আন্দোলনের মুখে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা

আন্দোলনের মুখে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা। ছবি: সংগৃহীত
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বাতিল করে অটোপাসের দাবিতে পরীক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার পদত্যাগ চেয়েছে। আমি পদত্যাগ করলে যদি তারা আন্দোলন স্থগিত করে তাহলে আমি পদত্যাগই করবো। আগামীকাল আমার পদত্যাগপত্র জমা দেবো।
এদিকে, রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফেল করা শিক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছেন।
এর আগে রাত সাড়ে ৭টার দিকে বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার নিচে এসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সামনে সরকার তথা ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অবস্থান তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের আজকের মতো বাসায় চলে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তখন তিনি বলেন, তোমরা আন্দোলন করেছ, দাবি জানিয়েছ। বিষয়টি নিয়ে সরকার আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবে। তোমাদের ওপর আজ যারা এখানে হামলা চালিয়েছে বা মারধর করেছে, তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে বোর্ড চেয়ারম্যানের বক্তব্য শেষ না হতেই ‘ভুয়া, ভুয়া’ এবং ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি রাতেই ফল বাতিলের ঘোষণা দিতে হবে। সবাইকে অটোপাস দিতে হবে। তা না হলে তারা সেখান থেকে বের হবেন না।
তারও আগে বেলা ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে শিক্ষা বোর্ডের সামনে জড়ো হয় এইচএসসিতে ফেল করা শিক্ষার্থীরা। পরে তারা বোর্ডের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা তালা ভেঙে বোর্ডের ভেতরে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের কক্ষে চলে যান। সেখানে ভাংচুরও চালানোর অভিযোগ পাওয়া যায়।
সেসময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন ছাত্রীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৫ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। এ হামলায় বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি জানান।
এদিকে, সেনাবাহিনীর সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়েছেন। তারা শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করার অনুরোধ করছেন। একই সঙ্গে রাতে সেখানে না থেকে বাসায় চলে যাওয়ার অনুরোধ করতেও দেখা যায়। তবে শিক্ষার্থীরা কারও কথা শুনতে নারাজ। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সেখানে অবস্থান করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
