ফ্যাসিস্টদের প্রতি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শন নয়: ফজল আনসারী
মুশফিকুল ফজল আনসারী। ছবি: সংগৃহীত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী কমিশনার) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সাময়িক বরখাস্তের ঘটনায় মুখ খুললেন জাতিসংঘ ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের স্থায়ী সংবাদদাতা ও সাউথ এশিয়া পারস্পেক্টিভসের নির্বাহী সম্পাদক মুশফিকুল ফজল আনসারী।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকালে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, তাবাসসুম ঊর্মি যদি ভারতে আশ্রিত বিচ্ছিন্নতাবাদী পলাতক স্বৈরাচারিণীর গর্বিত উত্তরাধিকারিণী হতে চায়, হোক। কিন্তু প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের আসনে বসে সরকার পতনের হুঙ্কার দেবে- এটা সহ্য করা যায় না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রতীক হিসেবে পরিচিত আবু সাঈদকে নিয়ে ওই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের বিষয়ে তিনি লিখেছেন, ওই সরকারি কর্মকর্তা ছাত্র-জনতার বিপ্লব এবং এই বিপ্লবের মহানায়ক আবু সাঈদকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করেছে। খবরে দেখলাম এডভোকেট জেড আই খান পান্না তার জন্য দরদি হয়েছেন। আমার জানতে চাওয়া, উকিল সাহেব যদি জানতে পারেন তার চেম্বারের কেউ একজন তাকে বিচারাঙ্গন থেকে সরিয়ে দিতে তৎপরতা শুরু করেছে, তবে তিনি কী ব্যবস্থা নেবেন? তাকে কি অবলীলায় তা করতে দেবেন?
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল মনে করার কারণ নেই জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘শোনেন তবে, সরকার প্রধান প্রফেসর ইউনূসের উদারতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না এবং এই সরকারকে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই’।
এছাড়া এ ধরনের কর্মকর্তাদের প্রতি কোনো ছাড় না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে এই সাংবাদিক লিখেছেন, ‘আর সরকারে দায়িত্বরতদের বলি, ফ্যাসিস্টদের প্রতি বিন্দুমাত্র কোনো সহানুভূতি প্রদশর্ন নয়। নিরপেক্ষতার নামে কেউ যাতে খুনিদের পক্ষাবলম্বন বা পুনর্বাসনের চেষ্টা না করেন। বাকিটা আর পাবলিক করতে চাই না’।