সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চান এমপিরা
জাতীয় সংসদে নিজেদের ভূমিকা ও মূল্য নিয়ে সন্দিহান জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, 'আমরা এই জাতীয় সংসদের এমপি। আমরা পার্ট অব পার্লামেন্ট। কিন্তু বর্তমানে জাতীয় সংসদে এমপিদের কোন মূল্য আছে কি-না তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। তাই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল চান এমপিরা।'
মঙ্গলবার (০৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে 'চট্টগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষ বিল' ২০২১ পাসের আগে সংশোধনী প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা কোন বিলে সংশোধনী দিলে এমনকি বানান ভূল সংশোধনসহ কোন কিছু পরিবর্তন পরিমার্জন করতে গেলে তা কোন সময় গ্রহণ করা হয়না। অথচ আমরা বিরোধী দলের সদস্যরা নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনী দেন।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন এমপি, আমি কোনো দিন বাজেট তৈরির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারি না। শুধু মাত্র বাজেট পেশের পরে তা নিয়ে কিছু কথাবার্তা বলি, তাও সে বক্তব্য সরকারের অর্থমন্ত্রী শোনেনও না। কোন সংশোধনী গ্রহণও করেন না। এখানে সংসদের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সরকার প্রধান। তিনি যা করেন সেটারই প্রতিফলন ঘটে। তাই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ যতক্ষণ না পরিবর্তন করা হবে ততদিন সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা তথা পার্লামেন্ট প্রাণবন্ত বা ক্ষমতাসীন হবে না।
জাতীয় পার্টির অপর সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, আর্টিকেল ৭০ কেন আসল? তা জানতে আমি ড. কামাল হোসেনসহ অনেককে প্রশ্ন করেছিলাম। তাতে জানতে পারি পাকিস্তান সৃষ্টির পরে পার্লামেন্টে এমপি কেনা বেচা হতো, অনেক এমপি বিক্রি হতো, নিজের দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতো। সেটা বন্ধ করতেই বঙ্গবন্ধু আর্টিকেল ৭০ আনেন। এখন বাস্তবতা হচ্ছে দলের বিরুদ্ধে ভোট নয়, দলের বিরুদ্ধে কোন কথা বলা যাবে না। এখন এই আর্টিকেল ৭০ এর মাধ্যমে এই সংসদ একটি অকার্যকর বডিতে পরিণত হচ্ছে। জাতীয় মূলনীতির প্রতিফলন ঘটছে না। এটা বাতিল হওয়া প্রয়োজন।
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, আমি সংসদের ক্ষমতা নিয়ে কোন প্রশ্ন তুলি নাই। যদিও সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরে সংসদের এমপিদের কতটুকু ক্ষমতা থাকে সে প্রশ্ন সব সময় থাকে।
তিনি বলেন, বিলের ৪৬,৪৭, ৪৮ ধারা যেগুলো সংসদীয় কমিটি যুক্ত করেছে বিলের মধ্যে। যদিও এগুলো আমলারা করলে তা কমিটির বাদ দেবার কথা কিন্তু তা না করে সংসদীয় কমিটি যুক্ত করেছে। যা সংবিধান বিরোধী ও জনস্বার্থ বিরোধী।
এসএম/কেএফ/