বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাত্র সংগঠনকে সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছে সরকার: নুর

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে সরকারি দলের সহযোগী ছাত্র সংগঠনকে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত করেছে। ফলে ১৩ বছর ধরে ভিন্ন রাজনৈতিক মতের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে অবস্থান তো দূরের কথা, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাঠ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এমনকি পরীক্ষা পর্যন্ত দেওয়ার সুযোগ পায় না।

মঙ্গলবার (৩১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডাকসুর সাবেক নেতাদের উদ্যোগে 'শিক্ষা বাঁচাও, শিক্ষাঙ্গন বাঁচাও' শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তুলে নুর।

তিনি বলেন, সরকারি দলের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন চর দখলের মত করে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে রেখেছে। ভিন্নমত পোষণ এমনকি কেবলমাত্র সরকারি দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ায় নির্মম শারীরিক নির্যাতন, হল থেকে বের করে দেওয়া এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটেছে বারংবার। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের দলদাস নির্লজ্জ প্রশাসন বরাবরই নির্লিপ্ত থেকেছে। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে নুর বলেন, দেশের ধ্বংসপ্রায় শিক্ষা ব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনের নৈরাজ্যমূলক অবস্থার প্রেক্ষিতে আমরা ডাকসুর সাবেক নেতারা আজ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। বিগত ১৩ বছর ধরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বর্তমান ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার। নিজেদের ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে তারা দেশকে মেধাহীন করার সকল ব্যবস্থা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা থেকে শুরু করে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস এখন একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এসব ঘটনায় ক্ষমতাসীন দল এবং এর সহযোগী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের নাম প্রমাণসহ ওঠে আসার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। উপরন্তু প্রমাণিত সত্যকে অস্বীকার করা হয়েছে সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে।

নুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সরকারের আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে। জাতির মনন গঠনের কারিগর শিক্ষকদের দলদাসে পরিণত করা হয়েছে। যে সকল সম্মানিত শিক্ষকরা নিরপেক্ষভাবে সত্যিকারের শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি এবং শিক্ষাদানের চেষ্টা করছেন তাদের বিভিন্নভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে।

তিনি বলেন, গত ২৪ এবং ২৬ মে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। তারা মধ্যযুগীয় কায়দায় নিষ্ঠুরভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের রাস্তায় ফেলে পিটিয়েছে। এমনকি তারা কাপুরুষোচিতভাবে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা চালিয়েছে। নারী শিক্ষার্থীদের ওপর এমন নির্মম হামলার ঘটনা পাকিস্তান আমলেও কখনো ঘটেনি। হামলার শিকার এসব বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে রয়েছেন। নারী শিক্ষার্থীদের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই হামলায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে যা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছবি এবং ভিডিওসহ উঠে এসেছে। এই হামলায় জড়িতদের নাম-পরিচয়, হামলা এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ছবি, ভিডিও সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলেও দলদাস বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি ঘটনার বিষয়ে জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অযোগ্য উপাচার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এই ঘটনায় হামলার শিকার ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকে দায়ী করে মামলাও করেছেন।

দেশের সকল শিক্ষাঙ্গন আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এমন অভিযোগ করে সাবেক ভিপি নুর বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনকে বাঁচানো শুধুমাত্র ছাত্র সংগঠন বা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। এই দায়িত্ব সবার। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা ডাকসুর সাবেক নেতারা দেশের সকল ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক, পেশাজীবী, ডাকসুসহ দেশের সকল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান ছাত্র সংসদ নেতারা, সাবেক-বর্তমান ছাত্র নেতাসহ দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, দেশ আজ এক চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের সকল সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, জনগণের ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে, মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে, শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ধ্বংস করেছে। তারা গুম, খুন, হামলা, মামলা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্যাতন, নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধী মতকে দমন করে একটি একনায়কতান্ত্রিক স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের জনগণ বিশেষ করে ছাত্র সমাজ বরাবরই রুখে দাঁড়িয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি আ স ম আব্দুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, আমান উল্লাহ আমান, জি এস খায়রুল কবির খোকন, এ জি এস নাজিমউদ্দিন আলম উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচ/এসজি/

Header Ad
Header Ad

ছোট অপরাধ বাড়লেও কমেছে বড় অপরাধ: আসিফ মাহমুদ  

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানীতে সাম্প্রতিক সময়ে বড় ধরনের অপরাধ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, তবে ছোটখাটো অপরাধ কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে বিজয় সরণিতে ঢাকা মহানগরের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এখনও পুরোপুরি আগের অবস্থানে ফিরে আসেনি। এটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। তবে বাহিনীকে পুনর্গঠনের জন্য নতুন নিয়োগ ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, দ্রুতই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সাম্প্রতিক অপরাধ দমনে পুলিশের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায় বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আওতায় চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।

ছিনতাই ও ছোট অপরাধ বেড়েছে স্বীকার করে আসিফ মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাইসহ ছোটখাটো অপরাধ কিছুটা বেড়েছে। তবে এরই মধ্যে বিশেষ টহল ও চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।

'আমরা বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সেনাবাহিনী ও অন্যান্য বাহিনীর সহায়তায় ব্লক রেইড ও নজরদারি চালানো হচ্ছে। আশা করছি দ্রুতই পরিস্থিতির উন্নতি হবে' বলেন উপদেষ্টা।

তিনি আরও বলেন, যে কোনও দেশেই অপরাধ থাকে, তবে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব। বড় ধরনের অপরাধ যেমন, খুন, ডাকাতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে, তবে সাম্প্রতিক সময়ে ছিনতাই কিছুটা বেড়েছে। আশা করছি, এটিও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।

সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন অপরাধের ভিডিও নিয়ে তিনি বলেন, একটি ঘটনা ভাইরাল হলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়, যা বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে বেশি মনে হতে পারে। অপরাধের প্রকৃত চিত্র বুঝতে পরিসংখ্যানের ওপর নির্ভর করা উচিত।

চাঁদাবাজি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেখা গেছে, আগের চাঁদাবাজদের জায়গায় নতুনরা এসেছে। তাদের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধনও রয়েছে। আমরা রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতাদের আহ্বান জানাই, যেন তারা এসব অপরাধকে প্রশ্রয় না দেন।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্র হাতে চাঁদাবাজির ঘোষণা দিচ্ছে। এটি দুঃখজনক। সরকার চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

জামিনে মুক্ত হয়ে আসা অপরাধীদের বিষয়ে তিনি বলেন, আগে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল, তারা এখনও তাদের সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নজরদারিতে রেখেছে এবং প্রয়োজনে আবারও গ্রেফতার করা হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

Header Ad
Header Ad

নায়িকার মামলায় জাজের আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  

জাকিয়া জামাল মুন ও জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ। ছবিঃ সংগৃহীত

ঢালিউডের নবাগত নায়িকা জাকিয়া কামাল মুনের দায়েরকৃত প্রতারণার মামলায় প্রযোজনা সংস্থা জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালত তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক লিখিত চুক্তির মাধ্যমে ‘পাপ’ সিনেমা নির্মাণে সহযোগিতার জন্য প্রযোজক আবদুল আজিজকে এককালীন ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেন নায়িকা জাকিয়া কামাল মুন। একই বছরের মার্চের মধ্যেই সিনেমার কাজ শেষ করার কথা ছিল।

চুক্তিনামার শর্ত অনুযায়ী বিনিয়োগকৃত টাকা ফেরত দেননি আবদুল আজিজ। এ ব্যাপারে বারবার আইনজীবীর মাধ্যমে নোটিশ করা হলেও তা উপেক্ষা করেছেন তিনি। বিপরীতে গত বছরের মে মাসে ‘পাপ’ সিনেমাটি একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এক কোটি ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।

আরও জানা গেছে, আবদুল আজিজ টাকা ফেরত প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি হুমকি দিয়েছেন যে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে বাদীর ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেবেন।

এদিকে এ ব্যাপারে অভিনেত্রী মুন বলেছেন, আমি বারবার টাকা ফেরত চেয়েছি। কিন্তু তিনি দেননি। এমনকি আমার ফোনও ধরছেন না তিনি। বরং আমাকে আরও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। এ কারণে বাধ্য হয়েই মামলা করেছি আমি।

অন্যদিকে মামলার ব্যাপারে জানার জন্য সংবাদমাধ্যম থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি আবদুল আজিজের।

২০১২ সালে জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসার রঙ’ মুক্তি পায়। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যানারে একাধিক সুপারহিট সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যা দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিতও।

Header Ad
Header Ad

মধুর ক্যান্টিনে বিকেলে যাত্রা শুরু করবে সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠন

ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধীদের নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে আজ। বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে সংগঠনটি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে বেরিয়ে নতুন ছাত্রসংগঠন করতে যাচ্ছে জুলাই অভ্যুত্থানে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের একটি অংশ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আল মাশনুন নামের এক শিক্ষার্থী এ তথ্য জানান।

সূত্র জানায়, সংগঠনটির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয়ে গঠিত রাজনৈতিক দল বা মূল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকবে না। দলটি কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিতে জড়িত হবে না। কোনো ‘মাদার সংগঠন’-এর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন বা কোনো রাজনৈতিক দলের কথামতো তারা সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে না। বলা হচ্ছে সংগঠনটির আয়ের উৎস হবে অভ্যন্তরীণ নেতাকর্মীদের মাসিক চাঁদা। প্রয়োজন মাফিক শুভাকাঙ্ক্ষীদের থেকেও অনুদান সংগ্রহ করা হতে পারে।

সংগঠনটির নির্বাচনে ‘টপ টু বটম’ গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে। তাছাড়া সংগঠনের সম্ভাব্য কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী বয়স নির্ধারিত থাকবে। কোনো শিক্ষার্থী সংগঠনটিতে আসতে চাইলে তার বয়স সর্বোচ্চ ২৮ হতে পারবে।

আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ক্ষেত্রে তার অনার্সে ভর্তির পর থেকে সাত বছর সময় হতে পারবে। তার মানে ছাত্র ব্যতীত কেউ এ সংগঠনের কমিটিতে আসার সুযোগ পাবে না।

তাছাড়া মূলধারার রাজনৈতিক পরিসরে নারীদের যে অনুপস্থিতি রয়েছে সেটিকে চিহ্নিত করে নারীর রাজনৈতিক মানদণ্ড বিনির্মাণ করা, রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করা এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে নারীবান্ধব করে তোলার মাধ্যমে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান সুযোগের সৃষ্টি করার লক্ষ্যে সংগঠনটি কাজ করে যাবে বলেও প্রত্যাশা রাখেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সূত্রে জানা যায়, আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হওয়ার দৌড়ে আলোচনায় আছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার। অন্যদিকে ঢাবির আহ্বায়ক পদের আলোচনায় রয়েছেন ৯ দফার ঘোষক আব্দুল কাদের।

অন্যদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে নতুন রাজনৈতিক দলটি আত্মপ্রকাশ করবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ছোট অপরাধ বাড়লেও কমেছে বড় অপরাধ: আসিফ মাহমুদ  
নায়িকার মামলায় জাজের আজিজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  
মধুর ক্যান্টিনে বিকেলে যাত্রা শুরু করবে সমন্বয়কদের নতুন ছাত্রসংগঠন
১৩ মার্চ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘ মহাসচিব  
গোল উৎসবে নিষ্প্রাণ বার্সার রক্ষণ, সেমিফাইনালের প্রথম লেগ ড্র
ইসরায়েলি কারাগারে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু  
পল্টনের জামান টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে  
ভোরে হঠাৎ পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
কেরানীগঞ্জে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নারী নিহত
নওগাঁয় যৌথ বাহিনীর টহল সন্দেহ হলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ
সরকারের কারও কারও বক্তব্যে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে: তারেক রহমান
বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, আটক ৪
জুলাইয়ে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় আসবে পাকিস্তান
টাঙ্গাইল পৌরসভায় দুদকের অভিযান
ডিআইজি-এসপিসহ পুলিশের ৮২ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে ওএসডি
অনির্দিষ্টকালের জন্য কুয়েট বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়ার নির্দেশ
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হলেন ৭ জন অতিরিক্ত সচিব
দেশজুড়ে ডেভিল হান্টে আরও ৬৩৯ জন গ্রেপ্তার
এআই প্ল্যাটফর্ম সালামা: ২০ সেকেন্ডে মিলবে দুবাইয়ের ভিসা
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ পণ্ড হওয়ায় যেমন দাঁড়ালো ‘বি’ গ্রুপের সমীকরণ