মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪ | ৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলের নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়ম সামনে আসতে শুরু করে। জানা গেছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদাবাজি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

২০০৮ সালের নির্বাচনী হলফনামা অনুসারে শাজাহান খান ছিলেন ঋণগ্রস্ত। ৪২ লাখ টাকার বেশি ঋণ ছিল তাঁর। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দ্রুত দিন বদলে যায় তার। সাবেক এই মন্ত্রীর এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার পেছনে রয়েছে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ। আওয়ামী শাসনামলে করা তার বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৬ বছরে শাজাহান খান কী পরিমাণ চাঁদাবাজি করেছেন এবং সেই অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হয়েছে—এসব তথ্য গণমাধ্যমটির কাছে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিক নেতা ও ব্যক্তি এবং পরিবহন খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শাজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতিটি নিবন্ধিত যানবাহন থেকে ৫০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করত শ্রমিক ফেডারেশন। প্রতিবছর দিনের ও যানবাহনের সংখ্যায় কমবেশি থাকায় প্রতি দুই বছর করে হিসাব করা হয়েছে। সেখানে দুই বছরের মোট দিনের সঙ্গে নিবন্ধিত যানবাহন বিবেচনায় নিয়ে চাঁদার পরিমাণ বের করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে বাণিজ্যিক যানবাহনের সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৪৭। ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এসব গাড়ি থেকে মোট এক হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

অন্যদিকে ২০১১ ও ২০১২ সালের পুরো সময়ে মোট ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৬টি গাড়ি থেকে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালের পুরো সময়ে ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৮৬৭টি গাড়ি থেকে ২ হাজার ৮০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।

২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৩০ দিনে ৬ লাখ ৭০ হাজার ৬১টি গাড়ি থেকে ৫০ টাকা করে ২ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৩০ দিনে সাত লাখ ৯৩ হাজার ৩১০টি গাড়ি থেকে দুই হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয়। ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৩০ দিনে ৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬২৭টি গাড়ি থেকে চাঁদা তোলা হয় ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট চাঁদা আদায় করা হয় ৬ হাজার ৯৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে নিবন্ধিত যানবাহনের মাধ্যমে প্রায় ১৯ হাজার ৯৩১ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয়।

এ ছাড়া অনিবন্ধিত অটোরিকশা, অটোটেম্পো রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ, ব্যাটারিচালিত ইজি বাইক ৬ লাখ, নছিমন-করিমন-আলমসাধু ও ভটভটি ৩ লাখ। ফলে দেশে অনিবন্ধিত যান রয়েছে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ। এসব যানবাহন থেকে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ২৪৯টি ইউনিয়ন বেআইনিভাবে নিয়মিত হারে চাঁদা আদায় করে।

এসব চাঁদার এক-পঞ্চমাংশ কল্যাণ তহবিলের নামে ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা দিতে হয়। গত ১৫ বছরের বেশি সময়ে এই খাতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা হিসেবে শ্রমিক ফেডারেশনে জমা হয়েছে, কিন্তু এসব টাকার সর্বজনীন সুফল শ্রমিকরা পাননি।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান ছিলেন শাজাহান খানের ঘনিষ্ঠ সহচর। শাজাহান খানের প্রভাব খাটিয়ে তারা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন বেআইনি কাজ করাতেন। এর মধ্যে অন্যতম মিশুক যানের প্রতিস্থাপন।

২০১২ সালে তৎকালীন সরকারের সময় যেসব মিশুকের আয়ুষ্কাল ৯ বছর উত্তীর্ণ হয়, সেখান থেকে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে দুই হাজার ৬৯৬টি মিশুক প্রতিস্থাপন করা হবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু প্রকৃত মালিকদের বাদ দিয়ে অন্যদের এই সুবিধা দিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন দুজন। দুজনই অঢেল সম্পত্তির মালিক।

এর মধ্যে ওসমান আলীর রয়েছে রাজধানীতে দুটি ফ্ল্যাট, গাজীপুরে স্ত্রীর নামে মার্কেট, পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে ২০টির বেশি বাস, সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশন রয়েছে। এই সিএনজি স্টেশনটি আবার সলিড ব্যাটারির বাংলাদেশের একমাত্র পরিবেশক। শেরপুরে রয়েছে ২০০ বিঘার ওপর বাগানবাড়ি।

জানতে চাইলে শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ হানিফ খোকন বলেন, শাজাহান খান শ্রমিক কল্যাণের নামে নিজের কল্যাণ করেছেন। নিজের সম্পদের পাহাড় গড়তেই ব্যস্ত ছিলেন। আর আশপাশের লোকজনের অঢেল সম্পত্তি তৈরিতে সহায়তা করেছেন। মন্ত্রী হয়েও শ্রমিকদের কল্যাণে তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পদ ছিল মাত্র তিনটি স্থানে। গ্রামের বাড়িতে যৌথ মালিকানায় স্থাবর সম্পত্তি ছিল। ২০২৪ সালে শাজাহান খানের নিজ নামে স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে কমপক্ষে ১৫টি স্থানে। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় রয়েছে ছয়টি স্থানে। স্ত্রীর নামে স্থাবর সম্পদ রয়েছে ১৩টি স্থানে। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর তার সম্পদ শতগুণ বেড়েছে। শাজাহান খান মূলত সার্বিক ইন্টারন্যাশনাল ব্যাবসায়িক গ্রুপের মাধ্যমে বেশির ভাগ ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সার্বিক পরিবহনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে দুই শতাধিক গাড়ি। এর বাইরে নির্মাণ ও আবাসন, ফিলিং স্টেশন, কৃষি ও খাদ্য খাত, হোটেল, হাসপাতাল, প্রেস, ইটভাটা, জ্বালানি তেলের ব্যবসা এবং শিপিং ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

পরিবহন খাতে অন্যায়ভাবে চাঁদাবাজিকে বৈধতা দেন শাজাহান খান। বছরের পর বছর শ্রমিক ফেডারেশনের নির্বাহী সভাপতির পদে থেকে কাজ করেছেন স্বৈরাচার সরকারের লাঠিয়াল বাহিনীর সর্দার হিসেবে। ২০১৩ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসার বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দিয়ে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকায় কিশোর আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায় শাজাহান খান জেলহাজতে থাকায় শাজাহান খানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রাথমিক তথ্য বলছে, গত ১৫ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তার বেশির ভাগই তারা বিদেশে পাচার করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ৭০ জনের বেশি মন্ত্রী-এমপি, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, আমলা ও পুলিশ কর্মকর্তা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই তালিকায় শ্রমিক নেতা হিসেবে শীর্ষে রয়েছেন সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা তথ্য বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের দেড় দশকের শাসনামলের মধ্যে ১৪ বছরে শুধু সড়ক ও মহাসড়ক প্রকল্পের নির্মাণকাজে ২৯ হাজার থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।

এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, সড়ক ও পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির ব্যাপকতা ও গভীরতা অনেক বেশি। দেড় দশকের বেশি সময় ধরে দলীয় রাজনীতির কাছে এই খাতটি জিম্মি। চাঁদাবাজির বাণিজ্যের মাধ্যমে গুটিকয়েক মানুষ সম্পদশালী হচ্ছে, কিন্তু প্রকৃত মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। এটি নির্মূল করতে হলে এর পেছনের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও প্রভাবশালী শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে হবে।

Header Ad

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে ৩২৫ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘিতে একটি কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার করা হয়েছে, যার ওজন ৩২৫ কেজি। সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ৮টায় হলুদঘর গ্রামের মোস্তফা আকন্দের বাড়ির পাশে একটি রাস্তার সংলগ্ন স্থান থেকে শিবলিঙ্গটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

এই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিবলিঙ্গটির আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো। উদ্ধারের পর আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান শিবলিঙ্গ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করার পর শিবলিঙ্গটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এই ঘটনায় এলাকার মানুষদের মধ্যে উচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়েছে এবং স্থানীয়দের মধ্যে শিবলিঙ্গটির ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা চলছে।

Header Ad

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও জুলাই আগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মশাল মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি শহরের গুরত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

বক্তারা বলেন- মিডিয়া ও স্যোসাল মিডিয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দাবি করেছেন, তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেননি। এটি সম্পন্ন মিথ্যা। আমরা তার পদত্যাগসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এছাড়াও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের শাস্তি দাবি যোগ করেন তারা।

এতে বক্তব্য রাখেন- জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মনিরুল ইসলাম, আল আমিন, এসএম কামরুল ইসলাম, ফাতেমা রহমান বিথী ও শেরশাহ আহমেদ প্রমুখ।

Header Ad

নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল, ছাত্রদের উত্তাল শ্লোগান

ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগ এবং ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে পাবনায় মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাষ্ট্রপতিকে ফ্যাসিবাদের অন্যতম সহযোগী হিসেবে আখ্যা দিয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের প্রধান ফটক থেকে এই মিছিল শুরু হয়।

মিছিলটি পাবনা শহর ঘুরে আবার এডওয়ার্ড কলেজের সামনে এসে সমাপ্ত হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগানে শহরকে উত্তাল করে তোলেন। তারা বলেন, "দড়ি ধরে মারো টান, চুপ্পু হবে খান খান," "এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়," "স্বৈরাচারের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও," এবং "ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করো, করতে হবে।"

মিছিল শেষে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে শেখ হাসিনার প্রধান দোসর হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি তার পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। অবিলম্বে তাকে পদত্যাগ করতে হবে, অন্যথায় ছাত্র-জনতা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বগুড়ার আদমদীঘি থেকে ৩২৫ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ উদ্ধার
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল
নিজ জেলা পাবনায় রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে মশাল মিছিল, ছাত্রদের উত্তাল শ্লোগান
গাইবান্ধায় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
হাফ ভাড়া না নেওয়ায় ৩০ বাস আটকেছে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
ভারত-চীন সীমান্ত বিরোধের অবসান ঘটেছে, ঘোষণা দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
টাকা না পেয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের গেটে তালা দিল গ্রাহকরা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাষ্ট্রপতিকে পদত্যাগের আল্টিমেটাম
আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ শিশু মুসা উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো
বিরামপুরে এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইনের এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
১৭ প্রতিষ্ঠানসহ সালমান পরিবারের নথি তলবে ৭০ সংস্থায় চিঠি
আন্ডারপাসের দাবিতে ঢাকা-যমুনা সেতু মহাসড়ক অবরোধ, যানবাহনের দীর্ঘলাইন
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
এসআই অব্যাহতির পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষমা চেয়ে আদালতে ব্যারিস্টার সুমন বললেন, ‘আমি খুব সরি স্যার’
ফেসবুক লাইভে মিথ্যা আতঙ্ক ছড়ালেন সাদিয়া আয়মান
পঞ্চগড়ে সর্বনিম্ন ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড
১৬ বছরে ২৪ হাজার কোটি টাকার চাঁদাবাজি করেছেন শাজাহান খান
নারায়ণগঞ্জে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য আহত
ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে