সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

এখনই চূড়ান্ত আন্দোলন নয়, তবে মাঠে থাকবে বিএনপি

কৌশলগত কারণে এখনই সরকারবিরোধী চূড়ান্ত ও বড় কোনো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামতে চায় না বিএনপি। সরকারের সঙ্গে কোনোরকম সংঘাত এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার বার আন্দোলনের হুংকার দেওয়া দলটি। সবাইকে একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে এসে বড় আন্দোলন গড়ে তুলতে চায় বিএনপি। একইসঙ্গে মাঠ পর্যায়ে দলের নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে লাগাতার কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কেন্দ্র থেকে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে তৃণমূলে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ সব তথ্য জানা গেছে।

দলটির নেতারা বলছেন, সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার থাকলেও এখনই বড় কর্মসূচিতে যেতে রাজি নয় বিএনপি। তাদের ব্যাখ্যা হচ্ছে, নির্বাচনের বাকি এখনো দেড় বছর। এই অবস্থায় এখনই বড় কর্মসূচি দিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে চান না। বড় কর্মসূচি দিলে সংঘাত হবে এবং সরকার মামলা-হামলা আরও বাড়াবে। তার চেয়ে নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রেখে নির্বাচনের কাছাকাছি গিয়ে বড় আন্দোলন গড়তে চাইছে দলটি। সরকারবিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে রাজপথে নামার জন্য চূড়ান্ত কর্মসূচি দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকারের বাইরের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার কাজ শুরু করেছে বিএনপি।
ইতিমধ্যে অন্তত ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শেষ। নির্বাচনকালীন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবিতে আন্দোলন ইস্যুতে তারা এ ঐক্য গড়তে চায়।
সংলাপ শেষে সবার মতামত পর্যালোচনা করে ঐক্যের বিষয়ে দলগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব তুলে ধরার কথা রয়েছে বলে জানান বিএনপির একাধিক নীতিনির্ধারক।

বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এই মুহূর্তে বড় আন্দোলন নয়, বরং দেশের প্রতিটি উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় আসনের দলের সাবেক এমপি, কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

আগামী ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে লাগাতার কর্মসূচি পালন করতে কেন্দ্র থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূলে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সম্প্রতি, নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের রাজপথ দখল করতে হবে। রাজপথের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে আমরা অবশ্যই এ ফ্যাসিস্ট দানবীয় সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই একটা জনগণের সরকার, জনগণের রাষ্ট্র, জনগণের সমাজ তৈরি করব।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ‘বড় আন্দোলন’ গড়ে তোলার বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর চাপ রয়েছে। এ কারণে সম্প্রতি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মহানগর, ওয়ার্ড, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার (১৬আগস্ট) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠি জেলা ও মহানগরের সভাপতি/ আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক/ সদস্য সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি উপজেলা/থানা/পৌর পর্যায়ে সভা সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি নির্ধারণ করবে জেলার নেতারা। প্রতিদিন প্রতিটি জেলা বা মহানগরের একটি থানা বা উপজেলায় কর্মসূচি হতে হবে। এ কর্মসূচিতে জেলার নেতারা, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব (সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা) ও সাবেক সংসদ সদস্য উপস্থিত থাকবেন।

প্রতিটি ওয়ার্ড বা ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচির দিন তারিখ নির্ধারণ করবে উপজেলা, পৌর বা থানার নেতারা। প্রতিদিন একটি করে ওয়ার্ড অথবা ইউনিয়নে কর্মসূচি পালন করতে হবে। উপজেলা, পৌর বা থানার নেতারা এ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

বিএনপির ১১ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে এ কর্মসূচি পালনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এসব কর্মসূচি সফল করতে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতিটি ইউনিটে কর্মসূচির তারিখ নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় দপ্তরকে জানাতে হবে।

এদিকে ঢাকা মহানগর বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা বলেন, ঢাকাকে প্রস্তুত না করলে কোনো আন্দোলন সফল হবে না। কারণ এখনো ঢাকা আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয়। ঢাকায় যে সভা-সমাবেশ হয় তাতে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ নেতা-কর্মী হচ্ছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এবং মামলা-হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছাড়া মফস্বলের নেতা-কর্মী।

ঢাকা মহানগর বিএনপির (উত্তর ও দক্ষিণ শাখা) ওয়ার্ড ও থানা কমিটির নেতাদের দেখা পাওয়া খুব কঠিন। ওয়ার্ড বা থানা পর্যায়ের কর্মসূচি হলেই তাদের দেখা যায়। ঢাকার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল মিটিং না হলে কার্যকর আন্দোলনও গড়ে উঠবে না।

এনএইচবি/টিটি

Header Ad
Header Ad

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল

ছবি: সংগৃহীত

অ্যানফিল্ডে শিরোপা উৎসব করার সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন লিভারপুলের ফুটবলার ও সমর্থকরা। কিন্তু শুরুতেই গোল হজম করে নিস্তব্ধতা নেমে আসে গ্যালারিতে।

এক গোল খেয়ে গর্জে উঠতে সময় লাগেনি অলরেডদের। একের পর এক গোলে গ্যালারির লাল সমুদ্রে যেন উত্তাল ঢেউ উঠেছিল, ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতে তা সুনামিতে রূপ নেয়। ২০২৪-২৫ চ্যাম্পিয়ন্স লেখা জার্সি পরে উল্লাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। বিশেষ জার্সি পরে উচ্ছ্বাসে ভাসতে দেখা যায় মোহাম্মদ সালাহ-ভার্জিল ফন ডাইকদের। রেকর্ড ছোঁয়া ২০তম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতে রঙিন উৎসবে মেতে ওঠে লিভারপুল। সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয়ী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ছুঁয়েছে তারা।

রবিবার লিভারপুলের দরকার ছিল কেবল এক পয়েন্ট। অ্যানফিল্ডে টটেনহাম হটস্পারকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন পয়েন্ট আদায় করলো তারা। জিতেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করলো অলরেডরা। ৩৪ ম্যাচে ৮২ পয়েন্ট তাদের। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের ৬৭ পয়েন্ট। আর কোনোভাবেই লিভারপুলকে পেছনে ফেলা সম্ভব নয়। তাতে চার ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে লিভারপুল।

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ছবি: সংগৃহীত

১২ মিনিটে ডমিনিক সোলাঙ্কের হেডে টটেনহাম এগিয়ে গিয়েছিল। লিভারপুল পিছিয়ে পড়লেও গর্জে ওঠে। গোল খাওয়ার চার মিনিট পর লুইস দিয়াজ সমতা ফেরান। ২৪তম মিনিটে অ্যালেক্স ম্যাক অ্যালিস্টার লিভারপুল এগিয়ে দেন। বিরতির আগে ৩৪তম মিনিটে তৃতীয় গোল করেন কডি গাকপো।

৬৩ মিনিটে সোবোসলাইয়ের পাস ধরে ডানপ্রান্ত দিয়ে জাল কাঁপান মোহাম্মদ সালাহ। চলতি প্রিমিয়ার লিগে ২৮তম গোল করে শীর্ষ গোলদাতার আসন আরও সুসংহত করলেন মিশরীয় ফরোয়ার্ড। ১৮৫তম গোলে প্রিমিয়ার লিগের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় সার্জিও আগুয়েরোকে পেছনে ফেলে পঞ্চম স্থানে উঠে গেলেন সালাহ।

ছয় মিনিট পর আলেক্সান্ডার আর্নল্ডের ক্রস সালাহর কাছে পৌঁছানোর আগেই বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে বল জড়ান টটেনহাম ডিফেন্ডার উডোগি।

ছবি: সংগৃহীত

লিভারপুলের আর্নে স্লট পঞ্চম কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই প্রিমিয়ার লিগ ট্রফি জিতলেন। হোসে মরিনহো, কার্লো আনচেলত্তি, ম্যানুয়েল পেল্লেগ্রিনি ও আন্তোনিও কোন্তে এর আগে এই কীর্তি গড়েন।

ফেনুর্দকে শিরোপা জিতিয়ে ইংল্যান্ডে পা রেখে সফল হলেন স্লট। উচ্ছ্বসিত হয়ে তিনি বললেন, ‘কিছু জেতা সবসময় বিশেষ। আর সেটা আরও বিশেষ হয়ে ওঠে, যদি আপনি প্রথম হন। আরও বিশেষ হওয়ার কারণ এমন একটি ক্লাবে এই সাফল্য পাওয়া, যাদের প্রত্যেক বছর লিগ জেতা হয়ে ওঠে না।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে অবস্থান করে নানা ধরনের ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিচ্ছেন।

সম্প্রতি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তবে মোদি জানিয়েছেন, তিনি শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না। কারণ দেশটিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উন্মুক্ত, এটা ব্যবহার করে কেউ বক্তব্য দিলে তিনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার (২৭ এপ্রিল) আলজাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

‘টক টু আল-জাজিরা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ছিলেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, আওয়ামী লীগ সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ আসে।

আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার বলেন, শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?

এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান। তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। আর এজন্য আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

এ সময় আল-জাজিরার সাংবাদিক জানতে চান, তখন মোদি কী বলেছিলেন। জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনো কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

আল-জাজিরার উপস্থাপক এক পর্যায়ে প্রশ্ন করেন- এটা কি বলা ঠিক যে শেখ হাসিনার পতনের পরের মধুচন্দ্রিমা এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনো মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আজ আমাদের নির্বাচন। কেউ তা বলেনি। এই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের হস্তান্তর করো।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার

ছবি: সংগৃহীত

চূড়ান্ত বাঁশি বাজার ঠিক আগে এক উত্তপ্ত ঘটনার জন্ম দেন রিয়াল মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার। এরিক গার্সিয়ার বিরুদ্ধে কিলিয়ান এমবাপের করা একটি ফাউলের প্রতিবাদে বেঞ্চে থাকা রুদিগার ক্ষিপ্ত হয়ে রেফারির দিকে আইস ব্যাগ ছুঁড়ে মারেন, যার ফলে তিনি সরাসরি লাল কার্ড দেখেন।

ঘটনা সেখানেই শেষ হয়নি। লাল কার্ড দেখার পর রুদিগার আরও উত্তেজিত হয়ে রেফারির দিকে তেড়ে যান, তবে ক্লাবের টেকনিক্যাল কমিটির এক সদস্য তাকে আটকান। পরে মাথা ঠাণ্ডা হলে রুদিগার নিজের আচরণের জন্য অনুতপ্ত হন এবং রোববার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রেফারি দে বুরগোস বেঙ্গোইচিয়ার কাছে ক্ষমা চান।

নিজের ভুল স্বীকার করে রুদিগার লেখেন, "গতরাতের আচরণের কোনো যুক্তি নেই। আমি সত্যিই দুঃখিত, এবং রেফারির কাছেও ক্ষমা চাইছি।" একইসঙ্গে তিনি নিজের পারফরম্যান্সের দুর্বলতার কথা স্বীকার করেন এবং দলের দুর্দান্ত দ্বিতীয়ার্ধের পারফরম্যান্সের প্রশংসা করেন।

রেফারির ম্যাচ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রুদিগার টেকনিক্যাল এরিয়া থেকে একটি বস্তু ছুঁড়েছিলেন, যদিও তা রেফারির শরীরে লাগেনি। এছাড়া লাল কার্ড প্রদর্শনের পর তাকে শান্ত করতে টেকনিক্যাল স্টাফদের এগিয়ে আসতে হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

টটেনহামকে উড়িয়ে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল
শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে পারবেন না মোদি
রেফারির কাছে ক্ষমা চাইলেন মাদ্রিদের ডিফেন্ডার আন্তনিও রুদিগার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা উপহার দিলেন ছাত্রদল নেতা
দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নওগাঁয় গ্রাহকের আমানতের টাকা ফেরত না দেওয়ায় জাতীয় পার্টি’র নেতাকে গণধোলাই
পাকিস্তানের পাশাপাশি বাংলাদেশকেও পানি না দেওয়ার আহ্বান বিজেপি এমপির
এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ, ৫৯৯ জনকে প্রাথমিক সুপারিশ
হাকিমপুরে গরীবের চাল ছাত্রলীগ নেতার গুদামে
চুরির অভিযোগে কুবির দুই শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগবাড়িয়ে কিছু করার পক্ষে নয় ঢাকা
সাব-ইন্সপেক্টর পদে প্রাথমিক সুপারিশ পেল ৫৯৯ জন
দুই উপদেষ্টার এপিএস-পিও’র দুর্নীতির খোঁজে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু
নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চায় জামায়াত
কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক এমপি জাফর আলম গ্রেপ্তার
ভারতের দিকে তাক করা পাকিস্তানের ১৩০ পারমাণবিক বোমা
চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় তাওহিদ হৃদয়, বাড়ছে নাটকের রঙ
উত্তেজনার মধ্যেই যুদ্ধজাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল ভারত
ছেলে খুঁজে পাচ্ছি না, একজন জীবনসঙ্গী দরকার: মিলা
টাঙ্গাইলে শ্রমিকদলের নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ