মুরাদের শটগান ও পিস্তলের দাম তিন লাখ টাকা
অনলাইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অশ্লীল ও আপত্তিকর কথাবার্তার অডিও-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ডা. মুরাদ হাসান। এ নিয়ে সব মহলে চলছে নানামুখী আলোচনা-সমালোচনা। এরমধ্যে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে তার অর্থবিত্ত।
এ প্রসঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে দেওয়া মুরাদ হাসানের হলফনামার বিষয়টি সামনে আসে। হলফনামায় তিনি বাৎসরিক আয়ের বিবরণে উল্লেখ করেন–কৃষিখাত থেকে ৬০ হাজার টাকা, বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে এক লাখ ২৩ হাজার ২৯৩ টাকা, ব্যবসা থেকে ১২ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। তবে প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের আয়ের ঘরে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি।
এ ছাড়া নিজের অস্থাবর সম্পদের বিবরণে সংসদ সদস্য মুরাদ হাসান উল্লেখ করেন–জমি বিক্রয় লব্ধ অর্থ ২০ লাখ টাকা, শটগান ও পিস্তলের দাম তিন লাখ টাকা, পুঁজি ছয় লাখ টাকা এবং ঋণ প্রদান ১৫ লাখ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর এই হলফনামায় স্বাক্ষর করেন মুরাদ হাসান। একইদিন হলফনামায় স্বাক্ষর করেন জামালপুর জজকোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল করিম সরকার।
অস্থাবর সম্পদের বিবরণে মুরাদ হাসান আরও উল্লেখ করেন–ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২১ লাখ ২৭ হাজার ৩৫ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির শেয়ার আড়াই লাখ টাকা।
এ ছাড়া পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ নিজ নামে এক লাখ ৩৭ হাজার ২৩১ টাকা এবং স্ত্রীর নামেসহ পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ৪০ লাখ টাকা।
হলফনামা অনুসারে, তার পুরাতন গাড়ির মূল্য আট লাখ টাকা ও নতুন গাড়ির দাম উল্লেখ করেছেন ৭০ লাখ চার হাজার ৭০০ টাকা। স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও পাথর নির্মিত অলংকারের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন নিজ নামে ২৫ ভরি এবং স্ত্রীর নামে ১৫০ ভরি। ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর মূল্য তিনি উল্লেখ করেছেন নিজ নামে টিভি ও ফ্রিজ ৮০ হাজার টাকা এবং ল্যাপটপ এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা। খাট, আলমারি, সোফা ও শোকেজ ইত্যাদি মিলিয়ে মূল্য তিনি উল্লেখ করেছেন আড়াই লাখ টাকা।
স্থাবর সম্পদের হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন–দৌলতপুর সরিষাবাড়ী জামালপুরে ২৫ বিঘা কৃষি জমির দুই-পঞ্চমাংশের মালিক তিনি। আর অকৃষি জমি বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন, পাঁচ কাঠা ও তিন বিঘা জমির দুই-পঞ্চমাংশের করে মালিক তিনি। এ ছাড়া রাজউকের পূর্বাচলে পাঁচ কাঠা জমির মালিক তিনি।
স্ত্রীর নামে রাজধানীতে একটি ছয়তলা বিল্ডিং এবং একটি ফ্ল্যাটেরও উল্লেখ করেন মুরাদ। তা ছাড়া রাজধানীর শান্তিনগরের আরেকটি ফ্ল্যাটের উল্লেখ করেন তিনি ‘নির্ভরশীলের নামে’।
এমএ/এসএ/