শেখ হাসিনার কথা শুনে ঘোড়াও হাসে: ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমাকে পাকিস্তানের দালাল বলা হয়, অথচ পাকিস্তানের আমলে চালের দাম যা ছিল আজকে আমাদের চালের দাম তার মধ্যে কত পার্থক্য হয়েছে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা ৭১ সালে যুদ্ধ করেছি পাকিস্তানিদের হাত থেকে এই দেশ স্বাধীন করেছি। কারণ,পাকিস্তানরা আমাদের সর্ব ক্ষেত্রে শোষণ করত বলে। আর এরা আজকে আমাদেরকে সেই অবস্থায় নিয়ে গেছে। আমাদের সকল অর্জনকে এরা সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। মেগা প্রজেক্ট এর নামে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, বিদেশে ঘর-বাড়ি তৈরি করছে।’
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হত্যা করে আমাদের আন্দোলন দমন করা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ বরাবরই আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে জেগে উঠেছে আজকেও বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের স্পষ্ট কথা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, সকল রাজবন্দীকে মুক্তি দিতে হবে. আমাদের ৩৫ লক্ষ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। এর ফলে নতুন পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন সময় হচ্ছে কাজের, কথা কম। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। তাই আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল রাজনৈতিক দল ও মানুষকে একত্রিত করে দুর্বল কোনো আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। দফা এক, দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আজকে আমরা চাল, ডাল, তেল লবণের জন্য আন্দোলন করছি। অথচ শেখ হাসিনা বলেছিলেন ১০ টাকা কেজি চাল দেবেন। কৃষকদের বলেছিলেন বিনা পয়সার সার দেবে, সেই সার এখন কৃষকরা পাচ্ছেন না। ঘরে ঘরে চাকরি দেবেন। মেধায় এখন চাকরি হয় না, সেজন্য আওয়ামী লীগের সিল লাগবে।’
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে প্রচার করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ধরা পড়ে গেছে? আজকে প্রধানমন্ত্রী যখন লন্ডনে গেছেন ইংল্যান্ডের রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়েছে আপনি এখানে এসেছেন রানির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কিন্তু রানির প্রতিনিধি ঢাকায় আপনাকে জিজ্ঞাসা করেছে, বাংলাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। বাংলাদেশের একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আপনি কি পরিবেশ তৈরি করছেন? প্রতি উত্তরে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে নির্বাচন হয় এবং সবচেয়ে সঠিক সুষ্ঠু নির্বাচন হয়! অথচ আজকের শেখ হাসিনার কথা শুনে এখন ঘোড়াও হাসে।’
এমএইচ/এমএমএ/