সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫ | ১৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সেনাবাহিনীকে রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে দেব না, এটা আমার অঙ্গীকার: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ছবি: সংগৃহীত

সেনাপ্রধান হিসেবে নিজের মেয়াদকালে আমি রাজনীতিতে নাক গলাব না। আমি সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে হস্তক্ষেপ করতে দেব না। এটাই আমার স্পষ্ট অঙ্গীকার বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

সম্প্রতি সেনা সদরদপ্তরে দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী দেশের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা, অন্তর্বর্তী সরকারকে সেনাবাহিনীর সমর্থন, নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক, সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানের ক্ষমতার ভারাসাম্যসহ বেশ কিছু বিষয়ে সেনাপ্রধানের ভাবনার কথা উঠে আসে।

জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘সেনাপ্রধান হিসেবে নিজের মেয়াদকালে আমি রাজনীতিতে নাক গলাব না। আমি সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে হস্তক্ষেপ করতে দেব না। এটাই আমার স্পষ্ট অঙ্গীকার।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, রাজনীতিবিদের বিকল্প রাজনীতিবিদরাই। তাদের বিকল্প সেনাবাহিনী নয়।’

যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা করছি। তারা আমাদের কাছ থেকে যে ধরনের সহায়তা চাইছে, সেভাবেই সহায়তা দিচ্ছি এবং দেব। যেদিন অন্তর্বর্তী সরকার বলবে, আপনাদের অনেক ধন্যবাদ, আপনারা আপনাদের কাজটা সম্পন্ন করেছেন, এখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নেবে। আমরা তখন সানন্দে সেনানিবাসে ফিরে যাব।’

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনীর দীর্ঘদিন মাঠে থাকার ঝুঁকির বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা আইনশৃঙ্খলার দেখভাল করছি। কিন্তু আমাদের ১/১১–এর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। সেনা সদস্যদের মাঠে দীর্ঘদিনের উপস্থিতি উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি করে। যদিও সংখ্যাটা খুবই কম। শৃঙ্খলাজনিত ঘটনার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শেষে শাস্তিও দিই। এরপরও শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। আমাদের তো এ ধরনের কাজে যুক্ততা কিংবা রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার জন্য তৈরি করা হয়নি।’

নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি তৈরির গুরুত্ব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী। রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে ভালো রাজনীতিবিদ রয়েছেন। হয়তো ভিন্নমতের মানুষও আছেন। আমার অতীত অভিজ্ঞতায় বলে, যখন এমন একটা ক্রান্তিকাল আসে, আমাদের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে বসলে তারা সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসেন।’

অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘এখন সমঝোতা সম্ভব। একসঙ্গে বসে এটা করা সম্ভব। এটা একটা সংস্কৃতির ব্যাপারও বটে। সবার এটা বোঝা উচিত। আমি নৈরাশ্যবাদী নই।’

সংবিধান সংস্কারের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনার ব্যাপারেও কথা বলেন সেনাপ্রধান। সশস্ত্রবাহিনীকে রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখার ব্যাপারে নিজের মনোভাবের কথাও জানান তিনি।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সংবিধান বিশেষজ্ঞ নই। নিজের অভিজ্ঞতার আলোকেই বুঝেছি, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা প্রয়োজন। সশস্ত্র বাহিনীকে রাষ্ট্রপতির অধীন রাখা যেতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনী প্রধান উপদেষ্টার অধীন ছিল। আমি এই ধারণার কথা বলছি। ক্ষমতার ভারসাম্য আনার প্রসঙ্গটি নিয়ে ভাবছি। কীভাবে সেটা হতে পারে, বিশেষজ্ঞরা বললেই ভালো। কিন্তু এই পরিবর্তন আনতে পারলে শাসনব্যবস্থায় একটা ভারসাম্য আসবে।’

Header Ad
Header Ad

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (৩০ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং কর্তৃক প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “সকলকে আনন্দময় ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আশা করি, আপনারা নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছতে পারবেন এবং পরিবারের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করবেন।”

প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে আত্মীয়-স্বজনের কবর জিয়ারত, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের খোঁজখবর নেওয়া এবং তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের বিষয়ে ভাবার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, “আপনার সন্তানদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন—এটাই আমার ইচ্ছা। ঈদের নামাজের সময় মতপার্থক্য থাকলেও পরাজিত শক্তির সব ধরনের উসকানির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় থাকুন।”

অধ্যাপক ইউনূস প্রার্থনা করেন, “সবার জীবন আনন্দে ও অর্থপূর্ণতায় ভরে উঠুক। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।”

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বড় বাসালিয়া ঈদগাহ মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি রোধে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

শনিবার (২৯ মার্চ) টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক শরীফা হক এই আদেশ জারি করেন। ঈদুল ফিতরের নামাজকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য সংঘর্ষের আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রশাসনের জারি করা আদেশ অনুযায়ী, বড় বাসালিয়া ঈদগাহ মাঠের চারপাশে ৪০০ গজ এলাকার মধ্যে সব ধরনের সমাবেশ, শোভাযাত্রা, স্লোগান, মিছিল, পিকেটিং, মাইক্রোফোন ব্যবহার, ঢাকঢোল বাজানো, গোলযোগ সৃষ্টি, লাঠিসোঁটা ও অস্ত্র বহন এবং বেআইনি অনুপ্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, "ঈদের দিন ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না ঘটে এবং ঈদের জামাত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।"

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেও বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Header Ad
Header Ad

বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের আকাশে রোববার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে আজ সোমবার (৩১ মার্চ) সারাদেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এবারের ঈদকে আরও বর্ণিল ও উৎসবমুখর করতে অন্তর্বর্তী সরকার দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

ঈদ উদযাপনের অংশ হিসেবে মুঘল আমলের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে রাজধানী ঢাকায় ঈদের নামাজের পর আনন্দ মিছিল ও ঈদ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা ও পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সভা শেষে তিনি জানান, দেশের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, ফলে ২৯ রোজা শেষে সোমবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চান্দ্র বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ঈদের তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। সাধারণত চান্দ্র মাস ২৯ বা ৩০ দিনের হয়, ফলে মুসলমানদের ঈদের তারিখ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগের রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এবার ২৯ রোজা সম্পন্ন করেই ঈদ উদযাপন করছে বাংলাদেশ।

এদিকে, সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, কুয়েত, তুরস্ক, ইয়েমেন, ফিলিস্তিন, সুদানসহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে রোববার (৩০ মার্চ) ঈদ উদযাপিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক মাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলিম বিশ্ব ঈদুল ফিতর উদযাপন করে, যা ইসলামের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস
টাঙ্গাইলে ঈদের মাঠে সংঘর্ষের শঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
বছর ঘুরে এলো খুশির ঈদ, আজ দেশজুড়ে উদযাপন
যুক্তরাষ্ট্রে ৩ হাজারের বেশি ঈদ জামাত, প্রবাসীদের মাঝে উৎসবের আমেজ
মায়ের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ছবি শেয়ার করে যা বললেন তারেক রহমান
ময়মনসিংহে বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার নারী-শিশুসহ নিহত ৪
ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
ঈদের আগের দিন গাজীপুরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দুই দিনে রাজধানী ছাড়লেন ৪১ লাখ মানুষ
ঈদেও রেহাই নেই গাজার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর
ফিলিস্তিনের আল-আকসায় ঈদের নামাজে মুসল্লিদের ঢল
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ঈদের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
ধ্বংসস্তূপের মধ্যে গাজাবাসীর ঈদুল ফিতরের নামাজ
জাতীয় ঈদগাহে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত: ডিএমপি কমিশনার
৮ বছর পর পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে ঈদ উদযাপন করলেন খালেদা জিয়া
ইসরাইলে হুথি বিদ্রোহীদের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন
কারাগারে ঈদ: জেলে বন্দি নেতারা কেমন কাটাবেন ঈদের দিন?