সোমবার, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ২২ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

২০২৪ সালে সড়কে ঝরেছে ৮ হাজার ৫৪৩ প্রাণ, আহত ১২৬০৮

ফাইল ছবি

বিদায়ী ২০২৪ সালে ৬ হাজার ৩৫৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৪৩ জন। আহত হয়েছেন ১২ হাজার ৬০৮ জন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৬ হাজার ৯৭৪টি দুর্ঘটনায় ৯ হাজার ২৩৭ জন নিহত এবং ১৩ হাজার ১৯০ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, রেলপথে ৪৯৭টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত, ৩১৫ জন আহত হয়েছে। নৌ-পথে ১১৮টি দুর্ঘটনায় ১৮২ জন নিহত, ২৬৭ জন আহত এবং ১৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। এই সময়ে ২ হাজার ৩২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৫৭০ জন নিহত ও ৩ হাজার ১৫১ জন আহত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিগত ১০ বছরে মোটরসাইকেল ১৫ থেকে ৬০ লাখে উন্নীত হয়েছে, নতুন করে ৬০ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা রাস্তায় নামার পাশাপাশি ছোট যানবাহন অবাধে বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ভয়াবহভাবে বাড়ছে। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে সড়কে ১.৫৪ শতাংশ দুর্ঘটনা, নিহত ৭.৫০ শতাংশ এবং আহত ১৭.৭৩ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৪ সালে সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ১৬৮ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৯৫২ জন চালক, ১ হাজার ৮৭৯ জন পথচারী, ৬২২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭৫৫ জন শিক্ষার্থী, ১২৬ জন শিক্ষক, ১ হাজার ২০৬ জন নারী, ৬৫৮ জন শিশু, ৪৮ জন সাংবাদিক, ১৭ জন চিকিৎসক, ১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন চিত্রনায়ক, ৬ জন আইনজীবী, ১২ জন প্রকৌশলী এবং ২১৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে।

এর মধ্যে ৩৯ জন পুলিশ সদস্য, ২১ জন সেনা সদস্য, ৫ জন আনসার সদস্য, একজন র‍্যাব সদস্য, একজন ফায়ারসার্ভিস সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ২১ জন সাংবাদিক, ৭২৭ জন নারী, ৫৩৬ জন শিশু, ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী, ৯৯ জন শিক্ষক, ১ হাজার ৩৭২ জন চালক, ২৬৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ৮ জন প্রকৌশলী, ৪ জন আইনজীবী, ১১৪ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, ১৫ জন চিকিৎসক ও এক হাজার ৯ জন পথচারী নিহত হয়েছে।

সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫০.৮৪ শতাংশ পথচারীকে গাড়িচাপা, ২৪.৩৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮.৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৪.৯৯ শতাংশ বিবিধ কারনে, ০.৩১ শতাংশ যানবাহনের চাকায় ওড়না পেঁছিয়ে এবং ০.৭৩ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩৫.৬৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২১.৬৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৫.৮১ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৯৩ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.২০ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, ০.৭৩ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে।

বিদায়ী বছরে ছোট যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও এসব যানবাহন অবাধে চলাচলের কারণে ফিডার রোডে ৭.৩১ শতাংশ, জাতীয় মহাসড়কে ০.৮১ শতাংশ, ০.০৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে, রেলক্রসিং-এ ০.০৫ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবার ঢাকা মহানগরীতে ১.৩৯ শতাংশ, আঞ্চলিক মহাসড়কে ৬.৭৫ শতাংশ দুর্ঘটনা কমেছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে দুর্ঘটনার কারণ:

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো হচ্ছে— বেপরোয়া গতি; বিপজ্জনক অভারটেকিং; সড়কের নির্মাণ ত্রুটি; ফিটনেসবিহীন যানবাহন; চালক, যাত্রী ও পথচারীদের অসতর্কতা; চালকের অদক্ষতা ও ট্রাফিক আইন সংক্রান্ত অজ্ঞতা; পরিবহন চালক ও মালিকের বেপরোয়া মনোভাব; চলন্ত অবস্থায় মোবাইল বা হেড ফোন ব্যবহার; মাদক সেবন করে যানবাহন চালানো; অরক্ষিত রেলক্রসিং; রাস্তায় ফুটপাত না থাকা বা ফুটপাত বেদখলে থাকা; ট্রাফিক আইন প্রয়োগে দুর্নীতি; ট্রাফিক আইন অমান্য করা; রোড মার্কিং না থাকা।

এছাড়া সড়কে চাঁদাবাজি; রাস্তার ওপর হাট-বাজার; মালিকের অতিরিক্ত মুনাফার মানসিকতা; চালকের নিয়োগ ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট না থাকা; সড়কে আলোকসজ্জা না থাকা; রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উঁচু না থাকা; সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহি না থাকা এবং দেশব্যাপী নিরাপদ, আধুনিক ও স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থার পরিবর্তে টুকটুকি-ইজিবাইক-ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা নির্ভর গণপরিবহন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত হওয়ার কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী ভয়াবহভাবে বাড়ছে।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ:

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে- মানুষের জীবন রক্ষায় সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার হিসেবে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা; দ্রুত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করা; সড়ক নিরাপত্তায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো, সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সড়ক নিরাপত্তা উইং চালু করা। সড়ক নিরাপত্তায় ইতোমধ্যে প্রণীত যাবতীয় সুপারিশমালা বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম শুরু করা; দেশের সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন, রোড মার্কিং (ট্রাফিক চিহ্ন) স্থাপন করা। জেব্রা ক্রসিং অংকন ও আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; গণপরিবহন চালকদের অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ ও নৈতিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা; সড়ক পরিবহন সেক্টরে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।

এছাড়া সুপারিশে রয়েছে-অনিয়ম-দুর্নীতি ও সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা; গাড়ির নিবন্ধন, ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের পদ্ধতি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আধুনিকায়ন করা; সড়ক দুর্ঘটনায় আর্থিক সহায়তা তহবিলে আবেদনের সময়সীমা ৬ মাস বৃদ্ধি করা; স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে দেশব্যাপী পর্যাপ্ত মানসম্মত নতুন বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া; ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ট্রাফিক ট্রেনিং একাডেমি গড়ে তোলা; সড়কের মিডিয়ানে উল্টো পথের আলো এবং পথচারীর পারাপার রোধে মহাসড়কের রোড ডিভাইডার পর্যাপ্ত উঁচু করা এবং গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের পক্ষে যাত্রী সাধারণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সরকার বদল হলেও পরিবহনের কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন আসেনি। চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে কেবল, ফিটনেসহীন যানবাহন সড়কে চলছে, আইনের অপপ্রয়োগ চলছে, বিআরটিএ রাজস্ব আদায়ে ব্যস্ত, ট্রাফিক বিভাগ জরিমানা আদায়ে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, দুর্ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার যাবতীয় উপাদান সড়কে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কেবল সভা-সমাবেশে, বক্তব্য-বিবৃতি আর পত্রিকায় বিজ্ঞাপণ দিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

সংবাদ সম্মেলন আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সমাজ উন্নয়ন কর্মী আবদুল্লাহ আল-জহির স্বপন, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্য মো. জিয়াউল হক চৌধুরী।

Header Ad
Header Ad

রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবিঃ সংগৃহীত

দলের পরবর্তী নীতি ও কৌশল নিয়ে আলোচনা করতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তিনি।

বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আজ গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তারেক রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠক হবে। তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত থাকবেন।

দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসাজনিত সফরকে সামনে রেখে এ বৈঠকটি হচ্ছে আজ। এতে দলের নীতি কৌশল ও নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এদিকে, বেগম জিয়াকে সরাসরি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হবে। এক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের ভিড় কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে সিনিয়র নেতারা বিমানবন্দরে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানাতে যাবেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রা শুরু করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ কাতারের রাজধানী দোহা হয়ে লন্ডন পৌঁছাবেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি যুক্তরাজ্যের লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হবে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। সেখানকার চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসা।

Header Ad
Header Ad

৫ আগষ্টের পর খুলনার আ: লীগের নেতাদের বাড়ীগুলো হয়ে গেছে ভূতের বাড়ী

ছবিঃ সংগৃহীত

শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে খুলনায় সাবেক মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, মেয়র ও সংসদ সদস্যদের ১০টি বাড়ি এখন ‘পরিত্যক্ত’। একসময় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভিড় লেগে থাকত এই বাড়িগুলোতে। গত পাঁচ মাস ধরে সেই বাড়িগুলো একেবারে সুনসান, যেনো ভূতের বাড়ী। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, দলের নেতাকর্মী ও আত্মীয়স্বজন কেউই বাড়িগুলোর ধারে-কাছে ভেড়েন না।

খুলনার ডুমুরিয়া সদরে প্রাণিসম্পদ অফিসের বিপরীতে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের দোতলা বাড়ি। গত ৫ আগস্ট হামলা-ভাঙচুরের পর থেকে এখানে কেউ থাকেন না। বাড়িটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। নারায়ণ চন্দ্র গত ৭ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন।

নগরীর রেলিগেট এলাকায় সড়কের দুই পাশে রয়েছে সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মন্নুজান সুফিয়ানের দুটি বাড়ি। একটি চারতলা, অন্যটি তিনতলা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাড়ি ছাড়েন মন্নুজান সুফিয়ান ও তার পরিবারের সদস্যরা। এর পর থেকে বাড়ি দুটি খালি পড়ে আছে।
বাড়ি দুটির পার্শ্ববর্তী দু’জন দোকানি জানান, বাড়িতে এখন কোনো লোকজন আসেন না। কোনো নিরাপত্তারক্ষীও নেই।

নগরীর কাস্টমস ঘাট এলাকায় সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এবং তার স্ত্রী সাবেক পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের ছয়তলা বাড়ি রয়েছে। গত ৪ ও ৫ আগস্ট কয়েক দফা হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হয় বাড়িটিতে। ৪ আগস্ট রাতে বাড়ি ছাড়েন এই দম্পতি। এর পর থেকে সেটি অনেকটা ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে। বাড়ির একটি প্রবেশপথ ছাড়া অন্যগুলো বন্ধ করে দিয়ে সেখানে দেয়াল দেওয়া হয়েছে।

নগরীর নতুন বাজার এলাকায় রূপসা স্ট্যান্ড রোডে চারতলা একটি বাড়ির মালিক জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাড়ি ছাড়েন তিনি। গত ১১ নভেম্বর রাতে যৌথ বাহিনী ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি রাইফেল, রাইফেলের ১৩ রাউন্ড গুলি, পিস্তলের কভার ও ২৫০ ভারতীয় রুপির নোট উদ্ধার করে।

নগরীর টুটপাড়া এলাকায় খালি পড়ে আছে খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর পাঁচতলা বাড়ি। বাড়িটি এখন তালাবদ্ধ। কয়রায় তার একটি দোতলা ও পাইকগাছায় একটি একতলা বাড়িতে ৪ আগস্ট হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় উত্তেজিত জনতা। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বাড়ি দুটি। ইটের অবকাঠামো ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। এর পর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত।

দাকোপ উপজেলার রামনগর গ্রামে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে খুলনা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ননী গোপাল মণ্ডলের দোতলা বাড়ি। তবে ওই বাড়িতে কোনো হামলা হয়নি।

নগরীর শেরেবাংলা সড়কে ‘শেখবাড়ি’ নামে পরিচিত খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েলের বাড়িটি এখন পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপ। গত ৪ ও ৫ আগস্ট উত্তেজিত জনতার সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ দেখা যায় এই বাড়িটির ওপর। দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের পর ইটের অবকাঠামো ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। বাড়ির গেটও খুলে নিয়ে যায় লোকজন। সম্প্রতি কে বা কারা বাড়ির গেটের জায়গায় টিনের বেড়া দিয়েছে।

নগরীর কাস্টমস ঘাট এলাকার ইসহাক সরদারের মালিকানাধীন বহুতল ভবনের নিচতলা ও দোতলা ভাড়া নিয়েছিলেন খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী। আগস্টের উত্তাল সময়ে সেখানে ভাঙচুর ও আগুন দেয় লোকজন। গত ১ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন সালাম মুর্শেদী। এখানে তার কেউ আর থাকেন না।

নগরীর খালিশপুরে স্কাউটস মাঠের পাশে একটি বাড়ির নিচতলা ও দোতলা ভাড়া নিয়ে থাকতেন খুলনা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

বাড়ির মালিক আবদুর রহিম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা এস এম কামালের বাড়ি মনে করে ৫ আগস্ট কিছু লোকজন এখানে হামলা ও ভাঙচুর করেছিল। এখন আর তাদের কেউ এখানে থাকেন না। অন্যদের কাছে বাসা ভাড়া দিয়েছি। 

Header Ad
Header Ad

অবশেষে বিপিএলে দল পেলেন মোসাদ্দেক হোসেন

মোসাদ্দেক হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসরে অবশেষে দল পেয়েছেন ডানহাতি অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। তাকে দলে ভিড়িয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টের মাধ্যমে এই খবর জানিয়েছেন মোসাদ্দেক।

ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে সিলেট পর্ব থেকেই মাঠে নামার সম্ভাবনা রয়েছে মোসাদ্দেকের। এই পর্বে মোট চারটি ম্যাচ খেলবে ঢাকা। তবে আসিফ হাসানের বদলি হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত হলেও, একাদশে তাকে কীভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

এর আগে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে মোসাদ্দেককে নিতে আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমনকি গত ডিসেম্বরে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) বাংলা টাইগার্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও তার প্রতি মনোযোগ দেয়নি কোনো দল। ফাইনালে জাফনা কিংসের বিপক্ষে একাদশে না থাকলেও, দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন মোসাদ্দেক।

ঢাকা ক্যাপিটালসের দলে আরও আছেন সাব্বির রহমান। এলপিএলের ফাইনালে সাব্বিরকে একাদশে খেলানো হলেও, তিনি মাত্র ৮ বলে ১৬ রান করে আউট হন। বিপিএলে ঢাকার হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলে ফেললেও এখন পর্যন্ত একাদশে জায়গা হয়নি সাব্বিরের।

তিন ম্যাচে পরাজিত হয়ে পয়েন্ট টেবিলের নিচ থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। সবার নিচে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স, যারা মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছে। সিলেট পর্বে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মরিয়া ঢাকার দলটি।

ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা রয়েছে দেশের শীর্ষ চিত্রনায়ক শাকিব খানের হাতে। অন্যদিকে কোচ হিসেবে রয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একাদশকে ঢেলে সাজিয়ে সিলেট পর্বে সফলতা পাওয়ার জন্য কোচের ওপর চাপ রয়েছে। মোসাদ্দেক ও সাব্বিরকে একাদশে কোন কৌশলে ব্যবহার করা হবে, সেটি এখন টিম ম্যানেজমেন্টের অন্যতম বড় প্রশ্ন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরমার হিসেবে পরিচিত মোসাদ্দেকের সংযোজন ঢাকার জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে পারে। ব্যাট হাতে আক্রমণাত্মক খেলার পাশাপাশি তার নেতৃত্বের অভিজ্ঞতাও দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এখন দেখার বিষয়, সিলেট পর্বে তিনি কতটা প্রভাব রাখতে পারেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান
৫ আগষ্টের পর খুলনার আ: লীগের নেতাদের বাড়ীগুলো হয়ে গেছে ভূতের বাড়ী
অবশেষে বিপিএলে দল পেলেন মোসাদ্দেক হোসেন
জান্নাতি ফল ডালিম খাওয়ার যত উপকারিতা
চীনের পর এবার ভারতে মিললো এইচএমপিভি ভাইরাস, ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত
দেশের মূল্যস্ফীতি কমলেও অস্বস্তিতে গ্রামের মানুষ
নিজের নামে ট্রফি, অথচ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ডাকা হয়নি গাভাস্কারকে
যুক্তরাষ্ট্রে তুষার ঝড়ের শঙ্কা, ৭ অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি  
ভারতে পালানোর সময় ছাত্রলীগ নেতা শাহাজাদা গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মন্ত্রিত্ব হারাতে বসেছেন টিউলিপ
দেশে বর্তমানে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার  
আজহারীকে জামায়াতে যোগ দিতে বললেন দুদু  
রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করছে ১১ ছায়া কমিশন  
১৫ লাখ টাকা নিয়েছিলো সাবেক প্রেমিকের থেকে তাহসানের স্ত্রী!  
৫০ বছর পর প্রকাশ্যে মেজর ডালিম, মুজিবকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য  
মুম্বাইয়ে ক্রাইম পেট্রোল অভিনেতাকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত
প্রথমবার জুটি বাঁধছেন আয়ুষ্মান-রাশমিকা
বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে মঙ্গলবার রাতে লন্ডন যাবেন খালেদা জিয়া  
মারা গেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র