আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস আজ
ছবি: সংগৃহীত
আজ আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যুগান্তকারী এ সিদ্ধান্তের আলোকে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ১৯৯১ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও এই দিনটি উদযাপিত হবে আজ। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মর্যাদাপূর্ণ বার্ধক্য: বিশ্বব্যাপী প্রবীণ পরিচর্যা ও সহায়তা ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রবীণ নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা, জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে প্রবীণদের মর্যাদা বিষয়ে ক্ষুদেবার্তা প্রেরণ, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক বাণীতে বলেন, সভ্যতার অগ্রযাত্রায়ও প্রবীণদের অবদান অনস্বীকার্য। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের পথক্রমে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রবীণের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে ক্রমবর্ধমান প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য একটি শক্তিশালী যত্ন ও পরিচর্যা কাঠামো গড়ে তোলার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রবীণ নাগরিকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বাণীতে বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ব্যাপক উন্নতি, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নের ফলে পৃথিবীতে মানুষের মৃত্যুহার যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে মানুষের গড় আয়ু। একই কারণে বাংলাদেশেও প্রবীণ ব্যক্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদে প্রবীণদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের উল্লেখ রয়েছে।
দিবস উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওস্থ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ হতে সমাজসেবা অধিদপ্তর পর্যন্ত র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরর্শিদের নেতৃত্বে এ র্যালিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রবীণব্যক্তি ও প্রবীণকল্যাণে কর্মরত বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করবেন।
র্যালি শেষে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।