বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪ | ২৪ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এমপি ফজলে করিমের ২৪ বছরের গুম-খুনের রাজত্ব

এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খুব পরিচিত এবং আলোচিত নাম ফারাজ করিম চৌধুরী। যিনি মানবতার ফেরিওয়ালা নামেও পরিচিত। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলায় জনসেবামূলক কাজে তাকে দেখা যেত। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লিগ সরকার পতনের পর বেরিয়ে আসলো ফারাজ করিমের পরিবারের অন্ধকার দিক। তার বাবা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী ছিলেন এলাকার ত্রাস। দুই যুগ ধরে সেখানে ঘটেছে একের পর এক গা শিউরে ওঠার মতো ভয়ংকর অপরাধ।

ফারাজ করিম চৌধুরী এবং তার বাবা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলা যেন একটি ভয়ংকর জনপদের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। হাজার হাজার মানুষকে নির্মম অত্যাচার, নিপীড়ন, গুম-খুন, হামলা-মামলা, জমি দখল, ধর্ষণ, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, যৌন নিপীড়নসহ এমন কোনো ঘৃণ্য কাজ নেই, যা হয়নি এই উপজেলায়। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, বিএনপি-জামায়াতসহ প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক কর্মী, মুনিরিয়া যুব তাবলিগ কমিটির ভক্ত থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীও নির্যাতিত হয়েছেন। হত্যা ও গুমের শিকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দির, মাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

এতোকিছু ঘটে যাওয়ার পরেও প্রতিবাদ দূরের কথা, মুখ খুলতেও সাহস পায়নি কেউ। কারণ, সব অপরাধের মূল হোতা ছিলেন ওই এলাকার সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। দীর্ঘ ২৪ বছর রাউজানে ত্রাসের রাজত্ব চলেছে তার। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর একে একে মুখ খুলতে শুরু করেছে রাউজানের নির্যাতিত মানুষ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়ানক সব অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য।

গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে এখন পর্যন্ত রাউজান ও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা হয়েছে। চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য ভারতে পালাতে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার আখাউড়া সীমান্তে বিজিবির কাছে ধরা পড়েছেন।

সীমান্তে বিজিবির কাছে ধরা পড়েন এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, ফজলে করিম চৌধুরী ২০১৯ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত রাজাকার তালিকায় থাকা একেএম ফজলুল কবির চৌধুরীর সন্তান। এরপর ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ৭ হাজার ৩২৯ ভোটে হারিয়ে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনের এমপি নির্বাচিত হন ফজলে করিম চৌধুরী। ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন তিনি।

জানা যায়, ফজলে করিম চৌধুরী ওরফে জুইন্যা এতটাই দোর্দণ্ড প্রতাপশালী ছিলেন যে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল রাউজানবাসী। তিনি উপজেলাজুড়ে কায়েম করেছিলেন একনায়কতন্ত্র।তার কথার বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না প্রশাসনেরও। উন্নয়ন কাজের টেন্ডার থেকে শুরু করে সরকারি নিয়োগসহ সবকিছুই হতো তার নির্দেশে। তাকে ম্যানেজ করা ছাড়া জনপ্রতিনিধি হওয়ার উপায় ছিল না কারও। নির্বাচিত হয়েও এমপির রোষানলে পড়ে পৌরসভার অফিসে যেতে পারেননি সাবেক মেয়র দেবাশীষ পালিত।

বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে সাবেক এমপি ফজলে করিমের বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে ফজলে করিমের নির্দেশে হত্যা করা হয়।

রাউজানের কাগতিয়া, গহিরা, সুলতানপুর, মোহাম্মদপুর, কতদলপুর, গশ্চি নয়াহাট, পাহাড়তলী, পৌরসভাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা গেছে, বিএনপির নেতাকর্মী ও মুনিরিয়া যুব তাবলিগ কমিটির বিভিন্ন ইউপিতে অবস্থিত অফিসগুলো ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছিল গত কয়েক বছর আগে। মুনিরিয়া তাবলিগের বেশ কয়েকজন সদস্য বলেন, তাদের সংগঠনটি একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন। কিন্তু ফজলে করিম তাদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি মনে করতেন। এ কারণে এমপি মুনিরিয়া তাবলিগ কমিটি ধ্বংসের পাঁয়তারা করেন।

জানা গেছে, রাউজান উপজেলার সব ইটভাটা থেকে প্রতি বছর ফজলে করিম চৌধুরীকে ২ লাখ টাকা করে দিতে হতো। এ ছাড়া উপজেলার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কাজের কাজের টেন্ডার পাওয়ার পর ঠিকাদারদের বাধ্যতামূলকভাবে এমপিকে ২০ শতাংশ কমিশন দিতে হয়েছে।

অন্যের জায়গা দখল করে গড়ে তুলেছেন বাগানবাড়ি: রাউজানের সাবেক এমপি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর রয়েছে ২০ একর ভূমির ওপর বাগানবাড়ি। এই বাগানবাড়ির পাশে ২ একর জায়গায় নতুন করে গড়া পেট্রোল পাম্পের দ্বিতল ভবন দখলে নিয়েছিলেন তিনি। দখল পাকাপোক্ত করতে গড়তে চান মাদ্রাসা। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর স্থানীয় লোকজন এই পেট্রোল পাম্প এলাকায় রাউজান ওলামা কল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে।

বাগানবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বখতিয়ার উদ্দিন ফকির গণমাধ্যমে বলেন, ‘জায়গা-জমি দখল, অস্ত্রের মুখে জমি রেজিস্টারি, ঘর ভাঙচুর, লুটপাট ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজতবাস করানোর হোতা ছিলেন সাবেক এই সাংসদ। তিনি আমার প্রায় তিন একর জায়গা জোরপূর্বক দখল করে বাগানবাড়ি সম্প্রসারণ করেছেন। বিনামূল্যে জায়গা রেজিস্টারি না দেওয়ায় আমার ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়। আমি পার্শ্ববর্তী উপজেলায় পালিয়ে বাঁচতে পারলেও তার মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে পারিনি। পরে পুলিশ দিয়ে হাটহাজারী উপজেলার নজুমিয়া হাট থেকে আটক করে আমাকে অস্ত্র দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে সে। সরকার পতন হলে দীর্ঘ একযুগ পর বাড়িতে আসি আমি।’

মতের অমিল হলেই ছাড়তে হতো এলাকা: সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরীর নির্যাতন নিপীড়নে গত ১৫ বছরে এলাকা ছাড়া হয়েছেন কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী। তরীকতভিত্তিক সংগঠন মুনিরিয়া যুব তবলীগ কমিটিরও শতাধিক কর্মীকে এলাকাছাড়া করেছেন তিনি। বাদ যাননি নিজ দলীয় নেতাকর্মীরা। উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. শেখ শফিউল আজম, নাজিম উদ্দীন তালুকদার, ইয়াছিন মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন খান, সাধন মুহুরী, চন্দন দে, শান্তি পদ বৈদ্যসহ অসংখ্য নেতাকর্মী ছিলেন এলাকাছাড়া। এদের মধ্যে দেবাশীষ পালিত নির্বাচিত হওয়ার পরও পাঁচ বছর পৌর মেয়রের চেয়ারে বসতে পারেননি। সাবেক এই এমপির রোষানলের শিকার হয়ে হামলা মামলায় জেল হাজতে যেতে হয়েছে বিএনপির সাবের সুলতান কাজল, রেজাউল রহিম আজম, রাসেল খান, মোহাম্মদ রিপন, জানে আলম, নুরুল ইসলাম মেম্বার সহ অনেক নেতাকর্মীকে।

উন্নয়ন কাজে এমপির চাঁদাবাজি: গত ১৫ বছরে রাউজানে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে। এসব উন্নয়ন কাজের জন্য ফজলে করিম চৌধুরীকে ২০ শতাংশ হারে কমিশন দিতে হয়েছে ঠিকাদারদের। এসব উন্নয়ন কাজ বন্টন করতেন এমপির মনোনীত উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক বিএনপি নেতা শাহাজান ইকবাল। নিয়ম অনুসারে পত্রিকায় উন্নয়ন কাজের দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি আহবান করলেও কোন ঠিকাদার উম্মুক্ত টেন্ডারে অংশ নিতে পারতো না। নিজ দলীয় নেতাকর্মীরা ঠিকাদারি ব্যবসা করতে চাইলেও নিদিষ্ট ব্যক্তিকে ছাড়া কাজ করতে দেওয়া হতোনা। সেই কারণে সাধারণ নেতাকর্মীরা সাথে নেতার দুরুত্ব বাড়তে থাকে। সড়ক ও জনপদ বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্থানীয় সরকার বিভাগ, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তর হতে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে কমিশন বাণিজ্য হয়ছিল প্রায় ৫ শত কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি চার লেন সড়ক। ছবি: সংগৃহীত

কমিশন বাণিজ্য চলা এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম- রাঙামাটি সড়কের হাটহাজারী হতে রাবার বাগান পর্যন্ত চার লেন সড়ক, হালদা নদীর বেড়িবাঁধ, হাফেজ বজলুল রহমান সড়ক, শহিদ জাফর সড়ক, অদুদিয়া সড়ক, ইছাপুর সড়ক, হলদিয়া ভিলেজ রোড়, হালদা ব্রিজ, উপজেলা পরিষদ ভবণ, শেখ কামাল কমপ্লেক্সে, ১৪ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে, চারটি চারতলা বিশিষ্ট কলেজ ভবন, শিল্প নগর, ট্রমা সেন্টার, দুইটি পিংক সিটি, ২৬ মেগা ওয়ার্ড বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পলিটেকনিকেল স্কুল, দুইটি থানা ভবণ অন্যতম।

Header Ad

অনুশোচনায় ভুগছেন পরীমণি

চিত্রনায়িকা পরীমণি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। সবসময় অভিনয়ের চেয়ে তার ব্যক্তিজীবন নিয়েই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। সংসার করার আশায় ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক শরীফুল রাজকে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সে সংসারও টেকেনি বেশিদিন।

এদিকে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাই ছেলে পুণ্যকে পরিপূর্ণ সময় দিচ্ছেন এই অভিনেত্রী। এর মধ্যেই এক কন্যাসন্তান দত্তক নেন পরীমণি। বর্তমানে দুই সন্তানকে নিয়ে সুখেই জীবন কাটাচ্ছেন এই নায়িকা।

কাজের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব থাকেন পরীমণি। প্রায়ই বিভিন্ন ভিডিও, ছবি কিংবা পোস্ট দেন তিনি, যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে নেটিজেন আর ভক্তদের মধ্যে। এবার পরী জানালেন, বড় একটা ভুল করে অনুশোচনায় ভুগছেন তিনি। সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন পরীমণি। একইসঙ্গে ভক্তদেরও সতর্ক করে নিজের ঘটনা তুলে ধরেন।

দীর্ঘ সেই পোস্টে পরী লিখেছেন, ‘একটা ভুল করেছি আমি। আমার এই পোষ্যর নাম পুটু। অনেকেই দেখে থাকবেন হয়তো। পুটু আমার সঙ্গে আছে ১০ বছর ধরে! আমার ছেলে হবার আগে ও সবসময় আমার সঙ্গে ঘেঁষে থাকত। আমার কোলের মধ্যে ঘুমাত। আমার ছেলে আসার পর থেকে পুটুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাই না।’

পরী বলেন, ‘ছেলে আসার পরই পুটুর বিছানা আলাদা হয়ে গেল। প্রথম দিকে খুব কষ্ট হচ্ছিল মানিয়ে নিতে। তারপর আস্তে আস্তে একটা সময় মানিয়ে নিল। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে একটা দূরত্ব হয়ে গেল।’

পরী লিখেছেন, ‘এরপর যখন আমার ছেলে হাঁটা শুরু করল, তখন ফ্লোরে ছেলের সঙ্গে পুটুও দৌড়ে ওর কাছে আসতে চাইত। আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম, পুটু যদি কামড় দিয়ে দেয় বা ওর ডাকে ছেলে যদি ভয় পায়। সে-ই ভেবে পুটুকে ছেলের সামনেই ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দিতাম। আজকাল হঠাৎ আমি খেয়াল করলাম, ছেলেও পুটুর সঙ্গে দূর দূর করতে থাকে। পুটুকে দেখলেই বলে, ‘এই পুটু, যাও যাও।’ আমি বুঝতে পারলাম, এটা আমারই ভুল। বাচ্চা যা দেখবে, তা-ই তো শিখবে!’

পরী আরও লিখেন, এরপরও নতুন বিপত্তি বাঁধলো! আরও একটা বড় ভুল হয়ে গেল! যেটা আমাকে অনেক গিল্টিতে ফেলে দিলো। ছেলে সব খেলনা ছেড়ে এখন যখন পুটুর সঙ্গে থাকতে চায়, পুটুর সঙ্গেই খেলতে চায়, তখন দেখলাম পুটুর ভয়টা কাটেনি! আমি চেষ্টা করছি...হয়তো ওর ভয় কাটিয়ে উঠবে।

শেষে পরী ভক্তদের উদ্দেশে লিখেন- আমার মতো এই ভুল কেউ করবেন না আশা করি। বোবা প্রাণী আর বাচ্চারা দুটোই ভীষণ কোমলমতি প্রাণ। বুঝতে দেরি হয়ে গেলো আমার!

উল্লেখ্য, দুই সন্তান ছাড়াও পরীমণির সংসারে রয়েছে একটি পোষ্য, তার নাম পুটু। প্রায় ১০ বছর যাবৎ নায়িকার বাড়িতেই বেড়ে উঠেছে এই প্রাণীটি।

Header Ad

ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার (ইনসটে: সাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা)। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। ভারতের সঙ্গে দেশটির দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অন্যান্য আঞ্চলিক ইস্যুর মধ্যে বাংলাদেশ নিয়েও আলোচনা হয়ে থাকে বলেও নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এই কথা বলেন তিনি। ব্রিফিংয়ে ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার’ প্রসঙ্গ টেনেও তাকে প্রশ্ন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক ম্যাথু মিলারে কাছে জানতে চান—‘গণহত্যা ও নৃশংসতার পর স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্টমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছিলেন এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে দেশের চ্যালেঞ্জগুলো বিবেচনা করে বাইডেন প্রশাসন কীভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চাইছে, সে বিষয়ে আপনাদের পর্যবেক্ষণ কী?’

জবাবে মিলার বলেন, এসব প্রশ্নে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং এই সব বিষয়ে অগ্রগতির জন্য আলোচনা অব্যাহত রাখতে আমরা উন্মুখ।

এরপরই এই সাংবাদিক ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন’— এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জংশঙ্কর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই ভবনে এসেছিলেন। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে রয়েছেন এবং সেখান থেকেই দেশটিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে—ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কোনও আলোচনা হয়েছিল কি-না।’

জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে এতটুকুই বলতে পারি—ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈঠকে বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক সমস্যাগুলো প্রায়ই উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কোনও তথ্য আমার কাছে নেই।

Header Ad

দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা

দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি (কেরু চিনিকল) এর টেন্ডার বাক্স ছিনতাই করে ভাঙচুরের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাত ২০/২৫ জন উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে কেরু কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে দর্শনা থানায় এ মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীর জানান, কেরু চিনিকলের টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুরের ঘটনায় কেরু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা দায়েরের জন্য একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এরপর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাত ৯ পৌনে ৯ টায় দর্শনা থানায় অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। যার নং- ০৬, তাং-০৮-১০-২৪ইং ধারা-১৪৩, ৪৪৮, ৩৭৯ ও ৪২৭।

সোমবার (৭ অক্টোবর) কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ২০২৪- ২০২৫ মাড়াই মৌসুম চালুর লক্ষ্যে ৯ টি খামার ও ডোঙ্গার  (কেইন কেরিয়ার) এর ঠিকাদারির টেন্ডার ড্রপের দিন ছিল। সকাল থেকেই সকল প্রকার সহিংসতা এড়াতে কেরু কর্তৃপক্ষ দর্শনা থানা পুলিশের একটি দল কেরু জেনারেল অফিসের নিচে উপস্থিত রেখেছিল। তারপরও টেন্ডার বাক্স খোলার পর বিএনপি ও যুবদলের নামধারী ২৫/৩০ জন দুর্বৃত্তরা মিলে কেরু জেনারেল অফিসের ৩য় তলায় উঠে টেন্ডার বাক্স নিচে নামিয়ে ভাঙচুর করে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অনুশোচনায় ভুগছেন পরীমণি
ভারতে বসে শেখ হাসিনার অপতৎপরতার প্রসঙ্গে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র
দর্শনা কেরু চিনিকলে টেন্ডার বাক্স ছিনতাই ও ভাঙচুর, থানায় মামলা
এনআইডির তথ্য ফাঁস: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
কাবা শরিফের গিলাফ উপহার পেলেন ধর্ম উপদেষ্টা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত
ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন ২৩ বিচারপতি নিয়োগ
সুনামগঞ্জের সাবেক এমপি মহিবুর রহমান গ্রেপ্তার
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৮১
মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ নম্বর স্টেশন অক্টোবরেই চালু হচ্ছে
আ. লীগের ‘নিরীহ’ নেতাকর্মীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়: রিজভী
মন্ত্রিপরিষদ সচিব হলেন ড. শেখ আব্দুর রশিদ
গ্রেপ্তারের দুই দিন পরই মুক্ত সাবের হোসেন চৌধুরী
পনের বছরের ঝঞ্ঝাট একদিনে পরিষ্কার হবে না: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
টাঙ্গাইলে ডিমের বাজারে অস্থিরতা, খামারিসহ তিন আড়তদারকে জরিমানা
পদত্যাগ করলেন পিএসসির চেয়ারম্যানসহ ১৩ সদস্য
শেখ হাসিনা ভারতে, দুবাইয়ে যাওয়ার খবর গুজব: সজীব ওয়াজেদ জয়
অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
আমরা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন চাই: ফারুক