রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গণহত্যার বিচার শুরু হলে অনেক দ্বিধা-প্রশ্ন দূর হবে : আসিফ নজরুল

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার প্রচুর আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন জুলাই–আগস্ট মাসের পৈশাচিক গণহত্যার বিচার অচিরেই শুরু করব, তখন দেখবেন, আমাদের অনেক দ্বিধা, অনেক প্রশ্ন দূর হয়ে যাবে।’

আজ শুক্রবার বিকালে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের শ্রী শ্রী মহাপ্রভুর আখড়া পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গঠিত হয়ে যাবে। এর কাজ কিন্তু ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আমাদের প্রসিকিউশন টিম গঠিত হয়েছে প্রায় এক মাস হয়ে গেছে। আমাদের ইনভেস্টিগেশন টিম গঠিত হয়েছে দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে।’

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশ্যে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‌‌‘আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে ভাববেন না। আপনারা নিজেদের দেশের নাগরিক হিসেবে মনে করবেন। মুসলিম ধর্মের মানুষ যেমন বাংলাদেশের মালিক তেমনি আপনারাও দেশের মালিক। আপনারা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সমান অধিকার, সমান প্রত্যাশা, সমান দৃঢ়তা ও সমান আত্মবিশ্বাস নিয়ে বসবাস করবেন। আপনারা কোনো রাজনৈতিক দলের ফাঁদে পা দিবেন না। আপনাদের নিয়ে অনেক দল নানা ধরনের খেলা করছে। এ বিষয়ে সজাগ থাকবেন।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক-ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা এবং সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসা এক জিনিস নয়। দুটো ভিন্ন জিনিস। রাজনৈতিক বা প্রতিহিংসাবশত ব্যক্তিগত হামলাকে সাম্প্রদায়িক হামলা ভাববেন না। আর যদিও বিচ্ছিন্নভাবে সাম্প্রদায়িক কোনো ঘটনা ঘটে তবে সেখানে বিভাজন না হয়ে সহনশীল ভূমিকা পালন করবেন এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।’

‘সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নয়। মুসলিম, হিন্দু বা বৈদ্ধ-খ্রিস্টান কারো নয়, বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সবার। রাষ্ট্রে সকলেই সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।’

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সিরাজগঞ্জে নিহতের স্মরণ ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ হয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে আপনারাও ভূমিকা রাখবেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুধু মুসলিম নয়, সকল ধর্মের মানুষই অংশগ্রহণ করেছেন। নতুন বাংলাদেশে ধর্ম পালনের অধিকার সকল ধর্মের মানুষের সমান।’

সনাতন ধর্মের নেতা সত্য নারায়ন সারদারের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. তোফাজ্জল হোসেন, পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট কল্যাণ সাহা, পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা, থানা বিএনপির সভাপতি ও পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমর কৃষ্ণ দাস এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইয়াসিন আরাফাত ইশান প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

রিজভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল জামায়াত

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বিএনপি নেতা জনাব রুহুল কবির রিজভী জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন- ‘ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে হাসিনাকে ক্ষমা করতে চায় জামায়াত’—তা বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

তিনি আরও বলেন, রিজভী তার বক্তব্যে জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে ‘রগ কাটা’, ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’ এবং ‘একাত্তরের বিরোধিতাকারী’ এমন কিছু অভিযোগ করেছেন, যা জনগণ বহু আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এসব ভিত্তিহীন কথা বলে রিজভী কী অর্জন করতে চান? জামায়াত কখনোই রগ কাটার রাজনীতি করেনি, বরং দেশ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আপসহীন লড়াই করেছে।

রিজভীর বক্তব্যের জবাবে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, “জামায়াত ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করে। জামায়াতের বিরুদ্ধে ‘মোনাফেকি’ করার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বরং যারা ভিন্ন মতের লোকদের সাথে জোট করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নিজেদের আদর্শের সাথে আপস করেছে, তাদেরই আত্মসমালোচনা করা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “রিজভীর বক্তব্যে ভারত সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। জনগণ জানে, কারা দলীয় টিম নিয়ে ভারতের সাথে সখ্যতা করার চেষ্টা করেছে।”

বিবৃতিতে তিনি স্পষ্ট করেন, জামায়াতে ইসলামী কখনো ভারতের আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদকে সমর্থন করেনি বরং এর বিরুদ্ধে সবসময় আপসহীন অবস্থান নিয়েছে। তিনি রিজভীর মন্তব্যকে গাত্রদাহের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে অভিহিত করেন এবং বিভ্রান্তিমূলক রাজনীতি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র একটি বেসরকারি উদ্যোগ এবং এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। তিনি জানান, এই ঘোষণাপত্রকে তারা প্রাইভেট ইনিশিয়েটিভ হিসেবে দেখছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এর বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যরা জানান, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হয়। সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্ট ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ফ্যাসিস্টরা ষড়যন্ত্র করছে। এটি গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

তিনি আরও বলেন, ৩১ ডিসেম্বর মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচনা করে নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ঘোষণা করা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘোষণার মাধ্যমে মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরা হবে।

Header Ad
Header Ad

৩১ ডিসেম্বর কি নতুন বাংলাদেশের সূচনা?

ছবি: সংগৃহীত

৩১ ডিসেম্বর ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে’ নতুন বাংলাদেশের সূচনা ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্রে দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটবে। পাশাপাশি এতে 'নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে' বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করা হবে।

জুলাই মাসে শুরু হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হলেও তা পরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর আন্দোলনকারীরা এটিকে ‘জুলাই বিপ্লব’ আখ্যা দেন। হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ৩১ ডিসেম্বর ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে ৭২-এর মুজিববাদী সংবিধান কবরস্থ করার দাবি জানানো হবে এবং নতুন রাজনৈতিক কাঠামোর ভিত্তি স্থাপন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, এই ঘোষণাপত্র পুরোনো সিস্টেমগুলোকে প্রত্যাখ্যান করে নতুন সিস্টেম তৈরি করবে। এর মাধ্যমে ফ্যাসিস্টবিরোধী ঐক্যকে শক্তিশালী করা হবে। তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি কখনোই রাজনৈতিক দল হবে না, বরং এটি ইউনিটির প্রতীক হিসেবে থাকবে।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, ৩১ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্র প্রকাশের দিন সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেবে। এতে নতুন বাংলাদেশের পরিকল্পনা প্রকাশিত হবে, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে একটি সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার পথ দেখাবে। বক্তারা আরও বলেন, এই বিপ্লবের লক্ষ্য হচ্ছে গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা এবং একটি প্রকৃত ন্যায্য সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রিজভীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাল জামায়াত
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই
৩১ ডিসেম্বর কি নতুন বাংলাদেশের সূচনা?
ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৪৮
গয়েশ্বর রায়ের স্ত্রীর মৃত্যুতে তারেক রহমানের শোক প্রকাশ
ভোটার তালিকায় যুবকদের আনতে চাই; সিইসি  
মারা গেছেন বিএনপি নেতা গয়েশ্বরের স্ত্রী ঝর্ণা রায়
মুজিবকোট পুড়িয়ে আ.লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা
ময়মনসিংহে মহুয়া ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল, ঢাকার সাথে ২ ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে তিনটি বিমান দুর্ঘটনা বিমানযাত্রায় বড় আতঙ্ক
কনসার্ট নয়, ক্রিকেটে বিনিয়োগ করতে হবে : তামিম ইকবাল
মাদরাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ২ লাখ টাকায় কমলা কিনে প্রশংসায় ভাসছে এক প্রবাসী  
১৭৯ যাত্রীর প্রাণহানি: মাথা নুইয়ে জেজু এয়ারের সিইওর ক্ষমা প্রার্থনা
কখন কোথায় ও কীভাবে পাওয়া যাবে বিপিএলের টিকিট?
আশ্বাসে জাহাঙ্গীর গেট থেকে সরে গেলেন চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যরা  
ব্যাংকখাতে ব্যর্থতার দায় কমবেশি সবার: গভর্নর
ব্যাংক লুট করছে একটি ইসলামি দল: রিজভী
পরপর তিন কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারলো স্বামী  
বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, লাগবে না আবেদন ফি
আমরা ইনভেস্ট করেছি পদ্মা সেতু ও টানেলে, সঠিক জায়গায় নয়: আমীর খসরু