শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলের নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়ম সামনে আসতে শুরু করে। জানা গেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে শাজাহান খান ছিলেন ঋণগ্রস্ত। ৪২ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল তাঁর। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দ্রুত দিন বদলে যায় তার। সাবেক এই মন্ত্রীর এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পেছনে রয়েছে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। আওয়ামী শাসনামলে করা তার বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ বছরে শাজাহান খান কী পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছেন এবং সেই অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হয়েছে—এসব তথ্য গণমাধ্যমটির কাছে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক নেতা ও ব্যক্তি এবং পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত যানবাহন থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করত শ্রমিক ফেডারেশন। প্রতিবছর দিনের ও যানবাহনের সংখ্যায় কমবেশি থাকায় প্রতি দুই বছর করে হিসাব করা হয়েছে। সেখানে দুই বছরের মোট দিনের সঙ্গে নিবন্ধিত যানবাহন বিবেচনায় নিয়ে চাঁদার পরিমাণ বের করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৪৭। ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব গাড়ি থেকে মোট এক হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

অন্যদিকে ২০১১ ও ২০১২ সালের পুরো সময়ে মোট ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৬টি গাড়ি থেকে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পুরো সময়ে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৭টি গাড়ি থেকে ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।

২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৩০ দিনে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৬১টি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৩০ দিনে সাত লাখ ৯৩ হাজার ৩১০টি গাড়ি থেকে দুই হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩০ দিনে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৭টি গাড়ি থেকে চাঁদা তোলা হয় ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট চাঁদা আদায় করা হয় ৬ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নিবন্ধিত যানবাহনের মাধ্যমে প্রায় ১৯ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

এ ছাড়া অনিবন্ধিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক ৬ লাখ, নছিমন-করিমন-আলমসাধু ও ভটভটি ৩ লাখ। ফলে দেশে অনিবন্ধিত যান রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। এসব যানবাহন থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪৯টি ইউনিয়ন বেআইনিভাবে নিয়মিত হারে চাঁদা আদায় করে।

এসব চাঁদার এক-পঞ্চমাংশ কল্যাণ তহবিলের নামে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দিতে হয়। গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে এই খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশনে জমা হয়েছে, কিন্তু এসব টাকার সর্বজনীন সুফল শ্রমিকরা পাননি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান ছিলেন শাজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর। শাজাহান খানের প্রভাব খাটিয়ে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বেআইনি কাজ করাতেন। এর মধ্যে অন্যতম মিশুক যানের প্রতিস্থাপন।

২০১২ সালে তৎকালীন সরকারের সময় যেসব মিশুকের আয়ুষ্কাল ৯ বছর উত্তীর্ণ হয়, সেখান থেকে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে দুই হাজার ৬৯৬টি মিশুক প্রতিস্থাপন করা হবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু প্রকৃত মালিকদের বাদ দিয়ে অন্যদের এই সুবিধা দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন দুজন। দুজনই অঢেল সম্পত্তির মালিক।

এর মধ্যে ওসমান আলীর রয়েছে রাজধানীতে দুটি ফ্ল্যাট, গাজীপুরে স্ত্রীর নামে মার্কেট, পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে ২০টির বেশি বাস, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন রয়েছে। এই সিএনজি স্টেশনটি আবার সলিড ব্যাটারির বাংলাদেশের একমাত্র পরিবেশক। শেরপুরে রয়েছে ২০০ বিঘার ওপর বাগানবাড়ি।

জানতে চাইলে শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, শাজাহান খান শ্রমিক কল্যাণের নামে নিজের কল্যাণ করেছেন। নিজের সম্পদের পাহাড় গড়তেই ব্যস্ত ছিলেন। আর আশপাশের লোকজনের অঢেল সম্পত্তি তৈরিতে সহায়তা করেছেন। মন্ত্রী হয়েও শ্রমিকদের কল্যাণে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র তিনটি স্থানে। গ্রামের বাড়িতে যৌথ মালিকানায় স্থাবর সম্পত্তি ছিল। ২০২৪ সালে শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে কমপক্ষে ১৫টি স্থানে। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় রয়েছে ছয়টি স্থানে। স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ১৩টি স্থানে। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর তার সম্পদ শতগুণ বেড়েছে। শাজাহান খান মূলত সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল ব্যাবসায়িক গ্রুপের মাধ্যমে বেশির ভাগ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সার্বিক পরিবহনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে দুই শতাধিক গাড়ি। এর বাইরে নির্মাণ ও আবাসন, ফিলিং স্টেশন, কৃষি ও খাদ্য খাত, হোটেল, হাসপাতাল, প্রেস, ইটভাটা, জ্বালানি তেলের ব্যবসা এবং শিপিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

পরিবহন খাতে অন্যায়ভাবে চাঁদাবাজিকে বৈধতা দেন শাজাহান খান। বছরের পর বছর শ্রমিক ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতির পদে থেকে কাজ করেছেন স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার হিসেবে। ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় কিশোর আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় শাজাহান খান জেলহাজতে থাকায় শাজাহান খানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই তালিকায় শ্রমিক নেতা হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা তথ্য বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের দেড় দশকের শাসনামলের মধ্যে ১৪ বছরে শুধু সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজে ২৯ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির ব্যাপকতা ও গভীরতা অনেক বেশি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে দলীয় রাজনীতির কাছে এই খাতটি জিম্মি। চাঁদাবাজির বাণিজ্যের মাধ্যমে গুটিকয়েক মানুষ সম্পদশালী হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। এটি নির্মূল করতে হলে এর পেছনের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রভাবশালী শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে হবে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪ জন আটক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে আদালতের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বেনাপোল পোর্ট থানার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। যশোর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা বিভিন্ন মামলায় পলাতক ছিলেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বড়আচড়ার আনারুল ইসলামের ছেলে সাগর হোসেন, আলতাফ গাজির ছেলে আল আমিন, সাদিপুরের আব্দুর রহমানের ছেলে কলিম হোসেন, ভবারবেড়ের আলতাফ হোসেনের ছেলে আল আমিন, গাজিপুরের ইলিয়াছ খার ছেলে এরশাদ আলী, কাগজপুকুরের গোলাম হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন রনি, ভবেরবেড়ের হাবিবুর রহমানের ছেলে আল আমিন, মুনসুর আলীর ছেলে সাঈদ আলী, কাগমারীর মন্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা, নারানপুরের শাহিন সরদারের ছেলে সেলিম সরদার, বড়আচড়ার ইউনুস আলীর ছেলে মশিয়ার রহমান মশি, ভবেরবেড়ের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে কামাল হোসেন, সাদিপুরের পাঞ্জাব আলীর ছেলে মুক্তার আলী এবং কাগজপুকুরের আবুল হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমান।

ওসি রাসেল মিয়া জানান, অভিযানের সময় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর ছিল। অভিযান শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশের এই বিশেষ অভিযানের ফলে পলাতক আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এলাকাবাসী এই উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আ.লীগের সমাবেশ

যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আ.লীগের সমাবেশ। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের আওয়ামী লীগ আগামী ৮ ডিসেম্বর একটি বড় সমাবেশ আয়োজন করতে যাচ্ছে। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেন মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, এই সমাবেশে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল উপস্থিতি কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে তিনি মন্তব্য করেন, “ভারত সরকার কীভাবে এই সুযোগ তৈরি করেছে তা তারাই ভালো জানে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তিনি ভার্চুয়ালি এই রাজনৈতিক সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। তবে এটি কীভাবে সংগঠিত হচ্ছে বা ভারতে অবস্থান করেও যুক্তরাজ্যে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সে বিষয়ে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য করা ঠিক নয়।

ব্রিফিংয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করা এবং নতুন প্রশাসন এলে কোনো পরিবর্তন হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এটি বাণিজ্যিক, কৌশলগত এবং রাজনৈতিক দিক থেকে বহুমাত্রিক। ক্ষমতায় যে দলই আসুক না কেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল বিষয়গুলো অপরিবর্তিত থাকে। তিনি বলেন, "আমরা আগের ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছি এবং নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও একইভাবে কাজ করার প্রত্যাশা রাখি।"

আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে বর্তমানে কনস্যুলার সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি উন্নতি হলে সেবা পুনরায় চালু করা হবে।

যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের সমাবেশ এবং শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কনস্যুলার সেবা নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত বহন করে।

Header Ad
Header Ad

শেখ পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: বুলু

ছবি: সংগৃহীত

শেখ পরিবারের একজনও মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেননি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, আজকে যে সংকট ১৯৭১ সালেও এমনই সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। শেখ পরিবারের একজন মানুষও যদি মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে সরাসরি যুদ্ধ করে থাকেন আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত দলের সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। ভারত এ উপমহাদেশের একটি বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ। আমরা চাই জিয়াউর রহমান যে সার্ক গঠন করেছেন সে সার্কের আলোকে এ উপমহাদেশের রাজনীতি চলবে। আমাদের সঙ্গে কারো বৈরিতা নেই, আমাদের সঙ্গে সবার বন্ধুত্বই থাকবে। কিন্তু আমাদের ওপর কেউ প্রভূত্ব করবে বাংলাদেশের মানুষ এটা মেনে নেবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজি আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, সাবেক এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জাকারিয়া তাহের সুমন প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৪ জন আটক
যুক্তরাজ্যে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আ.লীগের সমাবেশ
শেখ পরিবারের কেউ মুক্তিযুদ্ধ করে থাকলে রাজনীতি ছেড়ে দেব: বুলু
বঙ্গবাজারে পরিকল্পিত অগ্নিকাণ্ড: সাবেক মেয়র তাপসসহ ৩০ জনের নামে মামলা
টিকটকার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত
পিরোজপুরে যুব মহিলা লীগ নেত্রী যুথী গ্রেপ্তার
গোবিন্দগঞ্জ সরকারি কলেজ অধ্যক্ষের দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
দিল্লিতে মোদি বিরোধী বিক্ষোভে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কার অংশগ্রহণ
কাজী নজরুলকে ‘জাতীয় কবি’ ঘোষণার গেজেট প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন
আমরা বাংলাদেশি, আমরা এক পরিবারের সদস্য: প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ৯ ডিসেম্বর ইইউ ২৮ জন রাষ্ট্রদূত সাথে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
চীনের সঙ্গে বিআরআই প্রকল্পে চুক্তি করে ভারতকে হতাশ করল নেপাল
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন
সাকিবদের হারিয়ে প্রথম জয় পেল রংপুর রাইডার্স
বারান্দায় গাঁজা চাষের ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট, দম্পতি গ্রেপ্তার
ভারতের পতাকা মাড়ানো ‘ভাইরাল’ সেই ছবি কৃত্রিমভাবে তৈরি
ভারত হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা সৃষ্টিতে উসকানিদাতার পক্ষে: বিএনপি নেতা ফারুক
বিকালে ধর্মীয় নেতাদের সাথে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা
গাইবান্ধায় তিন দিনব্যাপী ইজতেমা শুরু
সাত বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন মামুন