রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তারেক রহমানের ঈদ উপহারের টাকা রেখে খাম দেওয়ার অভিযোগ

সরকারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম অংশগ্রহণ করে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার দলের বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মীদের প্রতিনিয়ত নানাভাবে আর্থিক সহায়তা-সহযোগিতা করে আসছে বিএনপির হাইকমান্ড। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারও নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের পরিবারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে গাইবান্ধার সর্বানন্দ ইউনিয়নে ঈদ উপহার সামগ্রীর কিছু উপহার পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও নবগঠিত সর্বানন্দ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সাদ্দাম হোসেন ২০১৪ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। এরপর থেকে প্রতিবছর তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে আসছেন। কিন্তু এই বছর ঈদ উপহার হিসাবে যে টাকা দেওয়া হয়ে ছিল তা গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক গুলিবিদ্ধ মো. সাদ্দাম হোসেনের কাছে পৌঁছে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা কৌতুহল বশত খাম চেক করতে গিয়ে ব্যাপারটা সামনে নিয়ে এসেছে। বিষয়টা ঐ ইউনিয়নের নেতা আবু তাহের আলমের দৃষ্টি গোচর হলে তিনি জেলা নেতাদের অবহিত করেছেন। একইসঙ্গে সর্বানন্দ ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং শিগগিরই ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে তারেক রহমানের দেওয়া উপহার গায়েব করে দেওয়ার মূলহোতার কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছে।

এদিকে তারেক রহমানের পাঠানো ঈদ উপহার সামগ্রী গায়েব হওয়ার ঘটনাটা সমগ্র জেলায় ছড়িয়ে পড়লে পরদিন রাতে বিকাশের মাধ্যমে টাকা ফেরত দেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক। এরপর থেকে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে বলেও জানা যায়।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে গাইবান্ধা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তারেকুজ্জামান তারেক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘এক দিনে দুইটি ইফতার পার্টি থাকায় কিছুটা তাড়াহুড়া ছিল। তাই খামের ভেতর টাকা রাখা হয়েছে কিনা ক্রসচেক করার সুযোগ হয়ে উঠেনি। কিন্তু যখন জানতে পেরেছি খামের ভেতরে টাকা নেই সঙ্গে সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের কাছে চেয়ে মো. সাদ্দাম হোসেনের বিকাশ নম্বর সংগ্রহ করেছি, বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি তাও আবার দুইবার, প্রথমবার ভুল নম্বরে টাকা পাঠানো হলেও পরবর্তীতে সঠিক নম্বরে টাকা পাঠিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘মো. সাদ্দাম হোসেন রাজপথের সহযোদ্ধা, সংগঠনের জন্য নিবেদিত, আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে নানাভাবে নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার তার ঈদ সামগ্রী/ ঈদ উপহার পৌঁছে দিব না সেটা কি করে হয়? যেখানে আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি সেখানে উনার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার মেরে দিব- একথার প্রশ্ন উঠে কিভাবে? খাম ক্রসচেক না করায় কিছুটা ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল সেটা কথা বলেই সমাধান হয়েছে। এছাড়া বিষয়টি আমি সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বর্তমান স্বেচ্ছাসেবক দলের সহদফতর সম্পাদক নাজমুল হাসান ভাইকে অবহিত করেছি।’

তারেক রহমানের ঈদ উপহার সামগ্রী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সাবেক ছাত্রনেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-দফতর সম্পাদক নাজমুল হাসান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বিষয়টিতে দায়িত্বহীনতার পরিচয় ঘটেছে। শুধু উপহার সামগ্রী নয় কাউকে কোনো কিছু পৌঁছে দেওয়ার পূর্বে ক্রসচেক করা প্রয়োজন, একবার ক্রসচেক করলেই এমন ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হতো না। এটি খুবই স্পর্শকাতর তবে বিষয়টি ভুল বশত হয়েছে, উভয়ই বুঝতে পেরেছে তাই সঙ্গে সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝির অবসান ঘটেছে।’

ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ঘটনাটি যদি ইচ্ছাকৃত হতো তাহলে অবশ্যই অভিযোগ পেতাম। তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা বাস্তবায়নে অনিয়ম হলে সঙ্গে সঙ্গে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হতো। কিন্তু ঘটনাটি ভুলবশত হয়েছে বলেই হয়তো লিখিত কিংবা টেলিফোনে কেউ কোনো প্রকার অভিযোগ আমাদের কাছে করেনি।'

সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি এটা ভুলবশত হয়েছে, স্বল্প সময়ের মধ্যে সমাধানও হয়েছে। তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্যারের তত্ত্বাবধানের কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে অনিয়ম করবে এমন দুঃসাহস কার আছে।’

গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সর্বানন্দ ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মো. সাদ্দাম হোসেন ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমাকে বিষয়টি অবহিত করেছে। সমগ্র জেলায় যখন এই ঘটনার জানা জানি হয়ে যায় পরবর্তীতে বিকাশে টাকা পৌছে দেওয়া হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে এমন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকেও অবহিত করেছি।’

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি, আসলে কি ঘটেছিল সেই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।’

 

এমএইচ/

 

Header Ad

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা

দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক বেলাল হোসেন সৌখিনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাত থেকে ওই দুই নেতার কথোপকথনের ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ডের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এর আগে উপজেলার গোবরচাঁপা বাজারে ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে ৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগ নেতা সামছুল আলম খানসহ ৪০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে স্থানীয় থানায় মামলা করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন। এ মামলায় আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে "এডিট করা ফেক মোবাইল কল" সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে তার এবং দলীয় ইমেজ ক্ষুণ্ন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাময়িক বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বদলগাছী সাংবাদিক সংস্থার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি নেতা বেলাল হোসেন সৌখিন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত ২০১৩ সালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে আওয়ামী লীগ দুইটি মামলা করে। একটি বিষ্ফোরক ও একটি দ্রুত বিচার আইনে। আমাকে গ্রেফতার করা হয় ক্লিন হার্ট অপারেশনে। সেখানে আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয় শুধুমাত্র বিএনপির রাজনীতি করার জন্য। আমি জানতে পেরেছি যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুল আলম খানের সাথে আমার একটি কল রেকর্ড প্রকাশিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যা সম্পূর্ণ এডিট করা ফেক মোবাইল কল। কল রেকর্ডটি আগস্ট মাসের।

প্রকৃত তথ্য এই যে, শামসুল আলম খান ইতঃপূর্বে তার একটি ব্যাংক চেক গচ্ছিত রেখে আমার কাছ থেকে কিছু টাকা ধার করেন। যার নম্বর: CD /A- ২৮৮৫০৯২ (ডাচ বাংলা ব্যাংক)। এভাবে তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আরও অনেকের কাছ থেকেই তিনি টাকা ধার করেছেন বলে লোকমুখে জেনেছি। অতি সম্প্রতি জানতে পারি যে, তিনি কিছু কিছু পাওনাদারদের ধারের টাকা পরিশোধ করছেন। এ কারণে আমি তার নিকট আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য কল করেছিলাম। এছাড়া আমার পাওনা টাকা নেওয়ার জন্য তার সামনাসামনি হলে সে আমাকে আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভয় দেখাতো। আমি গত ২০১৪ সালের ৫নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিস্ফোরক মামলার বিবাদী হওয়ার কারণে আগস্ট মাসের কল রেকর্ডটি নতুন করে "এডিট" করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এখন পর্যন্ত শামসুল আলম খানের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, পাওনা সংক্রান্ত ও কল রেকর্ডটি এডিট করে যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেটা আবার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশও করা হয়েছে। শুধুমাত্র আমাকে এবং আমার দল বিএনপিকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্যই ফেক কল রেকর্ডটি ছেড়ে দেওয়া দেয়। মর্যাদাহানি করার জন্যই তারা এই মিথ্যা এবং বানোয়াট রেকর্ড ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলার বিবাদী হওয়ার কারণেই আগস্ট মাসের আমার টাকা সংক্রান্ত রেকর্ডটি ছেড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং সেই সাথে দুষ্কৃতিকারীদের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল আলম খান বলেন, ঘটনার দিন নওগাঁয় আদালতে একটা কাজে গিয়েছিলাম। ওই সময় একটা অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। নিজেকে চাংলার সৌখিন পরিচয় দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করা হয়।

Header Ad

পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবারপাখতুনখাওয়া প্রদেশে শিয়া ও সুন্নি মতাবলম্বীদের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। গত তিন দিন ধরে চলা এই সহিংসতায় আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫৬ জন।

রোববার (২৪ নভেম্বর) প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে খবর দিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

আফগানিস্তান সীমান্ত লাগোয়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে সুন্নি ও শিয়া মুসলমানদের মাঝে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) প্রদেশটিতে শিয়া যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের হামলায় ৪৩ জনের প্রাণহানির পর নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, গত ২১, ২২ ও ২৩ নভেম্বরে শিয়া-সুন্নিদের সংঘর্ষ ও গাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ৮২ জনে পৌঁছেছে। এই সংঘাতে ১৫৬ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার প্রদেশের কুররাম জেলার প্রায় ৩০০ পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ওই দিন গভীর রাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা ও ভারি অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়িয়েছেন স্থানীয়রা। তবে রোববার সকালে নতুন করে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ওই কর্মকর্তা বলেছেন, কুররাম জেলাজুড়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। অতীতে খাইবার পাখতুনখোয়ার এই জেলা আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হিসেবে ছিল; যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।

গত মাসে কুররাম জেলায় সাম্প্রদায়িক সংঘাতে তিন নারী ও দুই শিশুসহ অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে একই ধরনের সংঘাতে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

Header Ad

হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত

মশিউর রহমান ও জুয়েল রানা। ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান ও ডিএমপির সাবেক এডিসি জুয়েল রানাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার।

রোববার (২৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনের সই করা পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিবির সাবেক ডিসি (সুপারনিউমারারি অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ও বর্তমানে পুলিশ সুপার হিসেবে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত মশিউর রহমানকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেহেতু, মশিউর রহমানকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি বিভাগের এডিসি (সুপারনিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)) জুয়েল রানাকে নিউমার্কেট থানার মামলায় গ্রেফতার করে ১৮ অক্টোবর আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সেহেতু, জুয়েল রানাকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (২) ধারার বিধান অনুযায়ী ১৮ অক্টোবর থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন জুয়েল রানাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোশ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে, ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে ডিবি পুলিশ কাফীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগ রয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রেকর্ড এডিট দাবি, দশ লাখ টাকার চেক নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮২
হত্যা মামলায় গ্রেফতার ডিসি মশিউর ও এডিসি জুয়েল বরখাস্ত
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু, শনাক্ত আরও ১০৭৯
আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার পান্ত
আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস