রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গোপনে দলিলপত্র সরাচ্ছে এস আলম গ্রুপ, এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ১৫ বস্তা নথি

গোপনে দলিলপত্র সরাচ্ছে এস আলম গ্রুপ, এক আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় ১৫ বস্তা নথি। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের প্রধান কার্যালয় থেকে অন্তত ১৫ বস্তা গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর কাগজপত্র অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ২৬ আগস্ট এসব কাগজপত্র প্রথমে চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে চারদিন পর সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে।

গত ২৮ আগস্ট বিতর্কিত এস আলম গ্রুপ বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা লুট করে যে সহায় সম্পত্তি গড়েছে তা গোপনে বিক্রি করতে চাইছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। ওই সময় এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়ে গোপনে সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে এস আলম গ্রুপ। আইনি জটিলতার কারণে এখনি হস্তক্ষেপ করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে শিগগিরই আইনি উপায় খুঁজে বের করা হবে। তাই সর্বসাধারণকে সাবধান করা হচ্ছে, এস আলম গ্রুপের সম্পদ কেউ কিনবেন না। সেই সম্পত্তি কোনো সচেতন মানুষের কেনা উচিত হবে না। এস আলমের কোনো সম্পত্তি কিনে বিপদে পড়লে তার দায় সরকার নেবে না।’

গত ১৫ বছর ধরে হঠাৎ করে ফুলেফেঁপে ওঠা এস আলম গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পরপরই গা ঢাকা। অনেকে চলে যান দেশের বাইরে। এমন পরিস্থিতিতে গোপনে সম্পদ বিক্রি করে দিচ্ছে এস আলম গ্রুপ- বিভিন্ন সূত্রে এমন খবর মিলছে।

গণমাধ্যমের হাতে আসা এক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ২৬ আগস্ট সকাল ১০টা ১০ মিনিটে রূপালী রঙের একটি কার চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকার শমসেরপাড়ার একটি বিল্ডিংয়ের নিচে এসে থামে। সেই গাড়ি থেকে নামেন এস আলম গ্রুপের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের এস্টেট ম্যানেজার সাইফুদ্দিন। এর পরপরই সেখানে এসে হাজির হয় একটি কাভার্ড ভ্যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশকিছু শ্রমিক এনে অন্তত একঘন্টা ধরে সেই কাভার্ড ভ্যান থেকে কমপক্ষে ১৫টি বস্তা নামানো হয়। সেগুলো বিল্ডিংটির পার্কিংয়ের ভেতরে নিয়ে রাখা হয়। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেন এস আলমের এস্টেট ম্যানেজার সাইফুদ্দিন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চান্দগাঁওয়ে যে বাড়ির পার্কিংয়ে ১৫ বস্তা কাগজপত্র রাখা হয়, সেই বাড়িটি সাইফুদ্দিনের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ ইসমাইলের। চট্টগ্রাম আদালতে তিনি স্ট্যাম্প ভেন্ডর হিসেবে কর্মরত। আবার ইসমাইলের ভাই চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আয়ুব মুন্সীও দলিললেখক হিসেবে কাজ করেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেতা আয়ুব মুন্সীর মাধ্যমে এস আলমের জমি কেনাবেচার বড় একটি অংশ করিয়ে আসছিলেন সাইফুদ্দিন। সরকার পতনের পর আয়ুব মুন্সীকে নগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতার অনুসারীরা এলাকায় ‘প্রটেকশন’ দিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এর সূত্র ধরে আয়ুব মুন্সী বাড়িকে নিরাপদ স্থান বিবেচনা করে সেখানে জায়গাজমির দলিলপত্র এনে রেখে নয়ছয় বা বিক্রি করার চেষ্টা করা হয়েছিল- সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এমন আভাস দিয়েছেন।

সাইফুল আলম মাসুদের ভাগ্নে মোস্তান বিল্লাহ আদিল বর্তমানে এস আলম গ্রুপের ভূ-সম্পত্তি বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি ও তার স্ত্রী সাদিয়া জামিলের বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক থেকে অন্তত ২ হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। এস আলমের ভূ-সম্পত্তি বিভাগে আদিলের প্রধান সহযোগী হলেন এস্টেট ম্যানেজার সাইফুদ্দিন।

জানা গেছে, ১৫ বস্তা কাগজপত্র সরানোর বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে গত ৩১ আগস্ট বিকেলে সব কাগজপত্র একে একে সরিয়ে নেওয়া হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘৩১ আগস্ট বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুটি মাইক্রোবাস ও একটি মিনি ট্রাকে করে কয়েক ধাপে কাগজপত্রগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়।’

এস আলমের জায়গাজমির দলিলপত্র নিজের বাসায় সরানোর পুরো বিষয়টি আয়ুব মুন্সীর পরিকল্পনাতেই হয়েছে- স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে এমন কথা জানা গেলেও শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাড়ির মালিক চান্দগাঁও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আয়ুব মুন্সী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের শ্যালক এস আলমের বস্তাভর্তি কাগজপত্রগুলো যে আমাদের পার্কিংয়ের ভেতরে রেখেছে, সেটা আমরা জানতাম না। পরে অফিস থেকে বাসায় ফিরে বিষয়টি জানার পর সাইফুদ্দিনকে বস্তাগুলো সরিয়ে নিতে বলি।’

তিনি বলেন, ‘এর কয়েকদিন পর দুটি নোহা মাইক্রোবাস ও একটি ছোট মিনি ট্রাক এনে এস আলমের বস্তাগুলো অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয় সাইফুদ্দিন।’

বস্তাগুলোতে কোনো টাকা ছিল কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে আয়ুব মুন্সী বলেন, ‘বস্তাগুলো আমি ধরে ধরে দেখেছি, সেখানে টাকা ছিল না। এগুলো এস আলমের জায়গা-জমির দলিল বলে মনে হয়েছে।’

অন্যদিকে এস আলম গ্রুপের এস্টেট ম্যানেজার সাইফুদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নানা সমস্যায় আমাদের গ্রুপের অনেক জায়গাজমির নামজারিসহ বিভিন্ন কাজকর্ম করা যাচ্ছে না। আমার ভগ্নিপতির ভাই দলিললেখক হওয়ায় দলিলপত্রগুলো তার কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে তিনি মানা করায় আবার সেগুলো নিয়ে এসেছি।’

এতেগুলো দলিলপত্র কোথায় সরালেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এস্টেট ম্যানেজার বলেন, ‘খাতুনগঞ্জে আমাদের অফিসেই নিয়ে এসেছি।’

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাতক শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির মাধ্যমে হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের ফেরত আনতে চায় সরকার।

এর আগে, গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সব আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

পরে ১২ নভেম্বর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন। এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন সংস্থা থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা,ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্যান্য যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয় তারা হলেন, শেখ হাসিনা বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, দীপু মনি, আ ক ম মোজাম্মেল হক, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শেখ সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে শামস পরশ, সাবেক আইজিপি আবদুল্লাহ মামুন, ডিবি হারুন, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার, প্রলয় কুমার জোয়ার্দার, সাবেকডিএমপি হাবিবুর রহমান, সাবেক র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশিদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা তারেক আনাম সিদ্দিকী,বিচারপতি মানিক, ড. জাফর ইকবাল, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামসহ ৪৬ জন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অপর দুই জন হলেন, বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এর আগে পৃথক মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

Header Ad
Header Ad

ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ

ছবি: সংগৃহীত

দারুণ সব জয়ে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে ফাইনালে উঠেছিলও বাংলাদেশ। একমাত্র হারটি ছিলো ভারতের কাছে। সেই ভারতকে ফাইনালে পেয়ে প্রতিশোধ নিতে পারেনি সুমাইয়া আক্তারের দল। কুয়ালালামপুরে ভারত আজ ৪১ রানের জয়ে বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙ্গে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

বেউয়েমাস ওভালের ফাইনালে বাংলাদেশের বোলাররা ভারতকে আটকে রেখেছিলেন নাগালের মধ্যে। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১১৭ রানের পূঁজি পায় ভারত।

সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন গঙ্গাদি তৃষা। বল হাতে ফারজানা ইয়াসমিন ৩১ রানে চার উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন। ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খুলতে পারেননি মোসাম্মত ইভা। দলীয় ৮ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে ১৬ ও জুয়াইরা ফেরদৌসের সঙ্গে ২০ রানের জুটি গড়েন ফাহমিদা ছোয়া। এই ওপেনার ২৪ বলে ১৮ করে আউট হতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ ওভার তিন বল পর্যন্ত টিকে থেকে ৭৬ রানে অলআউট হয় তারা।

৪১ রানের জয়োৎসবে মাতে ভারতীয় মেয়েরা। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ ২২ রান করেন জুয়াইরা। এই দুজন ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। ভারতের বোলিংয়ে আয়ুশি শুক্লা ১৭ রানে তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট পান পারুনিকা সিসোদিয়া ও সোনাম যাদব।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে উঠবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা
গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১০