হবিগঞ্জের ওসি-এসপির অপসারণের দাবি মির্জা ফখরুলের
হবিগঞ্জে বিনা উসকানিতে পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ ঘটনার জন্য জেলার পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, ওসি মাসুক আলী ও নাজমুল হাসানকে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের অপসারণ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ দাবি জানান। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার সিলেট বিভাগের সব উপজেলায় এবং শনিবার সব জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণাও দেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, হবিগঞ্জে যে গুলিবর্ষণ হয়েছে, এর মূল কারণটাই ছিল হবিগঞ্জে বিএনপির একটা শক্তিশালী জায়গা আছে। সেখানকার বিএনপির নেতারা বরাবরই প্রমাণ করেছেন, সেখানে শক্তিশালী একটা সংগঠন আছে। সে জন্য এ জায়গায় তারা আঘাত করেছে। পুলিশ বিনা উসকানিতে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও দাবি করেন, পুলিশের নির্বিচারে লাঠিপেটায় বিএনপির ৩০০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে হবিগঞ্জের জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শফিকুর ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজীব আহসান, যুগ্ম সম্পাদক সাইদুর রহমান ছাড়াও আবদুল মতিন, শেখ রাসেল, গোলাম বাকী চৌধুরী, মানিক মিয়া, তৌহিদুর রহমা, বেলাল আহমেদ, আসিফুল ইসলাম, মুজাক্কির ইমন, গৌর চন্দ্র দাশ, মোশায়েদ আলম উল্লেখযোগ্য। এরমধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সাইদুর রহমানের চোখ নষ্ট হয়ে গেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ২২ তারিখ সারা দেশে বিভাগীয় পর্যায়ে ৭টি জেলায় আমাদের সমাবেশ কর্মসূচি ছিল। ছয়টিতে মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি করা গেছে। হবিগঞ্জে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। এসপি মুরাদ আলীর নির্দেশে ওসি নাজমুল হাসান, মাসুক আলী সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে শটগানের প্রায় ১ হাজার ২টি গুলি ছোড়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে বেআইনি। আইনত সারা বিশ্বে শটগানের গুলি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এনএইচ/এমএমএ/