লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত সরকার: মোস্তফা ভুইয়া
বতর্মান সরকার জনগণের নয়, ব্যবসায়ী আর লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, মন্ত্রীদের বক্তব্য প্রমাণ করে তারা জনগণের সরকার নয়। জনগণের সুবিধা-অসুবিধার কোনো চিন্তাই তাদের মাথায় নেই। যে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা কথা রাখেননি, মৎস্যমন্ত্রী বলেন, জনগণ তিন বেলা গরুর মাংস খেতে পারে, তখন বুঝতে হবে সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীদের জনগণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা শুধু লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত। লুটেরাদের অবস্থান দেখে তারা জনগণের অবস্থার বিচার করছে।
সোমবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা বন্ধ: খাদ্য পণ্যের দাম কমাও-মানুষ বাঁচাও’ ব্যানারে মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার নেই। ফলে দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কুপোকাত। সরকার পণ্যের দামের এ ঊর্ধ্বগতি থামাতে পারছে না। কেননা সরকার পরিচালিত সিন্ডিকেটই মূল্যবৃদ্ধি করেছে। তাই সরকার এ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত। তবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে না পারলেও নতুন করে গ্যাস আর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের পকেট কাটার পাঁয়তারা করছে।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হলে বহুগুণিতক হারে সব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে। ফলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ইতিহাসের সবে রেকর্ড ভেঙেছে। কারণ বাজার অর্থনীতি অব্যাহত রেখে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মানুষের ন্যূনতম বেঁচে থাকার জন্য যতটুকু প্রয়োজন সেই ক্রয় ক্ষমতাও তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। আর সরকারের আচরণে প্রমাণিত হয়- এ সরকার দুর্নীতিবাজ, আমলা, লুটেরা রাজনীতিবিদ, সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করে। জনগণের কাছে এরা দায়বদ্ধ নয়। দুর্নীতি, লুটপাট, ঋণখেলাপিদের দৌরাত্ম, টাকা পাচার আর মেগা প্রজেক্ট দেশকে সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ মজুতদার-মুনাফাখোর ও মধ্যস্বত্বভোগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে নিত্যপণ্যের স্টক গড়ে তুলতে হবে। স্বল্প আয়ের মানুষকে সারাদেশে পর্যাপ্ত ন্যায্যমূল্যের দোকান ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়াতে হবে। অতি দরিদ্রদের নগদ সহায়তা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়ার সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মো. মহসীন ভুইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশীদ, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি মো. কামাল ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মিতা রহমান, জাতীয় জনতা ফেরাম সভাপতি মুহম্মদ অলিদ সিদ্দিকী তালুকদার, ঢাকা মহানগর সহসভাপতি শফিকুল আলম শাহীন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক বাদল দাস, জাতীয় নারী আন্দোলনের সহসভাপতি জীবন নাহার, আসমা মল্লিকা, যুগ্ম সম্পাদক মির্জা তাহমিনা রহমান প্রমুখ।
এসএন