তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সৈয়দ আশরাফকে স্মরণ
তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে স্মরণ করলো আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোমবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সৈয়দ আশরাফের বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর, শাহজাদা মহিউদ্দিন, রাশেদুল মাহমুদ প্রমুখ।
ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাহবুব-উল আলম হানিফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন অত্যন্ত সজ্জন, সৃজনশীল মানুষ ছিলেন। তার আচরণ, কথাবার্তা ছিল পরিমার্জিত। দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। বিশেষ করে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, সেই সময়ে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সৈয়দা জাকিয়া নূর বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কখনো আড়ম্বরতা পছন্দ করতেন না। এ কারণে তার মৃত্যুবার্ষিকীতেও আমরা কোনো আড়ম্বরপূর্ণ আয়োজন করিনি।
সৈয়দ আশরাফ প্রয়াত জাতীয় চার নেতার একজন ১৯৭১ সালের মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র। ছাত্র অবস্থায় ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৫ সালের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর পর বিভিন্ন সময়ে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এপি/