আওয়ামী লীগের দরপতন হয়েছে: গয়েশ্বর
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘২০১৮ সালে প্রথমে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে পরে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্তে আগামীতে বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়া নিয়ে জনগণের মধ্যে সন্দেহ রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বার বার বলছি এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয়। এইটা নতুন কথা না। ২০১৮ সালের আগেও আমরা বলেছি। নির্বাচনের যাওয়ার আগমুহূর্তেও বলেছি কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা নির্বাচনে চলে গেছি। সে কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে, সাধারণ কর্মীদের মধ্যে আমাদের যে হুংকার সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না সেইটা তে কিছুটা সন্দেহ আছে। কিছু আশঙ্কা আছে।’
মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি শফিউল বারী বাবুর দ্বিতীয় শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘এই আশঙ্কা যদি আমরা দূর করতে পারি এবং আমাদের কমিটমেন্টের জায়গায় দৃঢ় থাকি তাহলে আমার মনে হয় আন্দোলন, হরতাল অবরোধ কিছুই হতো না। শেখ হাসিনা থাকার কোনো সুযোগ নাই। কারণ, সময় সময় সব কিছু দিয়ে ধোকা দেওয়া যায় না। ধোকা দেওয়ার যতগুলো উপকরণ আছে সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তাকে কেউ বিশ্বাস করে না। তাই ২০১৮ এর মতো আরেকটা অপকর্ম করবে, সেই সুযোগটা তার নাই।’
আওয়ামী লীগের দাম কমেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘একটা জিনিসের দাম বাংলাদেশে প্রতিনিয়তই কমছে আর সেইটা হলো আওয়ামী লীগ। শেয়ার মার্কেটে আওয়ামী লীগের দরপতন ঘটেছে। ১০০ টাকার শেয়ার এখন ৫ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু শেয়ার বাজারে বিএনপির দরপতন ঘটেনি।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আজকে বর্তমান পেক্ষাপটে মানুষের অভাব অনটনের শেষ নাই। কর্মসংস্থান নাই, মানুষের আয় নাই। ব্যয় বেড়েছে। এমন কিছু জিনিস নাই যেটার দাম বাড়ে নাই।
তিনি বলেন, ‘আজকে নির্বাচন কমিশন নিয়ে কোনো কথা বলার দরকার নাই। আমি নির্বাচনে যাব না আমি কেন তার কথা শুনব। আর সে কে রাজনৈতিক মীমাংসা করার? রাজনীতির মীমাংসা রাজনীতিবিদরা করবে। রাজনৈতিক দলগুলো করবে। সেখানে ফয়সালা মাঠে কবে না আলোচনায় করবে।’
তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আমি কথা বলব কেন? আমি নির্বাচন করব না ইভিএম দিয়ে কী করব। আমি যখন নির্বাচন করব সেই পরিবেশ আসবে তখন আমি ইভিএম নিয়ে কথা বলব।’
এমএমএ/