শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে গত ১৫ বছরের অপশাসনে সহায়ক ভূমিকা রাখা এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সমসাময়িক ইস্যুতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যেসব সদস্য দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিশন কাজ করছে এবং নির্দিষ্ট কোনো বাহিনীকে দায়ী না করে দোষী সদস্যদের চিহ্নিত করাই লক্ষ্য।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম আরও বলেন, গুম, খুন ও নির্যাতনের বিষয়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্যের বাইরেও নতুন অনেক তথ্য উঠে আসছে। নিখোঁজদের বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠন থেকে আগের যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল, তার বাইরেও নতুন তথ্য সরবরাহ করছেন নিখোঁজদের স্বজনরা।

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার বলেন, গত ১৫ বছরের অপশাসনের সহায়ক এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রেক্ষিতে সরকার ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সরকার এখনো পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি।

Header Ad
Header Ad

২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ননইমিগ্র্যান্ট বা দর্শনার্থী ভিসা দেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের মার্কিন দূতাবাস।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের মার্কিন দূতাবাস।

দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা গত ২০২৪ সালের ধারাবাহিকতা ২০২৫ সালেও অব্যাহত রাখতে চাই। প্রাথমিকভাবে ১০ লাখের বেশি ভারতীয়কে দর্শনার্থী ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিদায়ী ২০২৪ সালের তুলনায় আসন্ন ২০২৫ সালে আরও বেশি সংখ্যক ভারতীয় কর্মী-চাকরিজীবীকে এইচ-১বি ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।

যেসব বিদেশি কর্মী যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন কিংবা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন, তাদেরকে এইচ-১বি ভিসা প্রদান করে দেশটির সরকার।

গত চার বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে ইচ্ছুক সামর্থ্যবান ভারতীয়ের সংখ্যা বেড়েছে অন্তত ৫ গুণ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দর্শনার্থী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি ভারতীয়, যা শতকরা হিসেবে আগের বছর ২০২৩ সালের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি।

মার্কিন দূতাবাসের শুক্রবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের জন্য দর্শনার্থী ভিসা রয়েছে- এমন ভারতীয়র সংখ্যা এই মুহূর্তে ৫০ লাখ এবং প্রতিদিনই এক হাজারের বেশি ভারতীয়কে দর্শনার্থী ভিসা প্রদান করছে নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাস।

মার্কিন আইন অনুযায়ী, দর্শনার্থী ভিসাধারীরা ভ্রমণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন এবং প্রথমবার যাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৬ মাস অবস্থান করতে পারবেন সেখানে। কোনো দর্শনার্থী এর বেশিদিন অবস্থান করলে ভিসা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে পারবে পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

সংস্কার না হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সংস্কার সম্ভব না হলে আর কখনোই হবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে এটা করতে না পারলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা হবে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর খামারবাড়িতে ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ক জাতীয় সংলাপের ‘সংস্কারের দায় ও নির্বাচনের পথরেখা’ শীর্ষক সংলাপ অধিবেশন–৪ এ বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হতেই হবে। সেখানে যারা আসবেন তারা নির্বাচন নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করতে পারে। তখন হয়তো আলাদা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন পড়বে না।

রাজনৈতিক দলের চাঁদাবাজি প্রসঙ্গে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট (রাজনৈতিক দল আইন) তৈরি করতে হবে। এখন ভোট করতে পয়সা লাগবে বলে চাঁদাবাজি হচ্ছে। কোনো অযুহাতেই তাদের চাঁদাবাজি মেনে নেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, একটি দল যদিও বহিষ্কার করছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। তাই পলিটিক্যাল পার্টিগুলোতেও সংস্কার করা জরুরি। দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একটি আইন থাকা প্রয়োজন।

Header Ad
Header Ad

আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ১৯ পাক সেনা নিহত, উত্তেজনা তুঙ্গে

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৯ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং তিনজন আফগান বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে চীনা সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানায়।

সম্প্রতি আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এই ঘটনার জের ধরে পূর্ব আফগানিস্তানের খোস্ত ও পাকতিয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে শুরু হয় তীব্র সংঘর্ষ। আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাতে তোলো নিউজ জানিয়েছে, সংঘর্ষে খোস্ত প্রদেশের আলি শির জেলায় বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সামরিক চৌকিতে আগুন দেওয়া হয়েছে এবং পাকতিয়া প্রদেশের ডান্ড-ই-পাতান জেলায় দুটি সামরিক পোস্ট দখল করেছে আফগান সীমান্ত বাহিনী।

ডান্ড-ই-পাতান জেলায় পাকিস্তানি সেনাদের ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে তিনজন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তান সেনাবাহিনী আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় চারটি স্থানে বোমা হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ৫১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ছয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

তালেবান সরকারের একজন মুখপাত্র এ হামলার নিন্দা জানিয়ে একে ‘বর্বর’ ও ‘স্পষ্ট আগ্রাসন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তারা আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানের এই আগ্রাসনের উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে।

আফগান প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, খোস্ত এবং পাকতিয়া প্রদেশে সংঘর্ষের ফলে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আফগান সীমান্ত বাহিনী পাকিস্তানের সামরিক উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সীমান্ত এলাকায় তাদের শক্ত অবস্থান বজায় রেখেছে।

দুই দেশের মধ্যে চলমান এই সংঘর্ষ আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানালেও সীমান্তে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

এ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয় দেশকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

আফগান সীমান্তে চলমান সংঘর্ষ এবং এর প্রেক্ষিতে উভয় দেশের প্রতিক্রিয়া অঞ্চলটিতে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও সামরিক পরিস্থিতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৫ সালে ১০ লাখেরও বেশি ভারতীয়কে ভিসা দেবে যুক্তরাষ্ট্র
সংস্কার না হলে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ: ১৯ পাক সেনা নিহত, উত্তেজনা তুঙ্গে
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথের ঐক্য ধরে রাখতে হবে: মাওলানা মামুনুল হক
ভূঞাপুর থানা ভবন যেনো মরণ ফাঁদ, খসে পড়ছে ভবনের প্লাস্টার
নীতিশের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে লড়াইয়ে ফিরলো ভারত  
আগামী নির্বাচনে জনগণ দিনের আলোতে প্রার্থী নির্বাচিত করতে পারবে
মহাখালীর সাততলা বস্তিতে আগুন
সিলেট সীমান্তে ভারতীয়র গুলিতে দুদিনে ২ বাংলাদেশি নিহত
১৭ বছর নয়, ১৮ বছরই সবার কাছে গ্রহণযোগ্য: মির্জা ফখরুল  
৭০ বছর পর বদলে যাচ্ছে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর নাম
সব ইসলামী দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না: জামায়াত আমির
টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে ধাক্কা, সেই বাসচালক গ্রেপ্তার  
বিপিএলে রাজশাহীর সহকারী কোচ হলেন পাকিস্তানের ইফতিখার
ওয়াজ মাহফিলের আয়োজনে আওয়ামী লীগের গা জ্বলতো: রাশেদ খান  
প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে অভিনেত্রী স্বাগতাকে আইনি নোটিশ
সেনাবাহিনী নিয়ে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন, প্রতিবাদ আইএসপিআরের
অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনায় থাকতে পারে না: মির্জা ফখরুল ইসলাম  
ভিনিসিয়ুস কাণ্ডে ব্যালন কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ ঝাড়লেন রোনালদো
সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার