শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল

ছবি: সংগৃহীত

সরকার সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও ৬০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল, ১৫ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসেন শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদুর্ব্ধ কর্মকর্তা, পাশাপাশি কোস্টগার্ড এবং বিজিবি-তে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদের সারা বাংলাদেশে বিশেষ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এটি ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর বিভিন্ন ধারায় ক্ষমতা প্রদান করে, যা ৬০ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

এই ক্ষমতা দেয়া হয়েছে ফৌজদারি কার্যবিধি এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারার অধীনে।

এছাড়া, ১৭ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়া হয়েছিল এবং এর পরবর্তী সময়ে ৩০ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও এই ক্ষমতা দেয়া হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মানসুর হোসেন জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে সংশোধন এনে ‘সেনাবাহিনী’ শব্দটি পরিবর্তন করে ‘সশস্ত্র বাহিনী’ শব্দটি যোগ করা হয়েছে। তবে নতুন কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি, আগের প্রজ্ঞাপনেরই সংশোধন করা হয়েছে।

Header Ad

‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের অনাগ্রহ’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রশ্নে প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে আশানুরূপ সমর্থন পায়নি বাংলাদেশ। এই বাস্তবতায় ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জটিলতাকে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)-এর আয়োজিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "প্রশ্ন আসে, চীন কেন রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পক্ষে এগিয়ে আসছে না? কারণ চীনের জন্য বঙ্গোপসাগর এবং মিয়ানমার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিয়ানমারকে পাশে রেখে চীন তার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা করছে। একইভাবে ভারতও কালাদান প্রকল্পের কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। এই ভূ-রাজনৈতিক সমীকরণে বাংলাদেশের স্বার্থ গুরুত্ব পাচ্ছে না।"

তিনি আরও বলেন, "আমি কাউকে দোষারোপ করছি না, কারণ প্রতিটি দেশ তার নিজস্ব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়। তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এসব স্বার্থের সঙ্গে আমাদের স্বার্থের কোনো মিল নেই। যার ফলে সমস্যাটি দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এই সংকট দ্রুত সমাধানের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।"

রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি বিশ্বব্যাপী একটি গুরুতর সংকটে পরিণত হতে পারে বলে সতর্ক করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, "যে তরুণ প্রজন্মটি শরণার্থী শিবিরে কোনো ভবিষ্যৎ আশা ছাড়াই বড় হচ্ছে, তাদের জীবনে লক্ষ্যহীনতা ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। অলস বসে থাকা এই তরুণরা সময়ের পরিক্রমায় শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের জন্যও বড় ধরনের সমস্যা হয়ে উঠতে পারে।"

এ সংকট সমাধানের জন্য বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে কার্যকর সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "এই সমস্যার সমাধান ছাড়া এটি কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তাই সকলের উচিত সম্মিলিতভাবে সমাধানের পথ বের করা।"

বাংলাদেশের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও প্রতিবেশীদের ভূ-রাজনৈতিক প্রাধান্য এবং অভ্যন্তরীণ স্বার্থের কারণে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে এই সমস্যা দীর্ঘায়িত হলে তা সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার জন্ম দেবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।

Header Ad

মণিপুরে রণক্ষেত্র, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

মণিপুরে গত দুই দিনে ছয়টি মৃতদেহ উদ্ধারের পর সেখানকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ইম্ফল পশ্চিম এবং ইম্ফল পূর্বে কারফিউ জারি করা হয়েছে, এবং সাতটি জেলার ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে, রাজ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি আরো তীব্র হয়ে ওঠে।

শুক্রবার এবং শনিবার, মণিপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে আরও তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যের একটি সরকারি সূত্রের মতে, এই মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে গিরি নদীতে, যা অসম-মণিপুর সীমানায় অবস্থিত। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ওই তিনটি দেহ ছিল একটি মহিলার এবং দুটি শিশুর। এই দেহগুলোর সঠিক পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। তবে, ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া দেহগুলো সেই ছয়জন অপহৃত মহিলার ও শিশুর হতে পারে, যাদের গত পাঁচ দিন আগে জিরিবাম জেলার কাছ থেকে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা অপহরণ করেছিল। এই ঘটনায় স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী তদন্ত শুরু করেছে।

গত সপ্তাহে মণিপুরের জিরিবাম এলাকায় কুকি জঙ্গি এবং সিআরপিএফ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পরেই ওই তিন মহিলার এবং তিন শিশুর অপহরণের অভিযোগ ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধারে তৎপর হলে, শুক্রবার রাতে জিরিগাঁও থেকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য সেই দেহগুলো শিলচরের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়, যেখানে প্রাথমিকভাবে সেগুলোর মধ্যে একজন মহিলা এবং দুটি শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যে আবারও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। জিরিবামের ঘটনা পরবর্তী সময়ে কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যরা শিলচরের মর্গে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে, যেখানে গত সোমবার থেকে তারা মৃতদেহগুলো মিজোরামে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানায়। শনিবার সকালে, পুলিশ ১০টি মৃতদেহ নিয়ে চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা হলে, কুকি সম্প্রদায়ের মানুষরা আবারও বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এর পরই পুরো অসম অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়।

মণিপুরের এই অশান্তি নতুন কিছু নয়। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ চলতে থাকায় রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েছে এবং নিহতের সংখ্যা ২০০-র বেশি।

Header Ad

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের রোমাঞ্চকর জয়

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালটি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য খুবই প্রতিকূল ছিল। ৭ ম্যাচের ৬টিতে হারের সম্মুখীন হতে হয়েছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের। তবে ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।

ম্যাচের শুরুতে মালদ্বীপ আক্রমণাত্মক খেলা শুরু করে, এবং বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিচ থেকে বিল্ডআপ করে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তবে আগের ম্যাচের মতো সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। ২৩ মিনিটে গোল করার সুযোগ পায় মালদ্বীপ, তবে বাংলাদেশও আত্মবিশ্বাসী ছিল।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরুতে বাংলাদেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েছিল। চতুর্থ মিনিটে রাকিবের ক্রস ফাহিমের নিয়ন্ত্রণে আসেনি, এবং পঞ্চম মিনিটে ফয়সালের ক্রসে রাকিব হেড করতে পারেননি।

এরপর ১৪ মিনিটে মালদ্বীপ প্রথমবার আক্রমণ চালায়, তবে গোলরক্ষক মিতুল মার্মা দারুণ সেভ করেন। ১৯তম মিনিটে মালদ্বীপের আলি ফাসিরের জোরালো শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। তবে ২৩ মিনিটে তপুর ভুল পাসের সুবাদে আলি ফাসির গোল করেন, এবং বাংলাদেশ ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বাংলাদেশ গোলের সুযোগ সৃষ্টি করে। ৫০ মিনিটে রাকিবের শক্তিশালী শট মালদ্বীপের গোলরক্ষক কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। তিন মিনিট পরেই মালদ্বীপও গোলের সুযোগ পায়, তবে গোলরক্ষক মিতুল মার্মা দুর্দান্ত সেভ করেন আলি ফাসিরের হেড।

দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে, তবে গোলের দেখা পায়নি কেউ।

৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা সময়ে বাংলাদেশ গোল করে। শাহরিয়ার ইমনের পাস থেকে পাপন সিং বলটি জালে পাঠিয়ে দেন, এবং ম্যাচে প্রথমবারের মতো লিড পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে বাংলাদেশ ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

এ জয়টি বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এটি তাদের দুই ম্যাচের প্রীতি সিরিজ সমতায় নিয়ে আসে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকে বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রতিবেশীদের অনাগ্রহ’
মণিপুরে রণক্ষেত্র, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের রোমাঞ্চকর জয়
সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল
২১ নভেম্বর ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে
সরকার পরিচালনায় অদক্ষতা জনগণ মেনে নেবে না: তারেক রহমান
ভবিষ্যতে কেউ টাকা পাচার করলে ধরা পড়বে: অর্থ উপদেষ্টা
এখনই সন্তান নিতে চাননি কাঞ্চন, শোনেননি শ্রীময়ী
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই জনগণের কল্যাণ: মির্জা ফখরুল
টিকটকার মুন্নি হত্যা: গণধর্ষণের পর হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২
আফ্রিদির বিয়ের পর দীঘি বললেন ‘আল্লাহ বাঁচিয়েছে’
জানা গেল পুরুষদের নিঃসন্তান থাকার পেছনে আসল কারণ
যেভাবে শাহরুখের দেখা পেলেন বাংলাদেশি ভক্ত
ইউটিউবারের কাছে হারলেন বক্সিং কিংবদন্তি মাইক টাইসন
উত্তরাঞ্চল থেকে উপদেষ্টা নিয়োগে আলোচনা হয়নি : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
নবান্ন উৎসবে মুখরিত চারুকলা
পল্লবীতে ২ ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা
বাড়ছে শীতের প্রকোপ, ১৫ ডিগ্রির ঘরে তাপমাত্রা
পরিচালকের নেশা মিশ্রিত চকোলেট খেয়ে বিপাকে অভিনেত্রী
ডেনমার্ককে খাদের কিনারায় রেখে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন স্পেন