নতুন পাঠ্যবই থেকে বাদ সাকিব-সালাউদ্দিনের নাম
কাজী সালাউদ্দিন ও সাকিব আল হাসান। ছবিঃ সংগৃহীত
ফুটবল ও ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের কথা বললে শুরুতেই আসবে কাজী সালাউদ্দিন ও সাকিব আল হাসানের নাম। লাল-সবুজের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের অর্জন কম নয়। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে জাতীয় পাঠ্যক্রমের নতুন সংশোধনে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের অধ্যায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এই দুজনের নাম ও ছবি।
সাকিব-সালাউদ্দিনের জায়গায় ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি এবং দেশের প্রথম নারী আন্তর্জাতিক দাবা মাস্টার রানী হামিদ ও জাতীয় দলের ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া।
জাতীয় পাঠ্যক্রমের সপ্তম শ্রেণীর 'ইংলিশ ফর টুডে' বইতে খেলাধুলো বিষয়ক অধ্যায়ে এই বদল আনা হয়েছে। ২০১৩ সালে সপ্তম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ে 'গেইমস এন্ড স্পোর্টস' বিষয়ে বিশ্বের আট বিখ্যাত ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের অধ্যায় যুক্ত করা হয়। সেখানে এতদিন থাকা সাকিব, সালাউদ্দিনের সঙ্গে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের নামও বাদ দেওয়া হয়েছে। সাকিব ও সালাউদ্দিনকে নিয়ে আলাদা একটা অধ্যায়ও ছিলো পাঠ্যবইতে, সেটাও বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। বাইশগজের দীর্ঘ রাজত্বে ক্রিকেট বিশ্বে লাল-সবুজের দেশকে চিনিয়েছেন। সেই সাকিবের রাজনীতির ময়দানে দ্বিতীয় অধ্যায়টা সুখকর হয়নি। বরং রাজনীতিতে নাম লেখানোই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত।
সালাউদ্দিনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা প্রায় একই। ২০০৮ সালের ২৮শে এপ্রিল সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ভোট যুদ্ধে নেমেছিলেন সালাউদ্দিন। মেজর জেনারেল (অব.) আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন দেশের ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার। এরপর চার মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলেও পারেননি প্রত্যাশা পূরণ করতে। গত সেপ্টেম্বরে তার ১৬ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটে।