ফের হাসপাতালে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া
চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে ফের রাজধানী এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রবিবার (২৮ আগস্ট) রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে তিনি রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে এসে পৌঁছালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বোর্ডের সদস্য ডা এ জেড এম জাহিদ হোসেন এ কথা জানান।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে এইবার নিয়ে ছয় বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বেশ কিছু পরীক্ষা করার জন্য তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা উনাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে মেডিকেল বোর্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়টি বারবার বলা হলেও দুঃখজনক সরকারের পক্ষ থেকে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, উনার শারীরিক অবস্থা যদি স্থিতিশীল থাকত তাহলে তো আজ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতো না। ছয় দিন পূর্বে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। আজকে আবারো এসেছিলেন কিন্তু চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আশা করি প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে একজন নাগরিক হিসাবে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার অতীতে যাই করুক এখন হয়তো তাদের টনক নড়া উচিত। এ ব্যাপারে যে সমস্ত আইনি বাধার কথা বলা হয়ে থাকে, যদি সরকার চায় , সত্তিকার অর্থে ফিল করে তাহলে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।
খালেদা জিয়া অসুস্থ। এক অর্থে তিনি এখনও গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন কাজেই বলার অপেক্ষা রাখে না যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দায়ভার সরকারকে গ্রহণ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে কতদিন থাকতে হবে এবং তার বিগত দিনের পরীক্ষার রিপোর্টগুলোতে কি এসেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে আগাম কোনও কিছু বলার সুযোগ নেই। তা ছাড়া কোন রোগীর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা চিকিৎসকদের বলাটা উচিত নয় দায়িত্ব নয়। রিপোর্টে কি এসেছে জানার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আপনাদের বোঝা উচিত এই রিপোর্টে যত কিছুই আসুক না কেন আজকে উনাকে হাসপাতালে আনতে হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এটাই বাস্তবতা। উনার রিপোর্টগুলো যদি ভাল হতো সুন্দর হতো তাহলে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা থাকত না।
এমএইচ/এসআইএইচ