ঘোর দুর্দিনে জনগণকে সংগঠিত করার কোন বিকল্প নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বিএনপি দেশ ও মানুষের উন্নয়ন এবং বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে গভীরভাবে বিশ্বাস করে। বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মহান দিনে দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের গতিশীল কার্যক্রম এবং নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার দৃষ্টান্ত এক অনন্য প্রেরণার সৃষ্টি করেছে। এই ঘোর দুর্দিনে জনগণকে সংগঠিত করার কোন বিকল্প নেই।’
বুধবার (৩১ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী দুঃশাসনের ছোবলে চারিদিকে মহা-আশঙ্কা পরিব্যাপ্ত। আইন, বিচার, প্রশাসনকে সরকার কব্জার মধ্যে নিয়ে জনগণের ওপর স্টীমরোলার চালাচ্ছে। খুন-খারাবী, নারী-শিশু নির্যাতন, অপহরণ, গুপ্তহত্যা ইত্যাদি অনাচারের মাত্রা এখন বিপজ্জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ সরকার যেখানে জনগণের প্রতিপক্ষ সেখানে মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা থাকতে পারে না। এই সরকার হরণের খেলায় মেতে উঠেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতন্ত্রকে পুণরুদ্ধার করতেই হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে হয়রানির খড়গ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া প্রতিহিংসার শিকার হয়ে প্রায় পৌণে পাঁচ বছর বন্দী জীবন-যাপন করছে। কারণ তিনিই গণতন্ত্রের প্রতীক এবং জনগণের নাগরিক ও বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে প্রধান কন্ঠস্বর। দেশের বর্তমান এই ক্রান্তিকালে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই দিনে আমি দেশবাসীকে বিএনপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার জন্য উদাত্ত আহবান জানাই।’
বাণীতে বলা হয়, ‘আজ থেকে ৪৪ বছর আগে দেশের এক চরম ক্রান্তিকালে জিয়াউর রহমান বীর এদেশের মানুষকে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসনের অন্ধকার যুগ থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আলোকোজ্জ্বল পথে নিয়ে এসে সেটিকে চিরস্থায়ী করতে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন। আমি তার প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সঙ্কটকালে অসীম সাহসিকতার সাথে জুলুম-নির্যাতনকে সহ্য করেও দুর্বার আন্দোলনে যিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন আমি সেই অদম্য সাহসের প্রতীক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। এই দিনে দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত যে সকল নেতৃবৃন্দ মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতিও জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বিএনপিকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে এখন পর্যন্ত যে সকল নেতাকর্মীরা আত্মদান করেছেন তাদের প্রতিও জানাই আমার অকৃত্রিম শ্রদ্ধা। আজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই শুভদিনে আমি দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী এবং দেশের জনগণকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
এমএইচ/এএস