বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে কী কী করতে পারবে সেনাবাহিনী ?

ফাইল ছবি

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরো জোড়ালো করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে পরবর্তী ৬০ দিন পর্যন্ত তারা সারাদেশে এ ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবেন সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো।

এতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬টি ধারায় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ধারাগুলো হলো- ১৮৯৮- এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২। এসব ধারা অনুযায়ী সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন। তবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব পালন করবেন।

আইনের এসব ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের যেসব ক্ষমতা রয়েছে-

ধারা ৬৪
নির্বাহী বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে তিনি গ্রেপ্তার ও জামিন দিতে পারবেন। অর্থাৎ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পাওয়ায় এখন দায়িত্ব পালনের সময় সেনা কর্মকর্তাদের সামনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের সরাসরি গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

ধারা ৬৫
অধিক্ষেত্র এলাকায় কাউকে গ্রেপ্তার বা গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিতে পারবেন বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করতে পারবেন। অর্থাৎ, সেনা কর্মকর্তাদের সামনে অপরাধ সংঘটিত না হলেও, সন্দেহভাজন অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে পারবেন।

ধারা ৮৩
অধিক্ষেত্রের বাইরে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন। অর্থাৎ, বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে পারবেন সেনা কর্মকর্তারা। আর ৮৪ ধারা অনুযায়ী, অধিক্ষেত্রের বাইরে পরোয়ানা কার্যকর করতে পুলিশকে নির্দেশও দিতে পারবেন। আর ৯৫ ধারা অনুযায়ী, পরোয়ানা বা ডকুমেন্টস বা চিঠিপত্র আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে পোস্টাল বা টেলিগ্রাফ কর্তৃপক্ষকে ব্যবহার করতে পারবেন।

ধারা ১০০
বেআইনিভাবে আটক ব্যক্তিকে উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা যেকোনো স্থানে তল্লাশি করতে পারবেন। অর্থাৎ, কাউকে অপহরণ বা জোর করে কোথাও আটকে রাখার খবর পেলে সেনা কর্মকর্তারা সেখানে তল্লাশি করতে পারবেন।

ধারা ১০৫
সরাসরি তল্লাশি করার ক্ষমতা, তার (ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি) উপস্থিতিতে যেকোনো স্থানে অনুসন্ধানের জন্য তিনি সার্চ ওয়ারেন্ট জারি করতে পারেন।

ধারা ১০৭
শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১০৯
ভবঘুরে এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তির ভালো আচরণের জন্য নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ক্ষমতা।

ধারা ১১০
অভ্যাসগত অপরাধীর কাছ থেকে সদাচরণের জন্য মুচলেকা গ্রহণ করতে পারবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

ধারা ১২৬
সদাচরণের নিশ্চয়তা প্রদান করা ব্যক্তির মুচলেকা বাতিল করে সমন বা গ্রেপ্তারি ওয়ারেন্ট জারি করতে পারবেন।

ধারা ১২৭
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দিতে পারবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। ফৌজদারি কার্যবিধির এই ধারা অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পাঁচ বা তার অধিক ব্যক্তির বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি। এই ধারা অনুযায়ী সেনা কর্মকর্তারাও যেকোনো ধরনের বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে পারবেন।

ধারা ১২৮
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে বেসামরিক বাহিনীকে ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ, চাইলে তারা পুলিশ বা অন্যান্য বেসামরিক বাহিনীর সহায়তা নিতে বা নির্দেশ দিতে পারবেন।

ধারা ১৩০
সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে প্রয়োজনীয় সেনা কমান্ডিং অফিসারদের দায়িত্ব দিতে পারবেন।

ধারা ১৩৩
স্থানীয় উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে ক্ষেত্রবিশেষে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করতে পারবেন।

ধারা ১৪২
এই ধারার আওতায় জনসাধারণের উপদ্রবের ক্ষেত্রে অবিলম্বে ব্যবস্থা হিসেবে আদেশ জারি করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেনা কর্মকর্তাদের।

উল্লিখিত ধারাগুলোর ক্ষমতা ছাড়াও যেকোনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর অধীনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য সরকার এবং সেই সঙ্গে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা সংশ্লিষ্ট এখতিয়ারের মধ্যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

এই আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার উপস্থিতিতে সংঘটিত অপরাধ বা ঘটনাস্থলে তার বা তার সামনে উন্মোচিত হওয়া অপরাধগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন। অভিযুক্তের স্বীকারোক্তির পর ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী অপরাধীকে সাজা দিতে পারেন। তবে কারাদণ্ডের ক্ষেত্রে তা ২ বছরের বেশি হবে না।

Header Ad

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি। ছবি: সংগৃহীত

সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত ২৩ জন বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। বুধবার (৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ তাদের শপথবাক্য পাঠ করান।

এ সময় আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের অন্য বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিষ্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূইয়া।

গতকাল মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নতুন এই ২৩ বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে মুখপাত্র (স্পেশাল অফিসার) মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন হলেন—মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, মো. মনসুর আলম, সৈয়দ জাহেদ মনসুর, কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা, মো. যাবিদ হোসেন, মুবিনা আসাফ, কাজী ওয়ালিউল ইসলাম, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মো. আবদুল মান্নান, তামান্না রহমান, মো. শফিউল আলম মাহমুদ, মো. হামিদুর রহমান, নাসরিন আক্তার, সাথিকা হোসেন, সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন, মো. তৌফিক ইনাম, ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমন, শেখ তাহসিন আলী, ফয়েজ আহমেদ, মো. সগীর হোসেন, শিকদার মাহমুদুর রাজী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরী।

আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নিম্নবর্ণিত (ক)-(ব) ক্রমিকে উল্লেখকৃত ২৩ জন ব্যক্তিকে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো।

সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ দেবেন।

Header Ad

অনুশোচনায় ভুগছেন পরীমণি

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সবসময় অভিনয়ের চেয়ে তার ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। সংসার করার আশায় ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক শরীফুল রাজকে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে সংসারও টেকেনি বেশিদিন।

এদিকে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাই ছেলে পুণ্যকে পরিপূর্ণ সময় দিচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এর মধ্যেই এক কন্যাসন্তান দত্তক নেন পরীমণি। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে সুখেই জীবন কাটাচ্ছেন এই নায়িকা।

কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন পরীমণি। প্রায়ই বিভিন্ন ভিডিও, ছবি কিংবা পোস্ট দেন তিনি, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেন আর ভক্তদের মধ্যে। এবার পরী জানালেন, বড় একটা ভুল করে অনুশোচনায় ভুগছেন তিনি। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন পরীমণি। একইসঙ্গে ভক্তদেরও সতর্ক করে নিজের ঘটনা তুলে ধরেন।

দীর্ঘ সেই পোস্টে পরী লিখেছেন, ‘একটা ভুল করেছি আমি। আমার এই পোষ্যর নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। পুটু আমার সঙ্গে আছে ১০ বছর ধরে! আমার ছেলে হবার আগে ও সবসময় আমার সঙ্গে ঘেঁষে থাকত। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাত। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাই না।’

পরী বলেন, ‘ছেলে আসার পরই পুটুর বিছানা আলাদা হয়ে গেল। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিল। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেল।’

পরী লিখেছেন, ‘এরপর যখন আমার ছেলে হাঁটা শুরু করল, তখন ফ্লোরে ছেলের সঙ্গে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইত। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম, পুটু যদি কামড় দিয়ে দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পায়। সে-ই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। আজকাল হঠাৎ আমি খেয়াল করলাম, ছেলেও পুটুর সঙ্গে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে, ‘এই পুটু, যাও যাও।’ আমি বুঝতে পারলাম, এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে, তা-ই তো শিখবে!’

পরী আরও লিখেন, এরপরও নতুন বিপত্তি বাঁধলো! আরও একটা বড় ভুল হয়ে গেল! যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে ফেলে দিলো। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন পুটুর সঙ্গে থাকতে চায়, পুটুর সঙ্গেই খেলতে চায়, তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি...হয়তো ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে।

শেষে পরী ভক্তদের উদ্দেশে লিখেন- আমার মতো এই ভুল কেউ করবেন না আশা করি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার!

উল্লেখ্য, দুই সন্তান ছাড়াও পরীমণির সংসারে রয়েছে একটি পোষ্য, তার নাম পুটু। প্রায় ১০ বছর যাবৎ নায়িকার বাড়িতেই বেড়ে উঠেছে এই প্রাণীটি।

Header Ad

ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (ইনসটে: সাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ভারতের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুর মধ্যে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে বলেও নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি। ব্রিফিংয়ে ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার’ প্রসঙ্গ টেনেও তাকে প্রশ্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথু মিলারে কাছে জানতে চান—‘গণহত্যা ও নৃশংসতার পর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছিলেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে দেশের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাইছে, সে বিষয়ে আপনাদের পর্যবেক্ষণ কী?’

জবাবে মিলার বলেন, এসব প্রশ্নে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সব বিষয়ে অগ্রগতির জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমরা উন্মুখ।

এরপরই এই সাংবাদিক ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন’— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জংশঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ভবনে এসেছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে—ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়েছিল কি-না।’

জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে এতটুকুই বলতে পারি—ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক সমস্যাগুলো প্রায়ই উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কোনও তথ্য আমার কাছে নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

শপথ নিলেন হাইকোর্টের নতুন ২৩ বিচারপতি
অনুশোচনায় ভুগছেন পরীমণি
ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা
এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন অক্টোবরেই চালু হচ্ছে
আ. লীগের ‘নিরীহ’ নেতাকর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়: রিজভী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই মুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী
পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা, খামারিসহ তিন আড়তদারকে জরিমানা
পদত্যাগ করলেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১৩ সদস্য
শেখ হাসিনা ভারতে, দুবাইয়ে যাওয়ার খবর গুজব: সজীব ওয়াজেদ জয়
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ