সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫ | ৩ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে প্রেস সচিবের অবস্থান জানালেন

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে কোনো ধরনের বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হবে না, যতক্ষণ না তারা জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও তাদের কৃতকর্মের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) তিনি তার ফেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন।

শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কোনো ন্যায্য বিক্ষোভ বন্ধ করেনি বা নিষিদ্ধ করেনি। সরকার সমাবেশ ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। তার পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধু ঢাকায় ১৩৬টি বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো যানজট সৃষ্টি করলেও সরকার সেগুলোতে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, "আমাদের কি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার সুযোগ দেওয়া উচিত?"

তিনি দাবি করেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হত্যায় অংশ নিয়েছিল এবং এই গণহত্যায় কয়েকশ শিক্ষার্থী ও শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনা তার ১৬ বছরের শাসনামলে সরাসরি হত্যা এবং গুমের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

তার মতে, শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতিবাজরা ২৩৪ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে এবং এই বিষয়ে এখন তদন্ত চলছে। প্রায় সাড়ে তিন হাজার ব্যক্তি গুম ও তিন হাজার মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। শাপলা চত্বরের সমাবেশ এবং মাওলানা সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করেও গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রেস সচিব বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চাইবে, এবং তাদের অপরাধী নেতাকর্মীরা বিচার ব্যবস্থার কাছে আত্মসমর্পণ না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়া হবে না।" তিনি মিত্রবাহিনীর সময়ে নাৎসিদের বিক্ষোভের অনুমতি না দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, "বাংলাদেশের জনগণও আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেবে।"

তিনি সতর্ক করে বলেন, "আওয়ামী লীগের ব্যানারে কেউ অবৈধ বিক্ষোভের চেষ্টা করলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো প্রচেষ্টাকে সফল হতে দেবে না।"

Header Ad
Header Ad

ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু

এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ছবি: সংগৃহীত

অস্কারজয়ী সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের অসুস্থতার খবরের মধ্যেই সায়রা বানু ভক্তদের জন্য একটি চমক দিয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় জানান, তাকে যেন ‘প্রাক্তন স্ত্রী’ হিসেবে পরিচয় দেওয়া না হয়।

সায়রা বানু তার ভয়েস নোটে বলেন, ‘‘আসসালামু আলাইকুম। আমি এ আর রহমানের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। শুনেছি, তার বুকে ব্যথা ছিল এবং তিনি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করিয়েছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন।’’

তিনি আরও জানান, ‘‘আমি সবার উদ্দেশে বলতে চাই, আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তালাকপ্রাপ্ত নই, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী। গত দুই বছর ধরে আমি ভালো বোধ করছিলাম না, তাই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাতে তার ওপর বাড়তি চাপ না পড়ে। কিন্তু দয়া করে আমাকে ‘এক্স–ওয়াইফ’ বলবেন না। আমরা শুধু আলাদা থাকছি, তবে আমার দোয়া সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে।’’

এ আর রহমান ও সায়রা বানু। ছবি: সংগৃহীত

এ আর রহমানের মুখপাত্রও জানান, সংগীত পরিচালক অসুস্থ অনুভব করায় তিনি হাসপাতালে চেকআপে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা বলেন, রোজা রাখার কারণে পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন, যা তার অসুস্থতার মূল কারণ ছিল।

গত বছর এ আর রহমান ও সায়রা বানু বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন, তবে তারা তিন সন্তানের মা-বাবা হিসেবে একসঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

Header Ad
Header Ad

সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন

সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গাজী জসীম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে গাজী জসীম উদ্দিন।

সোমবার (১৭ মার্চ) সিআইডির ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সিআইডি জানায়, রবিবার গাজী জসীম উদ্দিন সিআইডর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। গত ৯ মার্চ সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. মতিউর রহমান শেখকে সিআইডি থেকে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বদলি করা হয়। এ অবস্থায় নতুন কোনো কর্মকর্তা সিআইডির দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত ডিআইজি গাজী জসীম উদ্দিন এ দায়িত্ব পালন করবেন।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রমাণ বিনষ্ট করার অভিযোগসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন উক্ত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিভাগীয় প্রধানের মাধ্যম হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপিটি জমা দেন তারা।

স্মারকলিপিতে পরীক্ষার পূর্বে অতিদ্রুত তদন্ত করে একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি বিনষ্ট করার চেষ্টা, অভিযোগের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীর খাতা জব্দ করা এবং আগামী পরীক্ষার পূর্বে অভিযুক্তের খাতার সাথে প্রমাণাদি মিলিয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রদানের দাবি করেন। পাশাপাশি, ৩০৬ কোর্সের বিফোর ফাইনালের ফলাফল অ্যাসাইনমেন্ট মিড নেওয়া ব্যতীত নাম্বারিং করার অভিযোগও করেন।

এ বিষয় উক্ত ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, 'আমরা ড্রাইভে লিংক নষ্ট হওয়াকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছি না। তাই তদন্তের বিষয় জানতে আমরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে গেলে উনি আমাদেরকে একটি লিখিত দিতে বলেন। সেক্ষেত্রে আমরা লিখিত স্মারকলিপিটি রেজিস্ট্রার স্যারের কাছে জমা দিয়েছি।'

এ বিষয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল হাসান জানান, 'প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে এসেছিল। তারা এ বিষয়ে আমাকে অবগত করেছে এবং আমি তাদের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, 'আমরা স্মারকলিপি হাতে পেয়েছি এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। ইতোমধ্যে এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছে এবং তাদের সিদ্ধান্ত ও উপস্থাপিত প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের অবশ্যই যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হবে।'

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ উক্ত ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডিভোর্স হয়নি, আমরা এখনো স্বামী–স্ত্রী: সায়রা বানু
সিআইডির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন গাজী জসীম উদ্দিন
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ, তদন্তে শিক্ষার্থীদের পাঁচ দাবি
হামজা এখন বাংলাদেশে  
‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ কাঠামো প্রত্যাখ্যান করে তিতুমীর শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি  
কর্মবিরতি প্রত্যাহার, দেড় ঘণ্টা পর মেট্রোরেলের টিকিট ব্যবস্থা চালু  
মিরপুরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন  
ফারাজ করিম ও ফারহান করিমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  
সাড়ে ১১টায় সিলেট বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন হামজা  
ইয়েমেনে নিহত বেড়ে ৫৩, হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের  
কর্মবিরতিতে মেট্রোরেল কর্মীরা, বিনা টিকিটে ভ্রমণ করছে যাত্রীরা
ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেবে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়
‘স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ হবে না’ খবরটি সত্য নয়
যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল
ডা. প্রাণ গোপাল দত্তের মেয়েকে উদ্ধার করল সেনাবাহিনী
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ‘সোনিয়ার’ প্রতারণা, টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন
চুয়াডাঙ্গায় সার বীজ মনিটরিং কমিটির  সভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি ক্ষমতায় এলে সব অন্যায়-জুলুমের বিচার নিশ্চিত করা হবে: তারেক রহমান
সাশ্রয়ী দামে আধুনিক ফার্নিচার সরবরাহ করবে সরকার : রিজওয়ানা
বাংলাদেশের নির্বাচন হবে আন্তর্জাতিক মানের, আশা ইউরোপীয় ইউনিয়নের