধিকারটা চাই। সেই অধিকার হচ্ছে আমি যে এই রাষ্ট্রের মালিক জনগণ সেই মালিকানা পেতে একদিন ভোট দিয়ে আমার প্রতিনিধি নির্বাচন করব যারা দেশ পরিচালনা করবে। আমি আমার কথা বলার স্বাধীনতা ফেরত চাই। আমি আমার বাংলাদেশ কে ফেরত চাই, দেশের আত্মাকে ফেরত চাই।

খালেদা জিয়াকে প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কেন বলি, যে দিন জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেদিন তিনিও ওই ক্যান্টেনমেন্টে ছিলেন। তার কাছে সৈনিকেরা যখন জিজ্ঞাসা করেছিলেন পাকিস্তান আমাদের আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করতে চাচ্ছে তখন তিনি বলেছেন জিয়াউর রহমানের নির্দেশ ছাড়া তোমরা কোনো দিন আত্মসমর্পণ করবে না। তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো দুই শিশুকে রেখে যখন জিয়াউর রহমান যুদ্ধে চলে গেলেন তখন এই তিনি (খালেদা জিয়া) দুই পুত্রের হাত ধরে আরেকটা নতুন যুদ্ধ শুরু করেন সেই যুদ্ধ হচ্ছে এইভাবে টিকে থাকার যুদ্ধ, যুদ্ধকে সাহায্য করার যুদ্ধ। কিন্তু পাক হানাদার বাহিনী যখন তাকে গ্রেফতার করে তারপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধা হবেন না, তাহলে কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, যারা মুক্তিযুদ্ধের একটা ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে আছে তারা? তাই অবশ্যই তিনি (খালেদা জিয়া) প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা।’

সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই ক্ষমতাসীনদের এমন বক্তব্যের সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘দেড় মাসে বিএনপির প্রায় ২০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। অথচ এরা গলা উঁচু করে বলেন সংবিধান অনুযায়ী সবকিছুই চলবে। সংবিধান তো তোমরাই আগে খেয়ে ফেলেছ। ৭৫ সালে খেয়েছ প্রথম যে সংবিধান রচনা করেছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের বিখ্যাত মানুষেরা। যে সংবিধানকে এই দেশের মানুষ মেনে নিয়েছিল। সেই সংবিধানকে তোমরা ছিন্ন ভিন্ন করে চতুর্দশ সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের সমস্ত রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল করা হয়। তোমরাই করেছিলে অন্য কেউ করেনি। আজকে তোমরাই আবার নতুনভাবে নতুন কায়দায় নতুন ছদ্মবেশ নিয়ে সেই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা করতে চলেছ। এই কথা গুলো আমাদের বার বার বলতে হয় কারণ এরা মানুষকে প্রতারণা করে, মিথ্যা বুঝায়। গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছে, এমনভাবে করেছে যে এখন সাহস করে কেউ সত্য কথাটা বলতে পারে না।’

মুন্সিগঞ্জের নিহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওন কে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আজকে বেশকিছু আওয়ামী গণমাধ্যম গুলো বলছে তাকে নাকি পেছন থেকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থা মৃত্যু হয়েছে। অথচ তার ডেথ সার্টিফিকেটে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, ‘শহিদুল ইসলাম শাওন মেসিভ ব্রেইন ইনজুরি ডিউ টু গান শর্ট’।

বাংলাদেশের মানুষকে জেগে উঠতে হবে, তরুণদের জেগে উঠতে হবে, শাওন, রহিম ও নূরে আলমের রক্ত বৃথা যেতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এমএইচ/আরএ/

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির তালিকা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়ে এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার