সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫ | ৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশনে আটকানোর গুজব না ছড়ানোর আহ্বান আজহারীর

ফাইল ছবি

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরেছিলেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। সপ্তাহখানিক কাটিয়ে গতকাল শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আবারও মালয়েশিয়ায় চলে যান । তবে মালয়েশিয়ার পুলিশ তাকে ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার খবর জানা যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দেশটির স্থানীয় সময় রাত ২টার পর তার ইমিগ্রেশন সম্পন্ন হয়।

এবার ইমিগ্রেশনে আটকে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে নিজেই মুখ খুলেছেন মাওলানা আজহারী। এ ঘটনায় গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি জানান, ‘মালয়েশিয়ায় ইমিগ্রেশন পয়েন্টে ভেরিফিকেশনে একটু সময় নিয়েছিল। আমি ঠিক আছি। অযথা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন’।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সম্প্রতি মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরেন মিজানুর রহমান আজহারী। তবে কয়েকদিনের মাথায় শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ফের দেশ ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে যান তিনি।

আজহারীকে বহনকারী বিমান মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর তাকে বিমানবন্দরের ওয়েটিং রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অবস্থান করেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে আজহারীর বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগ এখনও দেশটির ইমিগ্রেশন সার্ভারে রয়ে গেছে। এ কারণে তাকে আটকে দেয় পুলিশ।

এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়ে দেশ ছাড়ার ঘোষণা দেন জনপ্রিয় এই ইসলামি বক্তা।

ফেসবুকে তিনি লেখেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সংক্ষিপ্ত সফরে দেশে এসেছিলাম। বেশিরভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটিয়েছি। এরই মাঝে বিভিন্ন ঘরানার আলিম-ওলামা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি ক্লোজ মিট-আপ প্রোগ্রাম করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সত্যিই সে-দিনটি বেশ উপভোগ্য ছিল। তবে শর্ট নোটিশে প্রোগ্রামটি আয়োজনের কারণে অনেক প্রিয় ভাই আসতে পারেননি। আবার কিছুটা তাড়াহুড়ো করে দাওয়াত দেয়ার কারণে, বেখেয়ালবশত অনেকে বাদ পড়েছেন। আশা করি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তীতে সবার সাথে সাক্ষাতের প্রত্যাশা রইলো।

আজহারী আরও লেখেন, আজ মালয়েশিয়া চলে যাচ্ছি। মাস খানেক পর আবারও দেশে ফিরবো ইনশাআল্লাহ। তখন আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, প্রটোকল, লোকেশন সিলেকশন, শ্রোতা ধারণ ক্ষমতা, অর্গানাইজিং ক্যাপাসিটিসহ সবকিছু অনুকূল হলে, দেশজুড়ে বিভাগীয় পর্যায়ে হয়ত কয়েকটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারি। তবে, সব কিছুই নির্ভর করবে উপযুক্ত পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়

ছবি: সংগৃহীত

চিটাগং কিংসের জন্য আজকের জয় ছিল স্বস্তির। তারা রাজশাহীকে ১১১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে পঞ্চম জয় নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রামে প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেলেও পরবর্তীতে দুইটি হারে জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিল তারা।

আজকের ম্যাচে তাদের বোলার এবং ফিল্ডারদের কৃতিত্বের পাশাপাশি, রাজশাহীর ফিল্ডারদের দুর্বলতা ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করেছে। চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একাধিক সহজ ক্যাচ রাজশাহী ফিল্ডাররা ফেলে দেন, যার মধ্যে তাসকিন আহমেদের বলেই দুটি ক্যাচ পড়েছে।

রাজশাহী আজ অধিনায়ক পরিবর্তন করে খেলেছিল, কিন্তু দলের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা তাদের জন্য বিপদজনক ছিল। সানজামুল ইসলাম ও রায়ান বার্ল ইনিংসের প্রথম ও ১৯তম ওভারে সহজ ক্যাচ ফেলেন, এবং বার্ল হাঁটুর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এর ফলে রাজশাহীকে আরও বিপদে ফেলেছিল।

চিটাগংয়ের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের জন্যও ছিল কিছুটা ভাগ্য, কারণ তিনি দুটি জীবন পেয়েছেন। তাসকিন ও বার্লের ক্যাচ ফেলায় মিঠুন তার ইনিংসে ২০ বল খেলে ৩২ রান করেন। অপরদিকে, চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যান নাঈম উদযাপন করেছেন নিজের ফিফটিতে, যার মধ্যে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চার ছিল।

বিপরীতে, রাজশাহীর ব্যাটিং খুবই ধীর গতিতে চলছিল এবং তারা ১৯১ রানের টার্গেট তাড়ায় মাত্র ৮০ রানে অল আউট হয়ে যায়। চিটাগংয়ের বোলাররা বিশেষ করে শরীফুল ইসলাম ও নাঈম দুর্দান্ত বোলিং করেন এবং রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের চাপের মধ্যে ফেলেন।

এই জয়ে চিটাগং কিংস দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে, যেখানে রাজশাহী ষষ্ঠ হার তুলে নিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ করেছে প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, মাটিরাঙা, রামগড়, এবং দীঘিনালা উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এই অভিযানে দুটি ইট ভাটা বন্ধ করা হয়, যেগুলোর অনুমোদন ছিল না। এর মধ্যে দীঘিনালায় দুটি ভাটাকে বন্ধ করার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়। কর্ণফুলী ব্রিকস ও ফোর বি ভাটাকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়, এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উপস্থিত থেকে আগুন নিভিয়ে দেন।

রামগড় উপজেলায়, অনুমোদনহীন ৫টি ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি ভাটাকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়, যার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এসব ভাটার চিমনি ও কাঠ জব্দ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, এ অভিযানটি একদিনেই ১৬টি অবৈধ ভাটা বন্ধ এবং প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে।

এর আগে ২৩ ডিসেম্বর ১৫টি ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল, কিন্তু কিছু ভাটা মালিক এসব ভাটা পুনরায় চালু করে। সোমবারের অভিযানে তাদের বন্ধ করা হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী এসব ভাটাগুলো বন্ধ করা হয়েছে এবং জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?

ছবি: সংগৃহীত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণকে ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাবেক সরকার ও দলের অনেক কর্মী সামাজিক মাধ্যমে ট্রাম্পের জয় এবং তার প্রশাসনের নীতিকে সমর্থন করে পোস্ট দিচ্ছেন। এ উচ্ছ্বাসের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করেন, বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন যেভাবে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেছে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় চাপ প্রয়োগ করেছে, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সেই চাপ কমবে। বিশেষত অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে কেন্দ্র করে বাইডেন প্রশাসনের সমর্থন এবং তার সাথে আওয়ামী লীগের বিরোধ ট্রাম্পের নীতিতে ভিন্ন চিত্র দেখাবে বলে তাদের বিশ্বাস। এছাড়া, ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর নীতিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা মনে করছেন।

তবে সাবেক কূটনীতিক হুমায়ুন কবিরের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন আসলেও তাদের নীতিতে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে না। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায় এবং বর্তমান প্রশাসনের সংস্কার কার্যক্রমের সাথেও তারা সাযুজ্যপূর্ণ।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুজিবুর রহমানের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবর্তন বাংলাদেশে মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্ব বহন করে। এর প্রভাব সরাসরি কূটনৈতিক পরিবর্তন না ঘটালেও, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এটি শক্তিশালী সমর্থনের একটি বার্তা হিসেবে কাজ করে। মার্কিন সমর্থনের ধারণা রাজনীতিতে প্রভাব ফেলে এবং এর ফলে কোনো পক্ষ উচ্ছ্বসিত হয়, আবার কোনো পক্ষ হতাশ হয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব ও মনস্তাত্ত্বিক গুরুত্বকে আরও একবার সামনে এনেছে, যা ভবিষ্যত রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সমর্থনে প্রভাব ফেলতে পারে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজশাহীকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে চিটাগং কিংসের পঞ্চম জয়
খাগড়াছড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত ১৬টি ইট ভাটা বন্ধ
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে আওয়ামী লীগের উচ্ছ্বাস কতটা বাস্তবিক?
ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন: সফল আয়োজনের লক্ষ্যে তিনটি কমিটি গঠন
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটার ফলাফল স্থগিত
ফেসবুকে মাশরাফির মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন, যা জানা গেল
রিসোর্ট থেকে ১৬ ছাত্র-ছাত্রী আটক, কাজী ডেকে ৪ যুগলের বিয়ে
'সুগার মাম্মি' হতে চান অভিনেত্রী হুমায়রা সুবাহ
নমরুদের মতো ক্ষমতা ছিলো শেখ হাসিনার: রিজভী
১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন
৩০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: বাহার ও মেয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সরকারি-বেসরকারি চাকরি পাবেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা, সিভি আহ্বান
নিজে প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন করে দলের কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশিদের বের করে দিন, হাসিনাকে দিয়ে শুরু করুন: শিবসেনা নেতা
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু পেপারে চিঠি লিখলেন দীপু মনি
সিলেটকে ৬ রানে হারিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের রোমাঞ্চকর জয়
সমস্যা পোশাকে নয়, সিস্টেমে: সারজিস আলম
‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করতে পারে রাষ্ট্র, মন্ত্রণালয় নয়’
মেজর ডালিমের পর এবার সাংবাদিক ইলিয়াসের টকশোতে আসছে কর্নেল রাশেদ চৌধুরী
৩৩ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘ভোরের কাগজ’ বন্ধ ঘোষণা