মাদরাসায় হিন্দু প্রিন্সিপাল নিয়োগ চরম বেয়াদবি: চরমোনাই পীর
টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল নিযুক্ত করায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে চরমোনাই পীর বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল নিয়োগ করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করা হয়েছে। মাদরাসার প্রিন্সিপাল গতানুতিক কোন পদ পদবী নয়। মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদবীর সাথে আন্তরিক বোধ ও বিশ্বাস তথা ঈমান জড়িত। আরবী ভাষা জ্ঞান, কুরআন-সুন্নাহর পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। সেই সাথে কুরআন ও হাদীসের উপর পরিপূর্ণ আমল। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে মাদরাসার প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত করে ইসলামী শিক্ষা তথা কুরআন-সুন্নাহর সাথে চরম বেয়াদবি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি পবিত্র ও অন্যতম শ্রদ্ধাস্থল। এ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের প্রকৃত নায়েবে রাসূল (স.) ও ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন করে গড়ে তুলে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখা। যুগযুগ ধরে সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মাদরাসা শিক্ষা ধারার ব্যাপক উন্নয়ন ও পরিবর্তন হলেও এ শিক্ষা ব্যবস্থার প্রধান ও নীতি নির্ধারণী পরিষদে সর্বদাই ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অগ্রাধিকারের বিষয়টি অপরিবর্তিত রয়েছে। এতদসত্ত্বেও টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসায় হিন্দু ধর্মের বাংলা অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব প্রদানে আমরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
রেজাউল করীম বলেন, মাদরাসার শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রাখার নিমিত্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগণ অনতিবিলম্বে নীতিমালা ও অন্যান্য নথিপত্র সংশোধনপূর্বক স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সাথে সাথে তিনি বিষয়টি তদারকি করে মাদরাসা শিক্ষার সাথে বেয়াদবির কারণে সংশ্লিষ্টদের বিচারের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। ভবিষ্যতে মাদরাসা প্রিন্সিপাল/ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগ ও ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব প্রদানের পূর্বে যাতে মাদরাসার স্বকীয়তা অক্ষুণ্ণ থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
এমএইচ/এএস