সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ | ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনারে অধ্যাপক ড. হারুন

'পকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ছিল অনিবার্য'

ছবি : সংগৃহীত

জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘শুধু ধর্মের ভিত্তিতে কোনো দেশ হওয়া বিজ্ঞানসম্মত নয়। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পেছনে ধর্মীয় বিভাজনকে প্রধান করে দেখানো হলেও এর মর্মমূলে ছিল রাজনৈতিক সমঝোতার অনুপস্থিতি। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতকে অবিভক্ত রেখে কেবিনেট মিশন পরিকল্পনা গ্রহণের সম্মতিতে এটাই প্রমাণ করে যে, পাকিস্তান তার শেষ কথা ছিল না। কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের ভাগ কর, শাসন কর নীতি এবং কংগ্রেস নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও অসমঝোতামূলক আচরণের কারণেই মূলত ৪৭ সালে ভারত বিভক্তি ঘটে।’

জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটে সোমবার (২২ নভেম্বর) ‘১৯৪৭ সালে দেশবিভাগ কী অনিবার্য ছিল?’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।

ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘বাংলার মুসলমানরা মুসলিম লীগ বা পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হলে ১৯৪৭ সালের দেশবিভাগ ঘটতো না। বাঙালি মুসলমানদের চেতনামূলে ধর্ম বা সাম্প্রদায়িকতা ছিল না, বরং ছিল হিন্দু জমিদার মহাজনদের অত্যাচার, নির্যাতন, শোষণ থেকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুসহ মুসলিম লীগ নেতৃত্বের একটি অংশের রাষ্ট্রভাবনা ছিল ’৪৭ সালের প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী ভারতের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন লালন করেছিলেন। ’৪৭ সালে তা বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে ২৩ বছর আন্দোলন সংগ্রামের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।’

ড. হারুন-অর-রশিদ আরও বলেন, ‘ভারত বিভক্তি অপরিহার্য ছিল না। ঔপনিবেশিক শাসক ও তৎকালীন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কারণে ভারত বিভক্তি ঘটে। তবে পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ছিল অনিবার্য।’

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন, সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাহুল মুখার্জী। অনুষ্ঠানে ড. হ্যান্স হার্ডার, ড. সুব্রত মিশ্র, ড. মার্টিন গেইলস ম্যানসহ ভারত পাকিস্তানসহ মোট ৩০ জনের মতো পণ্ডিত ও গবেষক অনলাইনে এবং সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানের পর প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। বক্তব্যের পর সেমিনারে অংশগ্রহণকারীগণ ড. হারুনের বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

এএস/এএন

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মোট ১,০৩০ টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন পড়েছে ৬৬ হাজার ৪০২টি। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে লড়বে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী। সোমবার (৩ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

জানা যায়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে 'এ' ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) আবেদন পড়েছে ৩২,৬৫৮ টি, বি ইউনিটে (কলাও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান এবং আইন অনুষদ) আবেদন পড়েছে ২৩,৭৯২টি এবং সি ইউনিটে (ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ) আবেদন জমা পড়েছে ৯,৯৫২ টি।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হলেও পেমেন্ট প্রক্রিয়া চলে ২ মার্চ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ে ১,০৩০ টি সিটের বিপরীতে ৬৬ হাজার ৪০২ জন পরীক্ষার্থী পেমেন্ট সম্পন্ন করেছে। ফলে প্রতি সিটের বিপরীতে লড়বে ৬৪ জন পরীক্ষার্থী।

'এ' ইউনিটের আসন সংখ্যা ৩৫০ টি। 'বি' ও 'সি' ইউনিটের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৪৪০ ও ২৪০ টি। 'এ' ইউনিটের একটি আসন পেতে লড়বে ৯৩ জন, 'বি' ইউনিটের প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৫৪ জন এবং 'সি' ইউনিটে লড়বে ৪১ জন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, '৬৬ হাজার ৪০২ জন পেমেন্ট করেছে এটাই আমাদের প্রকৃত আবেদন সংখ্যা। এটার ভিত্তিতে ইউনিট প্রধানদের জানিয়ে দেব। আমরা আগামীকাল সেন্ট্রাল কমিটির সাথে বসে আলোচনা করে কেন্দ্রগুলো নির্ধারণ করব।'

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু এবার আবেদন বেশি পড়েছে কোটবাড়িতে যদি কেন্দ্র সংকুলান না হয় তাহলে আমরা কুমিল্লা শহরের বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা নিয়ে ওখানে কেন্দ্র স্থাপন করব।'

উল্লেখ্য, আগামী ১৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় 'সি' ইউনিট এবং একই দিনে বিকেল ৩টায় 'এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেল ৪টায়।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরের মিঠাপুকুরে ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের লিজ দেওয়া জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ভূমিদস্যুদের কৌশল ও দাপটের বিষয় তুলে ধরেন।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুর ২ টায় ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল জানান, বিদ্যালয়ের গিলাঝুকি মৌজায় ৭.৯৩ একর জমিতে বরেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি পুকুর খনন করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে টেন্ডারের মাধ্যমে ৩ বছরের জন্য সেরাজুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ওই পুকুরের ইজারা দেওয়া হয়। তবে, পুকুর খনন করা জমির মালিকানা দাবি করে জনৈক এনামুল হক হীরা নামের ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছেন, যার নোটিশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও পেয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের বিচারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের বক্তব্য যথাসময়ে আদালতে পেশ করবে।

প্রধান শিক্ষক বুলবুল আরও জানান, এনামুল হক হীরা ইজারাদারকে ভয়ভীতি ও হুমকির মাধ্যমে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ইজারাদারি হস্তান্তর করেন। এরপর তিনি ওই পুকুরপাড়ে গাছ রোপণসহ বিভিন্ন অপকর্ম শুরু করেন। এতে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন এবং বিদ্যালয়ের স্বার্থ রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দারা এক সভা করে কথিত ইজারাদারের স্থাপনা গুড়িয়ে দেন।

এছাড়াও, প্রধান শিক্ষক আমিরুজ্জামান বুলবুল উল্লেখ করেন যে, এনামুল হক হীরা বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে ১২টি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন। তিনি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ফকিরহাট পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি ও পুকুর দখল চেষ্টাকারী এনামুল হক হীরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এনামুল হক হীরা চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি পৈত্রিক সূত্রে স্কুলের জমি পেয়েছি এবং সে অনুযায়ী মামলাও করা হয়েছে।’’

Header Ad
Header Ad

ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  

ছবিঃ সংগৃহীত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় ওসির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল গুলি করে তিনটি গরু নিয়ে গেছে।

রোববার (২ মার্চ) দিবাগত সোয়া ১টার দিকে পেকুয়ার মেহেরনামা আলিয়াঘোনা এলাকায় ওসি জাহেদুল কবিরের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।

ওসি জাহেদুল কবিরের বাড়িতে তার বাবা আহমদ কবির এবং ছোট ভাই মনিরুল কবির থাকেন।ওসি জাহেদুল কবির চট্টগ্রাম শহরের চকবাজার থানার ওসি। আর গরুগুলো দেখাশোনা করতেন তার ভাই মনিরুল কবির রাশেদ।

স্থানীয়রা জানায়, চকরিয়া-পেকুয়ায় গরু চুরির ঘটনা অহরহ। গরু চুরির জন্য অনেককে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামের চকবাজার থানা এলাকা থেকে গরু চোর সিন্ডিকেটের প্রধান নবী হোসাইনকে গ্রেপ্তার করেন থানার ওসি জাহিদুল কবির।

স্থানীয়দের ধারণা, এই ক্ষোভ থেকেই ওসির গ্রামের বাড়ি থেকে গরু লুট করার ঘটনা ঘটতে পারে।

পেকুয়া থানা পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীরা লিখিতভাবে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক আসনের বিপরীতে লড়বেন ৬৪ জন
মিঠাপুকুরে স্কুলের লিজকৃত জমি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
ওসির বাড়িতে ডাকাতি: গুলি করে নিয়ে গেছে ৩টি গরু  
ওবায়দুল কাদের দেশেই আছেন দাবি সাংবাদিক ইলিয়াসের
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে আহত সুজনের মানবেতর জীবন
হিমাগারে আলু রাখতে কেজিতে লাগবে পৌনে ৭ টাকা
শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুন, চারজনের মৃত্যু
হঠাৎ অসুস্থ মির্জা ফখরুল, হাসপাতালে ভর্তি
আদালতে কাঁদলেন কামাল, বললেন আর আওয়ামী লীগ করব না (ভিডিও)
গাজীপুরে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ, গাড়িতে আগুন, কয়েক কারখানায় ছুটি
পুরো গাজায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের পরিকল্পনা ইসরায়েলের
পলাতক একটি দল দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: ড. ইউনূস
যাদের হাতে উঠল এবারের অস্কার  
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হচ্ছেন আবরার ফাহাদ
পাকিস্তানে গাড়িতে বন্দুকধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি, নিহত ৬
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া  
লন্ডন সম্মেলনে ইউক্রেনকে সমর্থনে চার পদক্ষেপ  
সেকেন্ড রিপাবলিক ‘তত্ত্ব’ থেকে সবাই একটু সাবধান থাকবেন : মির্জা আব্বাস  
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৮  
খালেদা জিয়ার খালাসের বিরুদ্ধে শুনানি আজ