শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২৪ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জিজ্ঞাসাবাদের পর শাওন ও সোহানা সাবাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবা। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আটক হওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন ও সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, "ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাওন ও সাবাকে তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।"

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শাওন। সেই সভায় তার নাম উঠে আসার পর থেকেই তিনি গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন।

এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

একইদিন সন্ধ্যায় জামালপুরের নরুন্দি রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় শাওনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।

পরে শুক্রবার রাতে ধানমন্ডি থেকে সোহানা সাবাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাওন ও সাবাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এছাড়া, আওয়ামী লীগপন্থি শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’ এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন সোহানা সাবা, যা তদন্তের অংশ হিসেবে গুরুত্ব পেয়েছে।

তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তারা কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানানো হয়নি।

Header Ad
Header Ad

প্রেস সচিবের ক্ষমাপ্রার্থনা: বিবিসি বাংলার সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য সংশোধন

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিবিসি বাংলাকে নিয়ে দেওয়া তার সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং বক্তব্য সংশোধন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “বিবিসি বাংলার সংবাদ নিয়ে আমার সাম্প্রতিক বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি আমার বক্তব্য সংশোধন করতে চাই।”

তিনি আরও ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি মূলত দুটি বিষয় মাথায় রেখেই বিবিসি বাংলার বিষয়ে মন্তব্য করেছিলাম। প্রথমত, তারা বারবার বলেছে যে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন। দ্বিতীয়ত, আমি জানি শেখ হাসিনার সরকারের আমলে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছিল বিবিসি বাংলা। তবে, আমি যে মন্তব্য করেছিলাম, যেখানে বলেছিলাম বিবিসি বাংলা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করছে, সে বক্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি এবং সংশোধন করতে চাচ্ছি।”

শফিকুল আলম আরও বলেন, “নির্দিষ্ট কিছু প্রতিবেদনে হয়তো আমি বস্তুনিষ্ঠতার অভাব দেখেছি, তবে আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের ঘটনাবলীর সত্যতা তুলে ধরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বিবিসি বাংলা। শেখ হাসিনার সরকারের রেখে যাওয়া পরিস্থিতি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কেও তারা যথাযথ ও স্বচ্ছ সংবাদ প্রচারের চেষ্টা করছে। দেশের সব সাংবাদিকেরই উচিত বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করা।”

 

এর আগে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিবিসি বাংলার সংবাদ পরিবেশন নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, “মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক এবং গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত হয়ে গেছে। তারা যখন শেখ হাসিনার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে, তখন ‘ভারতে পালিয়ে যাওয়ার’ পটভূমি বাদ দিয়ে উপস্থাপন করে। বাস্তবতা হলো, শেখ হাসিনা অসংখ্য শিশু হত্যা, নজিরবিহীন সহিংসতা, লুণ্ঠন, দুর্নীতি, বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং তিন হাজারের বেশি মানুষকে গুম করে ভারতে পালিয়ে গেছেন।”

তবে কিছুক্ষণ পরেই ওই পোস্টটি তিনি তার প্রোফাইল থেকে সরিয়ে ফেলেন। পরে, ৭ ফেব্রুয়ারি, নতুন পোস্টের মাধ্যমে তিনি তার বক্তব্য সংশোধন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

Header Ad
Header Ad

পিরোজপুরে জামায়াতের তিন প্রার্থী, দুই আসনে সাঈদীর দুই ছেলে

পিরোজপুরের তিনটি আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিরোজপুর জেলার তিনটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া ইসলামী ফাউন্ডেশনের হলরুমে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা তালিমুল বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলা আমির মাওলানা আমির হোসেন। এ সময় নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিরোজপুর জেলার তিনটি সংসদীয় আসনে জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন:

পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি ও নাজিরপুর): আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ছোট ছেলে আলহাজ মাসুদ সাঈদী।

পিরোজপুর-২ (নেছারাবাদ, কাউখালী ও ভাণ্ডারিয়া): আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে আলহাজ শামীম সাঈদী।

পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া): জামায়াতের মঠবাড়িয়া উপজেলা আমির অধ্যাপক শরীফ আব্দুল জলিল।

তিনটি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। দলটির পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর দুই ছেলের মনোনয়ন জামায়াতের ভোটব্যাংকে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে নির্বাচনী পরিবেশ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অবস্থানও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ শতাংশ আওয়ামী লীগের সমর্থক!

বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ সম্প্রতি একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, পুলিশের ও প্রশাসনের ৯০ শতাংশই আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহের পরিকল্পনা চলছে, যা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার কৌশলের অংশ। তার মতে, আপাতত নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ সম্ভব নয়, তবে সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত করে অচলাবস্থা তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে ত্বরান্বিত নির্বাচন আয়োজন করে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

বেনজীর আহমেদ আরও দাবি করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তাদের বিরুদ্ধেও বিদ্রোহ করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে তাদের হটানোর জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এক ব্যবহারকারী, আসিফ শুভ্র, ফেসবুকে বিষয়টি শেয়ার করে লিখেছেন, "আইসো বিদ্রোহ করতে," যা আরও বিতর্ক তৈরি করেছে এবং পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলেছে।

সাবেক আইজিপির এই বক্তব্য ও পরবর্তী প্রতিক্রিয়াগুলো দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কিংবা সরকারিভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রেস সচিবের ক্ষমাপ্রার্থনা: বিবিসি বাংলার সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য সংশোধন
পিরোজপুরে জামায়াতের তিন প্রার্থী, দুই আসনে সাঈদীর দুই ছেলে
পুলিশ ও প্রশাসনের ৯০ শতাংশ আওয়ামী লীগের সমর্থক!
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসছে: আসিফ মাহমুদ
সৌদি আরব নিজেদের মাটিতেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়তে পারে: নেতানিয়াহু
জিজ্ঞাসাবাদের পর শাওন ও সোহানা সাবাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ‘হাত-পা বেঁধে’ ফেরত, তোপের মুখে মোদি সরকার
নিজের কেনা বুলডোজারেই গুঁড়িয়ে গেল সাদিক আবদুল্লাহর পারিবারিক বাড়ি
‘ছাগলের ঘর’ থেকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
নতুন রূপে সেজেছে মিরপুর, চিটাগংয়ের প্রথম নাকি বরিশালের দ্বিতীয়
চলতি বছরের শেষ দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে: প্রধান উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে নসিমন কেড়ে নিল মাদ্রাসায় পড়ুয়া এক শিশুর প্রাণ
নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচু্রের ঘটনায় ভারতের তীব্র নিন্দা
চুয়াডাঙ্গায় আবারও বাড়ছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১০ ডিগ্রিতে
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়
নারায়ণগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নিহত
আ.লীগ কর্মীদের বিশেষ ট্রেনিং, সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ফোনালাপ ফাঁস!
দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা বলল বিএনপি
আন্তর্জাতিক আদালতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলেন ট্রাম্প