শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৬ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রাধ্যক্ষ পরিবর্তন

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন না‌মে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৮ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সা‌থে আবা‌সিক হ‌লে তা‌দের সিটও বাতিল করা হ‌য়ে‌ছে। এছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে ফজলুল হক মুসলিম হলে নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের জনসং‌যোগ দফত‌রের উপ-প‌রিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষ‌রিত এক বিজ্ঞ‌প্তি‌তে এতথ‌্য জানা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

বিজ্ঞ‌প্তি‌তে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হলের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযুক্ত ৮ জন ছাত্রের আবাসিক সিট হল প্রশাসন বাতিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ৮ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে হলটির নতুন প্রভোস্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

সাময়িক বহিষ্কৃত ও সিট বাতিল হওয়া আট শিক্ষার্থী হ‌লেন- পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের জালাল মিয়া, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ফিরোজ কবির ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আবদুস সামাদ, সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ওয়াজিবুল আলম। তা‌দের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ বাদে বাকী‌দের গ্রেফতার ক‌রে‌ছে পু‌লিশ।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণকে দফায় দফায় মারধরের ঘটনায় ঘটেছে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত যুবকের নাম তোফাজ্জল। বরগুনার পাথরঘাটার কাঁঠালতলি ইউনিয়নে তার বাড়ি। তার বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্মমভাব‌ে তোফাজ্জলকে পিটা‌নো হ‌য়ে‌ছে। তি‌নি মানসিক ভারসাম্যহীন জানার পরেও তাকে ছাড়েননি অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, হ‌লের সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের নানাভাবে বোঝানোর চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। ওইদিন দুপু‌রে আবা‌সিক হ‌লের খেলা‌র মা‌ঠে ক্রিকেট খেলার সময় ছয় শিক্ষার্থীর মোবাইল ও চার শিক্ষার্থীর মা‌নিব‌্যাগ চু‌রি হয়। রাত আটটার দি‌কে তোফাজ্জল না‌মের ওই ব‌্যক্তি হ‌লে প্রবেশ কর‌লে মোবাইল চোর স‌ন্দে‌হে তা‌কে আটক করেন একদল শিক্ষার্থী। প‌রে তা‌কে হ‌লের অভ‌্যর্থনা কক্ষে নি‌য়ে গি‌য়ে প্রথ‌মে জিজ্ঞাসাবাদ ও প‌রে হালকা মারধর করে তারা। পরবর্তীতে তাকে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে ফের অভ‌্যর্থনা কক্ষে নি‌য়ে দফায় দফায় মারধর করা হয়।

প‌রে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তোফাজ্জলকে যখন অভ‌্যর্থনা কক্ষে আনা হয়, তখন সেখানে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। তা‌কে তার‌াই বে‌শি মারধর ক‌রে‌ছে। প্রথ‌মে হাত বেধে তা‌কে মারধর করা হয়। প‌রে চোখ বন্ধ করে মারধর করা হয়। এসসয় তোফাজ্জল মা‌টি‌য়ে লু‌ঠি‌য়ে পড়‌লে তা‌কে পানি খাওয়া‌নো হয়। প‌রে তোফাজ্জল উ‌ঠে বস‌লে অভিযুক্ত ব‌্যক্তিরা খু‌শি‌তে হাততা‌লি দেয় এই ভে‌বে যে তা‌কে ফের মারধর করা যা‌বে। প‌রে তা‌কে মারধর করার সময় দিয়েশলাই দিয়ে পায়ে আগুনও ধরিয়ে দেয় একজন। প‌রে আ‌রেকজন তোফাজ্জলের ভ্রু ও চুল কেটে দেয়। পরে তোফাজ্জলকে হলের মেইন বিল্ডিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তা‌কে বুট জুতা পরে তোফাজ্জলের আঙ্গুল মাড়িয়ে ছেঁচে ফেলা হয় এবং গোপনাঙ্গে লাঠি দিয়ে জোরে জোরে আঘাত করা হয়।

Header Ad

প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা: শ্রম সচিব

শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) শ্রম অধিকার ও পোশাক খাতে অস্থিরতা নিয়ে ‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ ছায়া সংসদে তিনি এ কথা বলেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, পোশাক খাতে অস্থিরতা চলতে থাকলে ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে যেতে পারে। ষড়যন্ত্রকারীরা সে লক্ষ্যেই পোশাকশিল্পে বিশৃঙ্খলা তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছে। তবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগে অসন্তোষ অনেকটাই দূর হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানি সংকুচিত করতেই পোশাক শিল্প সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ পরিবেশনের অপচেষ্টা করা হয়েছে। ভুল তথ্য ছড়িয়ে একটি মহল শিল্প এলাকায় অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

শ্রম সচিব বলেন, শ্রমিকদের অধিকার পদে পদে লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই পোশাক খাত স্থিতিশীল করতে শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। একই দেশে দুই ধরনের শ্রম আইন থাকতে পারে না।

গত ১৫ বছরে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল নিয়ম মেনে পরিচালিত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এই তহবিলের টাকা এমন কিছু ব্যাংকে রাখা হয়েছে যেসব ব্যাংক এখন ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান সরকার এই তহবিল পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।

সফিকুজ্জামান বলেন, বিগত সময়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এমপি-মন্ত্রী হলে স্বার্থের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।

পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, গত ১৬ বছরে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই। ভিক্ষুরা সারাদিন ভিক্ষা করেছে বিকেল বেলা আওয়ামী লীগ ক্যাডারোর ভিক্ষুকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে। এরপর ভিক্ষুকরা চড়ামূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনে জীবন যাপনে তাদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা ছিল।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

২০২৪-এর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও বীর ছাত্র জনতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য শুরু করে প্রথমেই জামায়াত আমির বলেন, পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে বৈষম্য করেছিল তাই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে সেই আগের ধাচেই চলতে থাকে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আওয়ামীলীগ জাতির রক্ত চোষার মাধ্যমে বাকশাল কায়েম করেছি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার যে দলের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম করেছে তার নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম। প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা অজুহাতে একে একে শীর্ষ দায়িত্বলীল নেতাদের জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে। ফাঁসি দেয়া হয়েছে, জেলের ভেতরে তিলে তিলে তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। চেয়েছিল তারা প্রাণ ভিক্ষা চাক, কিন্তু তারা আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথানত করেননি।

জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা শাহীনুর আলমের সভাপতিত্বে রুকন সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় জামায়াত ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রিয় মজলিসে শূরা সদস্য ও পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, কেন্দ্রিীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. মো: হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য প্রফেসর ড. মাওলানা আব্দুস সামাদকেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও বায়তুল মাল সেক্রেটারী অধ্যক্ষ মো: শাহাবুদ্দিন, সিরাজগঞ্জ জেলা জামাযোতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ আলী আলম ও মাওলানা আব্দুস সালাম এ সময় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অন্যারের প্রতিবাদ যারাই করেছেন তাদের ওপরেই অকথ্য নির্যাতন নেমে এসেছে। তবু আমরা পালাই নাই। আমরা এদেশকে ভালবাসি, আমরা এদেশকে আঁকড়ে ধরে আছি, থাকবো। কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টিকতে না পেরে শেষ পর্যন্ত স্বৈরাচারী হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বিদায় নিতে হয়েছে স্বৈরশাসকের। দাদের দলের পাতি নেতারা পর্যন্ত পালাতে ব্যস্ত আছেন।

আমিরে জামায়াত বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে, তাহলে এখন একটু আসুন আপনার স্বাধীন বিচার বিভাগ দিয়েই আপনার বিচার করা হবে। দেখি কেমন বিচার হয়। আপনার বিচারে প্রমাণ ছাড়া বিচার করা হবে না বা আপনা বিচারে কোনো অন্যায় করা হবে না। আপনি আসুন, বিচারের মুখোমুখি হন। দেখি আপনার কত সাহস।

তিনি বলেন, আমাদের ডায়নামিক নেতা মীর কাশেম আলীকে ফাঁসি দিয়েছেন। তিনি ফঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে বলেছিলেন আমি কোনো অন্যায় করিনি বরং দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন তার সময় নাকি গণমাধ্যম স্বাধীন ছিল। অথচ তারা সেসময সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারতেন না, সঠিক কথা লিখলে জুলুম নেমে আসতো।

তিনি বলেন, বর্তমানে সময় এসেছে, মিডিয়াকে বিবেক দিয়ে ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন দেশ নাকি বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল বানিয়েছিলেন, কিন্তু কীসের বিনিময়ে, জনগণের রক্তের বিনিময়ে, জনগণের রক্ত চুষে নেয়ার বিনিময়ে। উন্নয়নের নামে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাঁচার করেছেন। কণ্ঠ স্তব্ধ করে দেয়া বিনিময়ে, সকল দলকে কোণঠাসা করে দিয়ে আবারো একদলীয় বাকশাল কায়েম কায়েম করেছিল। এর কারণে জনগণের মনে ক্ষোভ, যন্ত্রণা, কষ্ট সেই ২০০৯ সাল থেকে পঞ্জিভূত ছিল।

আমিরে জামায়াত বলেন, জামায়াতকে কেউ কিনতে পারেনি। কারণ জামায়াতের লোকেরা আল্লাহর কাছে বিক্রি হয়েছে। কারো কাছে বিক্রি প্রশ্নই ওঠে না। আমিরে জামায়াত রুকনদের উদ্দেশ্যে বলেন এখন সুযোগ এসেছে, ১৫ বছরের কাজ পাঁচ বছরে করতে হবে। সে লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের মাঝে ঝাপিয়ে পড়তে হবে দ্বীনের দ্বায়ী হয়ে। দ্বীনকে এদেশে প্রতিষ্ঠা করে আমরা ঘরে ফিরে যাব ইনশাল্লাহ।

এরপর বিকেলে একই মাঠ ও মঞ্চে কর্মী ও সূধী সমাববেশ অনুষ্ঠিত হয়। কর্মী ও সূধী সমাবেশে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা সমাবেশে অংশ নেন। আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ জামায়াত নেতৃবৃদ্ধ জাতির প্রতি দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এরই মধ্যে সোনার দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়ালো।

বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ায় দেশের বাজারেও যে কোনো সময় দামি এ ধাতুটির দাম বাড়ানো হতে পারে। এতে দেশের বাজারেও সোনার দামে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমানে দেশের বাজারে এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশের বাজারে সোনার দাম নির্ধারণের দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। এ সংগঠনটির পক্ষ থেকে সোনার দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি।

এ কমিটির এক সদস্য বলেন, বিশ্ববাজারে হু হু করে সোনার দাম বাড়ছে। এরই মধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সোনার এত দাম আগে কখনো দেখা যায়নি। বিশ্ববাজারে যে হারে সোনার দাম বাড়ছে, তাতে দেশের বাজারেও দাম বাড়ানো লাগবে। এর কোনো বিকল্প নেই। দেশের বাজারে সর্বশেষ সোনার দাম নির্ধারণের পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৫০ ডলারের ওপরে বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে সোনার দাম বাড়ানো বা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের ওপর ভিত্তি করে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ার বিষয়টি দৃশ্যমান। এখন স্থানীয় বাজারের চিত্র আমরা পর্যালোচনা করে দেখবো। তার ওপর ভিত্তি করেই সোনার দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তথ্য পর্যালোচনায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৫৭৮ দশমিক ৪৮ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৬২১ দশমিক ৫৯ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৪৩ দশমিক ১১ ডলার বা ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহে শেষ কার্যদিবসেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়েছে ৩৪ দশমিক ৩৮ ডলার বা ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

সোনার এত দাম এর আগে কখনো দেখেনি বিশ্ববাসী। এর আগে এক আউন্স সোনার দাম সর্বোচ্চ ছিল গত সপ্তাহে। গত সপ্তাহে এক আউন্স সোনার দাম সর্বোচ্চ ২ হাজার ৫৮৪ ডলার পর্যন্ত ওঠে। বিশ্ববাজারে এ দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারেও গত সপ্তাহে সোনার দাম বাড়ানো হয়।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে সবচেয়ে ভালোমানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৫৮১ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৯ হাজার ৯০২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৩ হাজার ৪১৮ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯২৭ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৬ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৫৬৩ টাকা বাড়িয়ে ৮৭ হাজার ১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ দামেই দেশের বাজারে সোনা বিক্রি হচ্ছে। এটি দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত সোনার সর্বোচ্চ দাম।

সর্বশেষ সংবাদ

প্রতিবেশী দেশের ইন্ধনে পোশাক খাতে অস্থিরতা: শ্রম সচিব
পতিত আ’লীগ সরকারের কবল থেকে ভিক্ষুকরাও রেহাই পায় নাই : জামায়াত আমির
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: হাসান আরিফ
ফ্যাসিবাদী সরকারের মূল দায়িত্বের কর্মকর্তারা এখনও রয়ে গেছে: মির্জা ফখরুল
তোফাজ্জল হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, প্রাধ্যক্ষ পরিবর্তন
ভারত পালানোর চেষ্টায় ৩ রোহিঙ্গা নারীসহ ১৭ জন আটক
ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতে আলোচনা হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সুপ্রিম কোর্টের অধীনে আলাদা সচিবালয় হবে : প্রধান বিচারপতি
সোমবার নিউইয়র্ক যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা, জাতিসংঘে ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক শামছুল আলম
দুর্গাপূজায় ভারতে যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ
প্রচণ্ড গরমে পথচারীদের মাঝে ঠান্ডা শরবত বিতরণ
বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিলো ভারত
‘মালিঙ্গা হয়ে গেলে নাকি, একের পর এক ইয়র্কার দিচ্ছো’-সাকিবকে কোহলি
রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সংঘাতে নিহত ৪
দু’দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা
অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি !
বিচার বিভাগ থেকে যেন আর কোনো অবিচার না হয় : আসিফ নজরুল
অনেকবার ধাক্কা খেয়েছি, লাথি খেয়েছি : কৌশানী