রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

এবারের আন্দোলনই শেষ লড়াই: মির্জা ফখরুল

সরকার হটানোর এবারের আন্দোলনই ‘শেষ লড়াই’ বলে নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এই আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এবারই শেষ লড়াই। আমাদেরকে জীবনমরণ লড়াই করতে হবে। এবার সেই জাগপার কথায় বলতে চাই, হয় জীবন না হয় মরণ। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে একটা দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলি যা ওই উত্তাল সমুদ্রে যে সুনামি হয় সেই সুনামির মতো এই সরকারকে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে। দেশনেত্রীকে মুক্ত করব, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের এই ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অত্যন্ত সংকটময় মুহূর্তে পালন করছি। আমাদেরকে প্রতিটি পদক্ষেপ অত্যন্ত সর্তকতার সঙ্গে নিতে হবে যেন কোনো মতে তারা সুযোগ না পায় আমাদেরকে ভেঙে দিতে, গুঁড়িয়ে দিতে।’

পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান রেখে ফখরুল বলেন, ‘আমরা খুব পরিস্কার করে বলতে চাই, আমরা পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে নই, আমরা কোনো বাহিনীর বিরুদ্ধে নই। আমার ট্যাক্সের পয়সায় তাদের বেতন হয়, তাদের সংসার চলে, তাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখে, তাদের বউ-বাচ্চাদের কাপড় দেয়- তাই না। তারা আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলবে এটা কী আমরা মেনে নেব?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, আপনাদেরকে আমরা কখনো প্রতিপক্ষ বানাতে চাই না। আপনারা দয়া করে জনগণের প্রতিপক্ষ হবেন না। আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাহেব বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একটা প্রতিষ্ঠান র‌্যাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আপনারা কি চান পুলিশের উপর এভাবে সেনশন আসুক? আপনারা কি চান এই দেশের মানুষ আপনাদের উপর সেনশন জারি করুক? আমরা এটা চাই? নিশ্চয় চায় না। আমরা সবাই আশা করব, পুলিশ জনগণের যে ন্যায্য অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার, বেঁচে থাকার অধিকার সেজন্য তারা সহযোগিতা করবে এবং যারা অন্যায় করছে, অবিচার করছে, যারা গুলি করে হত্যা করছে, যারা জোর করে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর মতো জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তাদের বিরুদ্ধে জনগণ জেগে উঠেছে, লড়াই শুরু করেছে, সেই লড়াইয়ে তারাও শরিক হবেন এই আশা আমরা করতে পারি।’

তিনি বলেন, ‘অনেক চরাই-উতরাই পার হতে হয়েছে। বারবার আঘাত এসেছে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য। বারবার বিএনপিকে শেষ করে দেওয়ার কাজ হয়েছে। কিন্তু বিএনপি কখনো দমিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। বিএনপি প্রতিবারই ধ্বংসস্তুপের মধ্যে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এবং এদেশের মানুষকে সামনে নিয়ে আবারও তারা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে গেছে বারবার।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘১/১১। ওরা ভেবেছিল বিএনপিকে শেষ করে দেওয়া যাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের প্রতীক, আমাদের আশা-ভরসার স্থল তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে তাকে মিথ্যা সাজা দিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে, আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে, গুম-খুন করে ভেবেছিল বিএনপিকে ধ্বংস করে দেওয়া যাবে। কিন্তু এই ১৫ বছরেও বিএনপিকে ধ্বংস করা যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আবার ওই গ্রামের আইলের মধ্যে, সেই ধানের ক্ষেতের মধ্যে, গ্রামে-গঞ্জে বিএনপি জেগে উঠতে শুরু করেছে। ধানের গুচ্ছে আবার রক্ত জমেছে। সেই রক্তকে অবশ্যই আমাদের ছড়িয়ে দিতে হবে সারা দেশে।’

ফখরুল বলেন, ‘আমরা যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেছি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে, সেই গণতন্ত্রকে যুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে। যখন বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে মানুষের সমস্যাগুলো নিয়ে, জ্বালানি তেল, চাল-ডাল-তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তখন তারা সেই আগের মতো গুলি করে হত্যা করছে আমাদের সহযোদ্ধাদের-সহকর্মীদের।’

তিনি বলেন, ‘গতকাল গুলি করে হত্যা করেছে আমাদের নারায়ণগঞ্জের যুবদলের কর্মী শাওনকে। কী লজ্জার কী ধিক্কার যে, কাল একজন এসপি বলছে যে, শাওন যুবদলের কর্মী নয়। আমি আজ সকালে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জে। আমাদের দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী, যুব দলের সব নেতা-কর্মী, শাওনের পরিবার, মা ও তার আত্বীয়-স্বজন সবাই বলেছে, অবশ্যই শাওন যুবদল করত। সে গতকাল মিছিলের অগ্রভাগে ছিল। সেই ছবি গণমাধ্যমে ছাপা হয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ওরা (পুলিশ) কত নোংরা হতে পারে। কী করেছে জানেন। গতকাল রাতে শাওনের মরদেহ তার আত্বীয়-স্বজনকে দেয়নি, আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের দেয়নি। শাওনের লাশ তারা গোপনে পুলিশ পাহারায় নিয়ে গিয়ে দাফন করেছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধু তাই নয়, শাওনের ইমিডিয়েট বড় ভাই তাকে দিয়ে জোর করে বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তারা একটা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আমি হুঁশিয়ার করতে চাই, যারা এই ধরনের মিথ্যা মামলা করাবেন, যারা এভাবে গুলি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা করবেন, গণতন্ত্রের নেতা-কর্মীদেরকে হত্যা করবেন তাদের প্রত্যেকের সব হিসাব কড়ায়-গন্ডায় নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ভোলায় মামলা করেছি। ভোলায় নুরে আলম ও আব্দুর রহিমের হত্যা মামলা করেছি, আমরা অবশ্যই শাওনের হত্যা মামলা করব। আপনারা যারা জেলায় জেলায় আমাদের কর্মীদেরকে আহত করছেন তার প্রত্যেকটির হিসাব নেওয়া হবে।’

ফখরুল বলেন, ‘ভয় পেয়ে গেছে। সেজন্য তারা আবার সেই ২০১৩,২০১৪, ২০১৫, ২০১৮ এর মতো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা শুরু করেছে। এই কায়দায় এটা করছে। সিরাজগঞ্জে করেছে, সেখানে আমাদের এক কর্মীর চোখ নষ্ট হয়ে গেছে, নড়াইলে করেছে, নেত্রকোনায় করেছে, নারায়ণগঞ্জে করেছে। তারা ভেবেছে এভাবে আগের মতো গুলি করে, গুম করে যেমন ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে, চৌধুরী আলমকে গুম করেছে, আমাদের ছাত্র নেতাদের গুম করেছে সেভাবে গুম করে তারা আবারও ক্ষমতায় টিকে থাকবে। সেই চিন্তা করবেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবার মানুষ জেগে উঠেছে, দেশের তরুণরা জেগে উঠেছে, দেশের যুবকরা জেগে উঠেছে। আপনাদের ক্ষমতার মসনদ গুঁড়ে দেবে এবং অবশ্যই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে স্লোগান সেই স্লোগান হচ্ছে ফয়সালা হবে কোন পথে? রাজপথে। আমরা কী বলব- টেক ব্যাক বাংলাদেশ।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আজকে দেশের যে নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, এই নাজুক পরিস্থিতিতে আমাদেরকে প্রথম দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই সংকটের সমাধান হবে রাজপথে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজপথে আমাদেরকে সেইভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আসুন এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা শপথ নিই। আগামী দিনের নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাই আমরা রাস্তায় থাকব এটাই হোক আজকের শপথ।’

স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের গত কয়েকদিনে পাখির মতো গুলি করে মেরেছেন, তারা পিছপা হয় নাই। আমি বলতে চাই, এই কর্মীরা ভয় পাওয়ার কর্মী নয়। এরা ভয় পেতে পেতে এই জায়গায় এসেছে। আর কত ভয় দেখাবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনার (সরকার) হাতে আছে কী? আপনার হাতে কিছুই নাই। পুলিশ বাহিনী ছাড়া এই সরকারের হাতে কিছুই নাই এবং একসময় জনগণের চাপে রোষের মুখে এই পুলিশ একদিন পলায়নপর হয়ে পালাতে বাধ্য হবে।’

মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভার শুরুতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উপর জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) আয়োজনে ‘হরিলুটের রাজা’ শীর্ষক পথ নাটক মঞ্চস্থ হয়।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শামসুজ্জামান দুদু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, যুবদলের সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন ও কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল বক্তব্য রাখেন।

এমএইচ/এসজি

Header Ad
Header Ad

সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  

ছবিঃ সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী চুরি, ছিনতাই, খুন ও ডাকাতি প্রতিরোধে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাবও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে বলে জানান, র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে র‍্যাবের টহল ও চেকপোস্ট পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় র‍্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও স্বার্থান্বেষী মহল হামলা ও নাশকতার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংস কায়দায় হামলা ও আক্রমণ চালাচ্ছে। এসব অপরাধ দমনে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে র‌্যাব ফোর্সেসও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করছে।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে র‌্যাবের সব ব্যাটালিয়ন তাদের নিজস্ব দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় রোবাস্ট প্যাট্রোলিং পরিচালনা করছে। ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিরতিহীনভাবে অতিরিক্ত টহল মোতায়েনের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ব্যাটালিয়নগুলোতে নিজস্ব কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে ঢাকাসহ সারাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে চেকপোস্ট স্থাপন করে তল্লাশির মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য র‌্যাব বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব মেট্রোপলিটন শহর, জেলা শহর ও উপজেলা পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন, পর্যাপ্ত সংখ্যক টহল মোতায়েন এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

তিনি বলেন, সব মেট্রোপলিটন শহর ও গুরুত্বপূর্ণ জেলা শহরগুলোতে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাজধানী থেকে ৪০ জন, ময়মনসিংহে ২৫ জন, রাজশাহী থেকে ২৪ জন, সিলেট থেকে ১৭ জন, নারায়ণগঞ্জ থেকে ১৫ জনসহ মোট ১৮০ জন আসামিকে গ্রেফতার এবং অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এছাড়া সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ যেকোনো ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান র‍্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান।

র‍্যাব ডিজি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যদের খুন, হত্যাচেষ্টা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক কারবারি এবং চাঞ্চল্যকর সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। এসব গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য মোহাম্মদপুরের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী কবজি কাটা গ্রুপের প্রধান আনোয়ার ওরফে শুটার আনোয়ার ওরফে কবজি কাটা আনোয়ার, জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল এবং জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি সেলিম আশরাফি ওরফে চুয়া সেলিমসহ তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

Header Ad
Header Ad

এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জিয়া তো এমনি এমনি রাষ্ট্রপতি হননি, খালেদা জিয়াও তো এমনি এমনি প্রধানমন্ত্রী হননি। তেমনি তারেক সাহেবের ১৭ বছরের চেষ্টা, উদ্যোগ ও সংগ্রাম-সে তো প্রধানমন্ত্রী হবেই। ইলেকশন হবে। এই বছরের মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে পঞ্চগড় পৌরসভার সামনের মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শেখ পরিবার চোরের পরিবার। শেখ মুজিব ৪০ হাজার বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীকে রক্ষিবাহিনী দিয়ে হত্যা করেছিল। একদল করেছিল। ১৭ বছর পর এই বছরের মধ্যে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে সরকার। বিএনপির খেল এখনও দেখেননি। কয়েকটা জনসভা শুরু করেছি।

ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভাই আপনি ভাল লোক। একটা মর্যাদাশীল লোক। জ্ঞানীগুণী মানুষ। দেশে বিদেশে আপনার সুনাম আছে। এদের পাল্লায় পড়িয়েন না। বিএনপিকে রাস্তায় নামাইয়েন না। যদি একবার রাস্তায় নামান-ফুলের মালা দিয়ে আপনাকে বরণ করেছি, ফুলের মালা দিয়েই আপনাকে বিদায় করতে চাই।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির ও বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল ইসলাম, সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট রীনা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পিপি অ্যাডভোকেট আদম সুফি, যুগ্ন আহবায়ক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, যুগ্ম আহবায়ক এম এ মজিদ, বিএনপি নেতা ইউনুস শেখ প্রমুখ। সমাবেশে জেলা, পাঁচ উপজেলা, তিন পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিটের বিএনপিসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  

ছবিঃ সংগৃহীত

পরবর্তী জিম্মিদের অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে ইসরাইল। ফিলিস্তিনি জিম্মিদের মুক্তির বিলম্বকে নেতানিয়াহুর সময়ক্ষেপণের কৌশল হিসেবে অভিযুক্ত করেছে হামাস।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আরও ছয় জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর বিনিময়ে ছয় শতাধিক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও তা অমান্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

তিনি বলেন, সর্বশেষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই আপাতত ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে না। খবর রয়টার্স

এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিম্মিদের অসম্মান করা হয়েছে। এছাড়া অপপ্রচারের জন্য জিম্মিদের নিন্দনীয়ভাবে ব্যবহার করার জেরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপে অপমানজনক অনুষ্ঠান ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত শনিবার যেসব ফিলিস্তিনি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তাদের ছাড়া হবে না।’

দীর্ঘ প্রায় ১৬ মাস রক্তাক্ত সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। এরপর থেকে যুদ্ধবিরতির চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২৫ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের মুক্তির সময় বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এর আগে বৃহস্পতিবার চার ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস। তবে ওই দিন শিরি বিবাসের মরদেহের পরিবর্তে আরেক জনের দেহ হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় ইসরায়েল। অবশ্য পরদিন শিরি বিবাসের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

চলমান যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ৪২ দিনের। এই সময়ে মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। তারপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপ শুরুর কথা রয়েছে। তবে বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতিতে যেতে আগ্রহী নন নেতানিয়াহু।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল