শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া গণমাধ্যম চিহ্নিত করা হবে: শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নিয়ে যেসব গণমাধ্যম শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী দিয়েছে, সেসব গণমাধ্যমকে চিহ্নিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বুধবার (২০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট কোন কোন গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, কোন কোন গণমাধ্যমে ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরি হয়েছে তা চিহ্নিত করা হবে।
তিনি বলেন, গণমাধ্যমে গত ১৬ বছর কার কী ভূমিকা ছিল তা নিয়ে গবেষণা প্রয়োজন। গত নির্বাচনগুলোকে কারা বৈধতা দিয়েছে দেখতে হবে। শেখ হাসিনার প্রতিটি প্রেস কনফারেন্সকে প্রমাণ ধরে কোন সাংবাদিকের ভূমিকা কেমন ছিল সেটা ধরে ধরে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে ১৫-১৬ বছর আমাদের ভয়েস কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে; কাউকে শিবির ট্যাগ দিয়ে, কাউকে বিএনপি ট্যাগ দিয়ে... এ ধরনের পরিবেশ আমরা যেন না করি। আমরা যেন আমাদের অ্যাটিচিউডে ফ্যাসিবাদী না হই। আমরা যেন আরেকজনের ভয়েসটা কেড়ে না নিই। বাংলাদেশে যারা ক্রিটিসাইজ করে তাদের ভয়েস আমরা যেন কেড়ে না নিই। আমরা প্রত্যেকটা ভয়েসকে ওয়েলকাম জানাই। প্রত্যেকটা ভয়েস বাংলাদেশে জারি থাকুক।
শফিকুল আলম বলেন, শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে যে কিলিং হয়েছে, আমরা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডে এগুলো বের করব। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অনেক প্রেস কনফারেন্স করেছেন। প্রত্যেকটার বিবরণ আছে। কে কী করেছেন সেটা রয়েছে। প্রত্যেকটা ঘটনা ধরে ধরে কার কী রোল ছিল সেটা লিপিবদ্ধ করে রাখতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিস্ট রাইট গ্রুপগুলোকে আমরা ইনভাইট করব। তারা যাতে এসে ইনভেস্টিগেশন করে দেখে দেশে কী ধরনের সাংবাদিকতা হয়েছে। প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড নিয়ে তারা অনেক স্টেটমেন্ট দিয়েছে। তাদের স্টেটমেন্টকে আমরা ওয়েলকাম জানাই। কিন্তু গত ১৫ বছরে কী ধরনের ভয়াবহ জার্নালিজম হয়েছে সেটা জানুক।