একটাই দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, অনির্বাচিত সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রত্যাহারের দাবি নয়-একটাই দাবি শেখ হাসিনা কবে যাবি। তার জন্য যে কাজ করলে সরকার পতন হবে সে কাজটাই করতে হবে। কারণ কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে বৃথা যায় না, যাবে না।
বুধবার ৮ জুন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেশের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রতিবাদসভা আয়োজন করেছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
তিনি বলেন, আমরা এই ফ্যাসিস্ট ও তার অনুসারীদেরকে বিতাড়িত করবো। দল মত নির্বিশেষে সবাই চায় সরকারের পদত্যাগ চায়, তার ফয়সালা হবে রাজপথে। জনগণের দেশ জনগণ বুঝে নিবে। সেক্ষেত্রে এই অনির্বাচিত সরকার ও তাদের দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারীদের হিসাব দিতে হবে। দেশে কোন খুন, গুম, দুর্নীতি, ধর্ষণ ও মুদ্রাপাচারের হিসাব দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গণতান্ত্রিক পথে আমরা সরকারকে বিদায় করব। বিএনপি কারো দেহ থেকে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে এই সরকারের পদত্যাগ। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আমরা আপনার নেত্রীকে মারার হুমকি দিব কেন? মারার হুমকি দেওয়ার অভ্যাস তো আপনাদের আছে আমাদের নেই। আমরা গণতন্ত্র চাই ভোটাধিকার চাই কারণ জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে জনগণের বারোটা বাজিয়ে আছেন আর আপনাদের বারোটা তো অনেক আগেই বাজিয়েছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে অতীতেও নির্বাচিত হতে পারে নাই ভবিষ্যতেও নির্বাচিত পারবে না। অতীতের মতো দিনের ভোট রাতে চুরি ডাকাতি ছিনতাই করে আর ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নাই। আওয়ামী লীগ সরকারকে যেতে হবে। লোকজন বলে প্রধানমন্ত্রী নাকি যেদিন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন তার পরের দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
দলের নেতাকর্মীদের কে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রস্তুত থাকুন কর্মসূচি চাইবেন না। আন্দোলন চলমান। ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন হয় না। নিজের প্রয়োজনে নিজেকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে। নিজ নিজ এলাকায় চলে যান জনগণ ও নেতাকর্মীদের সংঘটিত করুন। আন্দোলনকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে, সেজন্য সকল জনপথ দখলে আনতে হবে।