বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫ | ২০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ সাক্ষাৎকার

ছাত্রলীগকে বিতর্কিত জায়গা থেকে ফিরিয়ে এনেছি: জয়

নিজেদের কর্মকাণ্ডে ছাত্রলীগ যখন আলোচনার কেন্দ্রে যখন সংগঠনের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ ঠিক সেই সময় ছাত্রলীগকে ঢেলে সাজানোর নির্দেশনা দেন সংগঠনটির সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী গত সেপ্টেম্বরে বরখাস্ত হওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে এসেছিলেন আল নাহিয়ান খান জয় এবং লেখক ভট্টচার্য্য। এরপর ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দুজনের ‘ভারমুক্তি’র ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের সর্বশেষ ২৯তম জাতীয় সম্মেলন হয়েছিল ২০১৮ সালের ১১ ও ১২ মে। নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন ছাড়াই শেষ হয় সম্মেলন। তার আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই শোভনকে সভাপতি ও রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তবে সম্মেলনের আগেই বিদায় নিতে হয় শোভন ও রাব্বানীকে। যে অভিযোগে বিতর্কিত হয়েছিলেন শোভন-রাব্বানী সেই অবস্থা থেকে ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি কতটা উদ্ধার করতে পারল বর্তমান সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এসব বিষয়ে ঢাকাপ্রকাশের মুখোমুখি হয়েছিলেন আল নাহিয়ান খান জয় ও লেখক ভট্টাচার্য্য। দুইজনের পৃথক দুটি সাক্ষাৎকারের প্রথম পর্বে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘ছাত্রলীগকে বিতর্কিত অবস্থা থেকে ফিরিয়ে এনেছি।’

ঢাকাপ্রকাশ: যে অবস্থায় আপনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন, সেই জায়গা থেকে আপনাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারছেন কি না? কমিটিগুলোর কী অবস্থা?

আল নাহিয়ান খান জয়: একটি বিশেষ সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা দায়িত্ব পেয়েছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর দেখেছি ছাত্রলীগের প্রতিটি ইউনিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছিল। সেই মেয়াদ উত্তীর্ণ জায়গাগুলোর মধ্যে যেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি কমিটি হয়নি, সেগুলো বিবেচনা করে আমরা কাজ করেছি। দায়িত্ব পাওয়ার পর আমাদের প্রধান ও চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল ছাত্রলীগকে বিতর্কমুক্ত করা এবং যারা পদবঞ্চিত ছিল তাদের পদায়ন করা। আমরা সেই কাজটি সুন্দরভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমাদের ভারমুক্ত করেন। আজ ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি ২ বছর অতিবাহিত করছি। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছি, তখন থেকেই করোনা মহামারি। করোনাকালে সারাবিশ্ব যখন হোঁচট খেয়েছে, সেখানে বাংলাদেশে কিন্তু আমাদের নেত্রী যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তাতে অনেককাংশেই করোনাকে জয় করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। দায়িত্ব পাওয়ার দুই-তিন মাস পর করোনা মহামারি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছিল যে কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের সংগঠন এবং শিক্ষার্থীরাই হচ্ছে এই সংগঠনের প্রাণ। সেই সংগঠনে যখন শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস বন্ধ থাকে, সেই কারণে আমরা কমিটিগুলো করতে পারিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে এর মধ্যেও আমরা ২৬টি জেলা কমিটি করেছি। করোনার সময়ে অনেক কষ্ট করে নেতা-কর্মীরা কাজ করেছেন। নেতা-কর্মীরা জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। আমরা দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সুন্দরভাবে আমাদের কাজ করছি, কিন্তু কেউ যদি অন্যায় করে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। সফলতা ব্যর্থতা হিসাব মানুষের উপর ছেড়ে দিলাম। এদেশের তরুন সমাজ এদেশের শিক্ষার্থীরাই বলতে পারবে আমরা কতটুকু সফল হয়েছি।

ঢাকাপ্রকাশ: বিতর্কিত জায়গা থেকে কি ছাত্রলীগ মুক্ত হতে পেরেছে?

আল নাহিয়ান খান জয়: ছাত্রলীগ ৫০ লাখ নেতা-কর্মীর সংগঠন। এই সংগঠনের এত নেতা-কর্মী, আমরা চেষ্টা করি সারাদেশে একটি চেইন অব কমান্ড মেইনটেইন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চলবে। সেখানে আমরা চেষ্টা করেছি বিতর্কিত অবস্থান থেকে মুক্ত করার এবং আমরা পেরেছি। কিন্তু অনেক সময় অনেকে মিথ্যা অভিযোগ করে। সেই মিথ্যা অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করি। তদন্তে করে বেশিরভাগ জায়গায় পেয়েছি অভিযোগটি মিথ্যা। বিতর্কিত অবস্থান থেকে মুক্ত করার যে প্রয়াস, সেটি অব্যাহত আছে। অনেকে ব্যক্তিগত স্বার্থে ছাত্রলীগকে বদনাম করার চেষ্টা করে। যারা নিজের স্বার্থে বা ব্যক্তি স্বার্থে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করবে, তাদের কোনোভাবেই আমরা ছাড় দেব না।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই টেন্ডারবাজি বা চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায়। তা ছাড়া অর্থের বিনিময় কমিটি দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে যদি বলেন...

আল নাহিয়ান খান জয়: এক সময় বিশেষ করে বিএনপি জোট সরকারের আমলে ছাত্রদল সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি করেছে। জনপ্রিয় সরকার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কোনো জায়গায় টেন্ডারবাজি করেছে বলে শুনেছেন? বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জনপ্রিয় সংগঠন। শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে এই সংগঠন। সেই কাজটি আমাদের নেতা-কর্মীরা করছে। ছাত্রদল অছাত্রদের সংগঠন। সেখানে ৪৫ থেকে ৫০ বছরের বয়সীরাও শিক্ষার্থীদের সংগঠনের নেতা হয়। এটি আমাদের ভাবতে হবে। ছাত্রলীগ আছে বিধায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে জনপ্রিয়তা সঙ্গে তরুণ প্রজন্মের আলোকবর্তিকা নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কাজ করে যাচ্ছে। কেউ অভিযোগ করতে পারে; কিন্তু সেই অভিযোগের সত্যতা তো থাকতে হবে। কোথায় টাকার বিনিময়ে কমিটি হয়েছে? শুধু অভিযোগ দিলে তো হবে না। সত্যতা যাচাই করার সুযোগ দেবেন। অভিযোগ দিয়ে অনেকে সেটাকে সত্য বানানোর চেষ্টা করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, গুজব ছড়ানোরও একটি মাধ্যম হিসেবে অনেকে এটিকে ব্যবহার করেন। গুজব না ছড়িয়ে সত্যকে সত্য বলতে হবে। মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে হবে। অভিযোগ দিলে তার সত্যতা যাচাই করব। যদি কেউ টাকার বিনিময়ে কমিটিতে আসার চেষ্টা করে বা এসেছে এরকম কোন খবর যদি আমরা পাই তাহলে তার তদন্ত করে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।

ঢাকাপ্রকাশ: ঢাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যায়তি করেছে। ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

আল নাহিয়ান খান জয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছিল সাবেক ভিপি নুর। সে একজন নাটকবাজ। যে কি না শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি দাওয়ায় কাজ করেনি। ডাকসুর ভিপি থাকা অবস্থায় শিক্ষার্থীদের জন্য তিনি কী কাজ করেছেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট এই প্রশ্ন রেখে গেলাম। তিনি ঢাবিতে বহিরাগত এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। সেই ইতিহাস যারা জানে না তারাই ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলার সাহস পায়। যদি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস কেউ না জানে এদেশের সৃষ্টির ইতিহাস যারা না জানে সেই নুরু গংরা যারা স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে চলে, যারা বিকাশে টাকা এনে চলে, রকেট-বিকাশ দিয়ে যারা সংগঠন চালানোর চেষ্টা করে, তারা বিভিন্ন সময় নিজেদের অন্তঃকলহের কারণে তারা কিন্তু আলাদা হয়ে গেছে। তারা বলেছে সাবেক ভিপি নুর বিভিন্নভাবে টাকা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গেছে। টেন্ডারবাজির একটি অডিও প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের মন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে যারা শিক্ষার্থী বান্ধব না তারা নাটক করে সোস্যাল মিডিয়ায় নামসর্বস্ব সংগঠন নিয়ে কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এমন একটি সংগঠন যে সংগঠন সারাবিশ্ব জানে জাতির পিতা এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই সংগঠনের একটি গৌরজ্জল ইতিহাস রয়েছে। সেই ইতিহাস ভুলুণ্ঠিত করে নুরুরা কখনোই এগিয়ে যেতে পারবে না। ছাত্রলীগ তার গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নিয়ে বর্তমান এবং আগামী দিনে নেতৃত্ব দেবে এই দেশে।

ঢাকাপ্রকাশ: ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রী যদি আপনাদের কেন্দ্রীয় সম্মেলন করার নির্দেশ দেন সে ক্ষেত্রে আপনার কতটুক প্রস্তুত?

আল নাহিয়ান খান জয়: ছাত্রলীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন। আমাদের নেত্রী সম্মেলনের বিষয়ে অবগত থাকেন এবং তিনি নির্দেশনা দেন সম্মেলন করার। যখনই সম্মেলনের সময় জানতে পারব, তখন থেকেই সম্মেলন আয়োজন করার ব্যবস্থা করব এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সেই সংবাদ পৌঁছে দেব।

ঢাকাপ্রকাশ: সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আল নাহিয়ান খান জয়: আপনাকেও ধন্যবাদ।

Header Ad
Header Ad

স্কাই নিউজকে ড. ইউনূস

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে’

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (ইনসটে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধী হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

স্কাই নিউজ বুধবার (৫ মার্চ) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করে। এতে ড. ইউনূস বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হবে। তিনি বাংলাদেশে উপস্থিত থাকুন বা অনুপস্থিত থাকুন না কেন তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি হবেন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি তার সরকারে থাকাকালীন জোরপূর্বক গুমের ব্যবস্থা তত্ত্বাবধান করেছিলেন। সেই সাথে গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বিক্ষোভকারীদের গণহত্যার ঘটনাও তার তত্ত্বাবধানে হয়েছে।

স্কাই নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বিচার হবে। কেবল তারই (শেখ হাসিনা) নয়, বরং তার সাথে যুক্ত সবার, তার পরিবারের সদস্য, তার মক্কেল বা সহযোগীদেরও বিচার হবে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বর্তমানে ভারতে পালিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গোপন আটক কেন্দ্রের একটি নেটওয়ার্ক তত্ত্বাবধান করেছিলেন। যেখানে রাজনৈতিক বিরোধীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরে আনা হতো, নির্যাতন করা হতো এবং কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছিল। এ সবই হাসিনা করতেন ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ এর ব্যানারে।

বাংলাদেশ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ হাসিনার গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়েছে কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাননি।

স্কাই নিউজের এশিয়া সংবাদদাতা কর্ডেলিয়া লিঞ্চকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে অথবা ভারতে অনুপস্থিতিতে আদালতের মুখোমুখি হবেন।

অধ্যাপক ইউনূস সম্প্রতি আয়নাঘর নামে পরিচিত কুখ্যাত গোপন কারাগারগুলোর মধ্যে একটি পরিদর্শন করেছেন। দরিদ্রদের ব্যাংকার হিসেবে পরিচিত এবং বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতির এই অধ্যাপক বলেন, তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক। ‘এটি সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস; যা আপনি দেখতে পাচ্ছেন। অনুভব করতে পারছেন, অথবা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত অ্যাক্টিভিস্টকে অপহরণ, নির্যাতন এবং হত্যা তদারকি করছেন।

যদিও হাসিনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, তাকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা ৮০০টিরও বেশি গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকির অভিযোগে অভিযুক্ত। যাদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অপরাধের সাথে জড়িতদের সংখ্যা এবং পরিসর নিয়ে কাজ করতে সময় লাগছে।

ড. ইউনূস বলেন, সবাই এতে জড়িত ছিল। পুরো সরকার (হাসিনার সরকার) এতে জড়িত ছিল। তাই আপনি পার্থক্য করতে পারবেন না কে সত্যিই এবং উৎসাহের সাথে এটি করছিল। কে আদেশে এটি করছিল এবং কে এসব সমর্থন করত না কিন্তু এই ধরণের কাজগুলো বাধ্য হয়ে করেছিল।

তিনি আরও বলেন, কিছু লোককে শাস্তি দেওয়া হবে। কিছু লোক তদন্তাধীন থাকবে। কিছু লোককে শনাক্ত করা যাবে না।

Header Ad
Header Ad

পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২১

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া আত্মঘাতী বোমা হামলা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন হামলাকারীসহ মোট ২১ জন।

নিহতদের মধ্যে হামলাকারী ৬ জন, বাকিরা বেসামরিক এবং হামলার শিকার। এই বেসামরিকদের মধ্যে ৪ জন শিশু ও ২ জন নারী রয়েছেন। যে ৬ হামলাকারী নিহত হয়েছেন, তাদেরকেও শনাক্ত করা হয়েছে। নিহত এই ৬ জন পাকিস্তানের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল তেহরিক ই তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সদস্য ছিলেন।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি সেনানিবাসে জোড়া এই হামলার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক সেনা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রোজা ভাঙার সময় সেনা নিবাসের ওই এলাকায় দু’টি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি ঢুকে পড়ে। তার পরপরই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের ধাক্কায় নিকটবর্তী একটি মসজিদ এবং একটি বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

হামলায় হতাহতদের নিকটবর্তী ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের একজন মুখপাত্র পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ১৫ জনই বেসামরিক। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মাদ্রাসায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঘটেছিল। এতে স্থানীয় শীর্ষ তালেবান নেতাসহ নিহত হয়েছিলেন ৬ জন।

Header Ad
Header Ad

এস আলমসহ পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

এস আলমসহ পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলাম) ও তার পরিবারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১১ ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- বেলাল আহমেদ, ফসিহল আলম, সাজেদা বেগম, মাহমুদুল আলম, মো. মোস্তান বিল্লাহ আদিল, আতিকুর নেতা জেনি, লুৎফুন নাহার, চেমন আরা বেগম, মায়মুনা খানম, বদরুননেসা আলম ও শারমিন ফাতেমা।

দুদক জানায়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে ১০০ কোটি ডলার পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানকালে জানা যায় যে কোনো সময় দেশ হতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা পালিয়ে বিদেশে অবস্থান নিবেন। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের নামে থাকা ৩৬৮ কোটি ২৫ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকার ১৭৫ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া গত ১৪ জানুয়ারি তাদের ২০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ জব্দ করার আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। এরপর ১৬ জানুয়ারি এস আলম পরিবারের ২৪টি কোম্পানিতে ৩২ কোটি ১০ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৮টি শেয়ার জব্দ করা হয়। যার মূল্য ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ২১ হাজার ৩০০ টাকা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে’
পাকিস্তানের সেনানিবাসে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলা, নিহত ২১
এস আলমসহ পরিবারের ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সিআইডি প্রধানসহ ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি ও ৪ পুলিশ সুপার ওএসডি
নির্বাচন পেছানোর কোনো অজুহাত জনগণ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত
বিরামপুরে ট্রেন থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু
রাশেদকে সমন্বয়ক হিসেবে নয়, যোগ্যতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে: রাবি উপাচার্য
স্ত্রী ও সন্তানসহ ১৭ মার্চ বাংলাদেশে আসছেন ফুটবলার হামজা চৌধুরী
অ্যাটলির ৬০০ কোটি বাজেটের সিনেমায় সালমানের পরিবর্তে আল্লু অর্জুন!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক শান্তি পদক নীতিমালা বাতিল
‘জয় বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা বহিষ্কার
চোরাচালান ও জালিয়াতি করে ১৩৩ কোটি টাকা আয় করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি
সারা দেশে ৫ হাজার ৪৯৩ চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার
নারী হাজতখানায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান, স্ত্রী-শাশুড়িসহ গ্রেফতার ৫
চুয়াডাঙ্গায় পূর্বাশা পরিবহনের বাসে তল্লাশি, ৩ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই পাচারকারী আটক
যুবলীগ নেতা সাদ্দাম অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত ইসরায়েল, শর্ত জিম্মি মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ
'গে অ্যাক্টিভিস্ট' অভিযোগের বিষয়ে যা বললেন তাসনিম জারা  
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সবাই মিলে দেশ পরিচালনা করা হবে: এ্যানী