সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ | ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

দুই মাসেই ৮৪৮টি সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ১০১২ জন

চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৮৪৮টি। এতে নিহত হয়েছেন ১০১২ জন এবং আহত হয়েছেন ১১৪৬ জন। নিহতের মধ্যে নারী ১৪৩, শিশু ১৩০। এর মধ্যে ৩৫৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ৪০৩ জন, যা মোট নিহতের ৩৯.৮২ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪২.২১ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ২০২ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১৯.৯৬ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ১৪৭ জন, অর্থাৎ ১৪.৫২ শতাংশ। এই সময়ে ১২টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত। ২৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (৫ মার্চ) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন। সংস্থাটি জানায়, ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র:
দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ৪০৩ জন (৩৯.৮২%), বাস যাত্রী ৬৬ জন (৬.৫২%), ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি যাত্রী ৫৭ জন (৫.৬৩%), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ২৫ জন (২.৪৭%), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান) ১৮১ জন (১৭.৮৮%), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-মাহিন্দ্র-টমটম-চান্দের গাড়ি-ডাম্পার-পাওয়ারটিলার)৪৮ জন (৪.৭৪%) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ৩০ জন (২.৯৬%) নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৫৩টি (৪১.৬২%) জাতীয় মহাসড়কে, ২৯৫টি (৩৪.৭৮%) আঞ্চলিক সড়কে, ১৪৩টি (১৬.৮৬%) গ্রামীণ সড়কে, ৪৬টি (৫.৪২%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ১১টি (১.২৯%) সংঘটিত হয়েছে।

দুর্ঘটনার ধরন:
দুর্ঘটনাসমূহের ১৫১টি (১৭.৮০%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৩৭৯টি (৪৪.৬৯%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৯৯টি (২৩.৪৬%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৯৩টি (১০.৯৬%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ২৬টি (৩.০৬%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহন:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২৮.৬০%, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রামট্রাক-কার্গো ট্রাক-ডাম্পার-ভেম্পার-মিকচার মেশিনগাড়ি ৭.৭৯%, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-এ্যাম্বুলেন্স-পুলিশ পিকআপ-আর্মি ট্রাক ৩.৯৬%, যাত্রীবাহী বাস ১১.৬৯%, মোটরসাইকেল ২৬.০৯%, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-হিউম্যান হলার) ১৪.০৫%, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন- (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-পাওয়ারটিলার-মাহিন্দ্র-টমটম-ঠ্যালাগাড়ি) ৫.৬৩% এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ২.১৫%।

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:
দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ১,৪৩৭ টি। (ট্রাক ৩০২, বাস ১৬৮, কাভার্ডভ্যান ৩০, পিকআপ ৭৯, ট্রলি ২৮, লরি ২৩, ট্রাক্টর ৪৫, ভেম্পার ২, ডাম্পার ৪, মিকচার মেশিন গাড়ি ২, ড্রামট্রাক ৭, কার্গো ট্রাক ১, পুলিশ পিকআপ ১, আর্মি ট্রাক ১, মাইক্রোবাস ২১, প্রাইভেটকার ২৬, এ্যাম্বুলেন্স ৮, মোটরসাইকেল ৩৭৫, থ্রি-হুইলার ২০২(ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-হিউম্যান হলার), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৮১ (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-চান্দের গাড়ি-পাওয়ারটিলার-মাহিন্দ্র-টমটম-ঠ্যালাগাড়ি) এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ৩১টি।

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:
সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ২.৪৭%, সকালে ৩১.৪৮%, দুপুরে ১৭.৫৭%, বিকালে ১৮.৬৩%, সন্ধ্যায় ১২.০২% এবং রাতে ১৭.৮০%।

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:
দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩.২৩%, প্রাণহানি ২২.৭২%, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯.৫৭%, প্রাণহানি ১৯.০৭%, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ২০.২৮%, প্রাণহানি ২২.৮২%, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.৪৩%, প্রাণহানি ৯.৬৮%, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৮%, প্রাণহানি ৫.০৩%, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.৮৩%, প্রাণহানি ৪.১৫%, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ৯.১৯%, প্রাণহানি ১০.১৭% এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৯৫%, প্রাণহানি ৭.২১% ঘটেছে।

চট্টগ্রাম বিভাগে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ২৩১ জন। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ৪২ জন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে, ৪৮ জন। সবচেয়ে কম সাতক্ষীরা জেলায়, ২ জন। রাজধানী ঢাকায় ২১টি দুর্ঘটনায় ২৭ জন নিহত হয়েছে।

নিহতদের পেশাগত পরিচয়:
গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ১১ জন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ২৭ জন, চিকিৎসক ৩ জন, পল্লী চিকিৎসক ৪ জন, স্বাস্থ্যকর্মী ২ জন, খাদ্য কর্মকর্তা ১ জন, ভূমি কর্মকর্তা ১ জন, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ১ জন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সাংবাদিক ৬ জন, কৃতি ফুটবলার ১ জন, সাবেক কৃতি ক্রিকেটার ১ জন, বাউল শিল্পী ১ জন, পিএইচপি গ্রুপের প্রধান প্রকৌশলী ১ জন, গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ জনসহ বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা ১১ জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৮ জন, ঔষধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ৫৪ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৪৬ জন, পোশাক শ্রমিক ১৯ জন, নির্মাণ শ্রমিক ৮ জন, ইটভাটা শ্রমিক ৩ জন, কাঠমিস্ত্রি ৩ জন, রাজমিস্ত্রি ৪ জন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক ১ জন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী ৫ জন, ইউপি চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ২৩ জন এবং ঢাকা, রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন ছাত্রসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১২৯ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

দুর্ঘটনা পর্যালোচনা ও মন্তব্য:
সড়ক দুর্ঘটনায় গত ২ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৭.১৫ জন নিহত হয়েছে। জানুয়ারি মাসে ৪৩১ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৪৩ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ৪১৭ টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪৬৯ জন। এই হিসাবে জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্ঘটনা বেড়েছে ৭.১২ শতাংশ এবং প্রাণহানি কমেছে ৪.৩৪ শতাংশ।

জানুয়ারি মাসে ১৮৭ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১৬ জন নিহত হয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭১ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৮৭ জন। উল্লেখ্য, জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে প্রাণহানি সামান্য কমলেও এটি কোনো টেকসই উন্নতির সূচক নির্দেশ করছে না। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৮৩২ জন, অর্থাৎ ৮২.২১ শতাংশ।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ট্রাক ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ ড্রাইভারদের বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালানো এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর কারণে তারা নিজেরা দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে এবং অন্যান্য যানবাহনকে আক্রান্ত করছে। পথচারী নিহতের মাত্রাও চরম উদ্বেগজনক পর্যায়ে। পথচারীরা যেমন সড়কে নিয়ম মেনে চলে না, তেমনি যানবাহনগুলোও বেপরোয়া গতিতে চলে। ফলে পথচারী নিহতের ঘটনা বাড়ছে।

এই প্রেক্ষাপটে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মূলত সড়ক পরিবহন খাতের নৈরাজ্য ও অব্যস্থাপনার কারণে। এই অবস্থার উন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন সংস্থাটি।

কেএম/এএস

Header Ad
Header Ad

আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আছিয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি এবং সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিচারে প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক থেকে শুরু হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোল চত্ত্বরে এসে মিছিলটি শেষ হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা 'তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া' ' জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো' 'ধর্ষকের শাস্তি, মৃত্যু মৃত্যু' 'ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও' 'আসিফ নজরুল তুই আইন দে, নয়তো গদি ছাইড়া দে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

এ বিষয়ে গণিত বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা শান্তা বলেন, 'যারা এখনো নারী হয়েই উঠে নাই, তাদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে। তার কারণ একটাই ধর্ষকদের শাস্তি হচ্ছে না। যদি একটা ধর্ষককে প্রকাশ্যে ফাঁসি বা মৃত্যুদন্ড দেওয়া হতো, তাহলে আর ছোট ছোট শিশুকে ধর্ষণের সাহস পাইত না। আমি সরকারের কাছে একটাই দাবি, ৯০ দিন নয় এক সপ্তাহের মধ্যে ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'

নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী দোলনা বলেন, ‘ধর্ষকের শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন সময় লাগবে? উনি কি এই নব্বই দিনে আরও নব্বইটা ধর্ষণের সুযোগ করে দিতে চাচ্ছে? এটা আমাদের জানা দরকার এবং এটা উনার বলতে হবে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকের ফাঁসি হোক। আজকে ৮ বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, কালকে আমি রাস্তায় বের হলে এটার শিকার হবো না তার কি নিশ্চয়তা আছে? একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে আমাদের কেনো এত অনিরাপদ হয়ে জীবনযাপন করতে হবে? আমরা চাই এপর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে একটা পুরুষ কোন নারীর দিকে কুনজরে তাকানোর আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে বাধ্য হয়।'

মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পাবেল রানা বলেন, 'আমার বোন, আমার মা আজ রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পারছে না। তারা বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। এমনকি ছোট্ট শিশুও রেহাই পাচ্ছে না। সকল প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও শাস্তি দিতে কেন ৯০ দিন লাগবে। একটি শিশুকে ধর্ষণ করতে যদি ২০ মিনিট সময় নেয়, আমরা চাই ২০ মিনিটের আগেই ঐ ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক'

গণিত বিভাগের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হান্নান রহিম বলেন, 'নোয়াখালীতে ফ্যামিলির সামনে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, এছাড়া প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ পাওয়ার পরও আগের মতো সেই বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলতে পারে না। গত ছয় মাসে এই সরকার যা করেছে এর থেকে অনেক বেশি করার সুযোগ ছিল। আমরা কুবিয়ানরা বলে দিতে চাই ৯০ দিন না অতি দ্রুত ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করতে হবে।'

Header Ad
Header Ad

কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ঢাকায় নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ আজ রবিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কুয়েতের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) বিনিয়োগ এবং আগামী ৭ থেকে ৯ এপ্রিল ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকায় নবনিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত আলি তুনইয়ান আবদুল ওয়াহাব হামাদাহ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।

সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং অভিবাসী কল্যাণের ওপর গুরুত্বারোপ করে উভয় পক্ষ কূটনৈতিক, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "কুয়েত ও বাংলাদেশ দীর্ঘদিনের বন্ধু। এখানে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে, বিশেষ করে হালাল খাদ্য শিল্প একটি সম্ভাবনাময় খাত। বৈশ্বিক বাজারে হালাল খাদ্যের চাহিদা অনেক বেশি।"

রাষ্ট্রদূত হামাদাহ কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ আহমেদ আবদুল্লাহ আল-আহমদ আল-সাবাহ এবং কুয়েতের জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।

উভয় পক্ষ বাংলাদেশে অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি বাড়ানো এবং একটি যৌথ উদ্যোগে তেল শোধনাগার স্থাপনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া, কুয়েতকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা কুয়েতে বাংলাদেশি শ্রমিক, বিশেষ করে নারী কর্মীদের জন্য আরও ভালো কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কুয়েতে বাংলাদেশি সামরিক সদস্যদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "আমাদের অংশীদারিত্ব পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আমরা বাণিজ্য, জ্বালানি এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।"

Header Ad
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ভারত। তবে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত শর্মার দল। এই জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টানা দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা জিতল ভারত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও উইল ইয়াং ভালো সূচনা আনলেও ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও কুলদীপ যাদবের ঘূর্ণিতে চাপে পড়ে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। তবে ডেরিল মিচেলের ৬৩ ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ৫৩ রানের ইনিংসের সুবাদে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।

জয়ের জন্য ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতকে দারুণ সূচনা এনে দেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তিনি ৮৩ বলে ৭৬ রান করেন। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৪৮ ও শেষদিকে লোকেশ রাহুলের ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে ৪৯ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে ভারত।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আছিয়ার ধর্ষকের মৃত্যুদন্ডের দাবিতে উত্তাল কুবি
কুয়েতকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জয় করল ভারত
বায়ুত্যাগের শব্দ শুনে আ. লীগ নেতাকে ধরল পুলিশ
কাল থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে ইউরোপের নয়টি দেশের ভিসা প্রসেসিং
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাস শেষের আগেই বেতন পাবেন সরকারি কর্মচারীরা
অবশেষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলাবাসী পেল ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি
পাকিস্তানকে বড় ধরনের সুখবর দিল চীন
টাঙ্গাইলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন: চার দফা দাবিতে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা ও স্থাপনার নাম পরিবর্তন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় বৈষম্যের অভিযোগ
ঈদযাত্রার ট্রেনের আগাম টিকিট ১৪ মার্চ থেকে, শতভাগ অনলাইনে
ছাত্রদলের কর্মসূচির প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
আমার কাছে শাকিবই শাহরুখ খান: অপু বিশ্বাস
মব জাস্টিস যেখানে, গ্রেপ্তার সেখানেই: তথ্য উপদেষ্টা
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন সাবেক এমপি’র বাসা দখল করা ‘সমন্বয়ক’
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার শেষ করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ প্রতিরোধে নারীদের কারাতে শেখার আহ্বান চিত্রনায়ক রুবেলের
সারা দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করছে পুলিশ
আদালতে তোলার সময় ‘ধর্ষক’কে গণধোলাই