দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিদ্যুতের লোডশেডিং ও জ্বালানি খাতে অব্যবস্থাপনা বিরুদ্ধে ভোলার সমাবেশে পুলিশি হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে আগামী মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভসহ দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
রবিবার (৩১ জুলাই) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভোলায় বিক্ষোভে পুলিশ অতর্কিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবদুল রহিম নিহত হয়। আরো অনেকে হতাহত হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদী ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই হত্যাকাণ্ডে প্রতিবাদে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আগামীকাল সোমবার (১ আগষ্ট) সারাদেশে জেলা পর্যায়ে গায়েবানা জানাজা হবে। ঢাকায় হবে সকাল সাড়ে ১১টায় নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। আগামী ২ আগস্ট ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুতের লোডশেডিংসহ জনদুর্ভোগের বিষয়ে একটা সমাবেশের ওপর পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে। এটা একটা বড় ধরনের ঘটনা। আমি সারাদেশের জনসাধারণকে এরকম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, প্রতিবাদ জানানোর আহবান জানাচ্ছি।'
‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর পুলিশি হামলা ও গুলি বর্ষণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। তাদের যে হীন লক্ষ্য যেটা একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা ব্যবস্থা, বিনা ভোটে সরকার গঠন করা এবং জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো পদদলিত করা সেটা প্রস্ফুটিত হয়েছে।'
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন না আজকে বিদ্যুতের দাবিতে এই বিক্ষোভ হয়েছে। এটা জনগণের দাবি। এটা সরকারের পরিবর্তনের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি ছিলো না। সেটাকেই তারা সহ্য করতে পারছে না। সেখানে তারা বিনা উস্কানিতে গুলি করেছে, আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে, হত্যা করেছে।'
এই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে লোডশেডিং ও জ্বালানি অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জেলা জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসেবে ভোলা শহরে মহাজনপট্টি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিম নিহত হয়। এই ঘটনায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।