বুধবার, ৬ নভেম্বর ২০২৪ | ২১ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০০ কোটির বাগানবাড়ি ঘুষ নেন আয়নাঘরের কারিগর জিয়াউল আহসান

জিয়াউল আহসান ও তার ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন করে একটি বিষয় সকলের সামনে হাজির হয়েছে তা হচ্ছে আয়নাঘর। যার বিভীষিকাময় বর্ণনা দিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী ব্যক্তি। আর সেই আয়নাঘরের কারিগর চাকরি হারানো বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অর্থবিত্তের পাহাড় গড়েছেন। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই জিয়াউল আহসান অল্প সময়েই বনে গেছেন বিপুল সম্পদের মালিক।

বহুল আলোচিত আয়নাঘর। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সেই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ির তথ্য বের হয়ে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর তিনি নির্মাণ করছেন দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি। দেশের প্রথমসারির একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম-খুনের নেপথ্যের নায়ক এই জিয়াউল আহসান। আলোচিত আয়নাঘরেরও মূল কারিগর তিনি। এ ছাড়া ফোনকলে আড়ি পাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করতেন জিয়াউল আহসান। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় যৌথ অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। গত ৭ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী এই সামরিক কর্মকর্তা।

গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বাগানবাড়ির বিশালাকৃতির জমি একাধিক দলিলে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে কিনে জিয়াউল আহসানকে উপঢৌকন হিসেবে দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। জমিগুলোর মালিকানা হস্তান্তরের বিভিন্ন স্তরে রফিকুল ইসলাম অথবা তার পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এদিকে, অবৈধ এই সম্পদের তথ্য গোপন করতে জিয়াউল আহসান বাগানবাড়ির জমিগুলো রেজিস্ট্রি করেছেন তার শিশুকন্যা তাসফিয়া আহসান জইতার নামে।

সম্প্রতি জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

দলিলে মাত্র ১২ বছর বয়সী জইতাকে নাবালিকা হিসেবে দেখানো হয়। অর্থাৎ জইতা শিশু থাকা অবস্থায় কোনো আয়ের উৎস না থাকলেও পিতা জিয়াউল আহসানের বদৌলতে শতকোটি টাকার বাগানবাড়ির মালিক বনে গেছে। আবার সেটি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেন জইতার পিতা জিয়াউল আহসান। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি থেকে এত বিশাল মূল্যের উপহার গ্রহণ মানে হলো জিয়াউল আহসান ওই ব্যক্তিকে বা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছেন, যেটি আইন ও বিধি বহির্ভূত।

অনুসন্ধানে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এনটিএমসির সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের নাবালিকা মেয়ে তাসফিয়া আহসান জইতার নামে একাধিক দলিলে কেনা হয়েছে বাগানবাড়ির পুরো জমি। এর মধ্যে বাগানবাড়ির জন্য প্রথম জমি রেজিস্ট্রি হয় ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর। ওই সময় জইতার বয়স ছিল ১২ বছর ৬ মাস ৬ দিন। দলিলে জইতার বাবা ও মায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যথাক্রমে জিয়াউল আহসান ও নুসরাত জাহান। আর জিয়াউল আহসানের বাবা ও মায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যথাক্রমে নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও হোসনে আরা বেগম।

১৩৬৮৮ নম্বর দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ০.৬০ একর বা ১.৮১৮ বিঘার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। দলিলে যার মূল্য দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। জইতা নাবালক হওয়ায় তার পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন পিতা জিয়াউল আহসান। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েমসাইর মৌজার আরএস ৮৬ দাগের ২.৫১ একর জমি থেকে ০.৬০ একর জমি জইতার নামে কেনা হয়। জমি ক্রয়ের অর্থ নগদ পরিশোধ করেন জিয়াউল আহসান। আর জমি বিক্রয়কারী হিসেবে দেখানো হয়েছে আব্দুর রহীম, রফিকুল ইসলাম, আবদুল বারেক, বেবী আক্তারসহ মোট আটজনকে।

জিয়াউল আহসানের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মে জিয়াউল আহসানের শিশুকন্যা তাসফিয়া আহসান জইতার নামে বর্তমান বাগানবাড়ির ০.৯০ একর বা ২.৭২৭ বিঘা জমির রেজিস্ট্রি হয়, রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যার দলিল নম্বর ৬৩৮৮। দলিলে জমির মূল্য দেখানো হয় ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ জমিটির আমমোক্তার হিসেবে ছিলেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছেলে কাওসার আহম্মেদ অপু। নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুটি তফসিলে কায়েতসাইর মৌজার ২০৯২ খারিজা খতিয়ান ও ২০৯১ জোত থেকে ০.৬০ একর এবং ১৪৯০ খারিজা খতিয়ান ও ১৪৮৯ জোত থেকে ০.৩০ একর জমি কেনা হয়। জমির বিক্রেতা হিসেবে দেখান মো. জাহিদ হোসেন, তানভীর হোসেন, ফারহানা হোসেন ও হাজী হাসমত আলীকে। এখানে মেয়ের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন জিয়াউল আহসান।

২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি তাসফিয়া আহসান জইতার নামে বাগানবাড়ির ০.৬৬৭ একর জমি রেজিস্ট্রি হয়, যার দলিল নম্বর ১০৯০। দলিলে মূল্য দেখানো হয়েছে ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বরুনা মৌজায় ০.২৩৭ একর, নাওড়া মৌজায় ০.১৭ একর ও বসুলিয়া মৌজায় ০.২৬ একর জমি রয়েছে। এই জমিতেও আমমোক্তার ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে কাওসার আহম্মেদ অপু। জমিটি কেনা হয় মো. হোসেন আলী, হাশেম আলীসহ মোট ১৮ জনের কাছ থেকে। যথারীতি এখানেও মেয়ের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন জিয়াউল আহসান।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, এক প্লটে বিশাল আকৃতির বাগানবাড়ি নির্মাণের জন্য ধাপে ধাপে লাগোয়া জমিগুলোও কেনেন রফিকুল ইসলাম। জিয়াউল আহসানকে উপহার দিতেই তিনি জমিগুলোর মালিকদের সঙ্গে দেনদরবার করে বিক্রি করতে বাধ্য করেন। কেউ জমি বিক্রিতে রাজি না হলে জিয়াউল আহসানের নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে গুম করার হুমকি দিয়ে জমি বিক্রিতে বাধ্য করেছেন রফিকুল ইসলাম। শতকোটি টাকা মূল্যের এই বাগানবাড়ির জমি কোনো টাকা না নিয়েই জিয়াউল আহসানের শিশুকন্যার নামে কেনেন রফিকুল ইসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, জিয়াউল আহসানকে এই বাগানবাড়িটি দিয়ে রফিকুল ইসলাম এলাকার সাধারণ মানুষের ভূমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। তা না হলে জিয়াউল আহসানকে দিয়ে তাদের তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। মূলত রফিকুল ইসলাম এই বাগানবাড়িটি উপহার দিয়েছেন তার দখলদারি নির্বিঘ্নে করার জন্য। জিয়াউল আহসানের বাগানবাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকাবাসী সেখানে হামলা চালিয়ে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তার গ্রেফতারের পর থেকে বাগানবাড়ির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা কলেজের সামনে ছাত্র ও হকার নিহতের মামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ আগস্ট সিএমএম কোর্টে হাজির করা হলে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, জিয়াউল আহসানের জন্ম ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর, ঝলকাঠি জেলায়। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক কর্মকর্তা হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও স্কাইডাইভার। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়াউল আহসান।

Header Ad

স্বৈরাচার পালিয়েছে, তবে দেশে এখনো ক্রান্তিকাল বিদ্যমান: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও বাংলাদেশ এখনো ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। প্রশাসনের অভ্যন্তরে থাকা স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে যশোরে বিএনপির প্রয়াত নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণসভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তারেক রহমান বলেন, বিএনপি দেশের সংস্কার চায়। তবে শুধু শব্দ বা ভাষার পরিবর্তন নয়, এমন সংস্কার চাই যা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনবে। তিনি মনে করেন, মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এই সংস্কারের পথ চলা থামানো উচিত নয়। রাজনীতির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, আর বিএনপি তার ৩১ দফার মাধ্যমে এ সংগ্রামে প্রতিটি নাগরিকের জন্য কাজ করছে।

তারেক রহমান প্রয়াত তরিকুল ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি সারাজীবন মা-মাটি-মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। নতুন প্রজন্মকে তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। যারা রাজনীতিকে ব্যক্তিগত লাভের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন, তাদের পতন এ জাতি প্রত্যক্ষ করেছে। তারেক আরো বলেন, ছাত্র-জনতার মহাবিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার উৎখাত হয়েছে, কিন্তু তাদের সহযোগী ও প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি জাতীয়তাবাদের আদর্শে বিশ্বাসীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

তারেক রহমান বলেন, ভুল বোঝাবুঝি দূর করে গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে হবে। কেবল সংবিধানের কিছু শব্দের পরিবর্তনে সংস্কার সম্ভব নয়, বরং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপির ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্যই বিএনপি এই ৩১ দফা প্রস্তাবনা সামনে এনেছে এবং দলটি সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে।

তরিকুল ইসলামের আদর্শ ও ত্যাগের কথা স্মরণ করে তারেক বলেন, তিনি কখনো নিজের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। স্বৈরাচার এরশাদের আমলে ও পরবর্তীতে ওয়ান-ইলেভেনের সময়েও তিনি কারাভোগ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তরিকুল ইসলামের সাথে কারাগারে কাটানো কিছু মুহূর্তের কথা স্মরণ করে তারেক বলেন, সেই সময় তিনি তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে অনেক সাহস পেয়েছিলেন।

স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন। বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যশোর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া মরহুম তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী ও বিএনপি নেত্রী নার্গিস বেগম এবং তাঁর দুই সন্তান শান্তুনু ইসলাম সুমিত ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিত উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে তরিকুল ইসলামের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। পরীক্ষা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি উপ-কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে রাবি ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৫ সালের ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল তারিখে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

১৪ নভেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি কমিটির সভায় এই সুপারিশ বিবেচনা করা হবে। ঐ সভায় ভর্তি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়েও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়েছে।

Header Ad

আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক মাস যাবৎ ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিম আক্তার ( ১৭) নামের এক গৃহবধুর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ছড়াচ্ছিলেন হেলাল উদ্দিন সরদার নামের ( ২৭) এক যুবক।

আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় ৪নভেম্বর (সোমবার ) রাতে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মিম আক্তার। পরে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায় মিম। মীম আক্তার নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার মালশন গ্রামের আসাদুল প্রামানিক এর মেয়ে। আর অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদার একই এলাকার আঁকনা গ্রামের মকলেছুর রহমান সরদার এর ছেলে।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে আঁকনা গ্রামের মকলেছুর রহমান সরদারের ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল উদ্দিন সরদার এর সাথে একই এলাকার মালশন গ্রামের আসাদুল প্রামানিক এর মেয়ে মিম আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৭মাসের মাথায় পারিবারিক কলহের জেরে গত ৭জুলাই দু’জনের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তার পর থেকেই হেলাল “মিম আক্তার” শিরোনামে একটি ফেসবুক আইডি খুলে সেখানে মিমের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করতে থাকে। শুধু ফেসবুকই নয় হোয়াইটস অ্যাপস সহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মিমের অন্তরঙ্গ ছবি ও ভিডিও পোষ্ট করে। এমনকি মিমের হোয়াইস আ্যপে এসব ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে তাকে উত্যক্ত করে হেলাল । পরে মিম তার ব্যবহৃত ফোনটি ভেঙ্গে ফেলে। ঘটনাটি পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে অভিমান করে সোমবার রাত ৮টার দিকে বিষ পান করে (পোকামাকড় নিধনের বিষ) আত্নহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে পরিবারের লোকজনসহ স্থানীয়রা উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টার দিকে মারা যায় মিম।

মিমের বাবা আসাদুল প্রামানিক বলেন, আমার মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই হেলাল নানাভাবে বিরক্ত ও উত্যক্ত করে আসছিল। তার নামে ফেসবুক আইডি খুলে নানা রকম ছবি ও ভিডিও পোস্ট করতো। আমার মেয়েকেও হোয়াইটস অ্যাপে সেসব দিয়ে ভয়ভূতি ও হুমকি দিয়ে বলতো তোর জীবন শেষ করে দিবো। এসব জানাজানি হলে আমার মেয়ে সবার অজান্তে ঘরে বিষ খায়। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মেয়েটা মারা যায়। এসব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে আমার মেয়েকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করা হয়েছে। অপমান ও অভিমানে মেয়েটা আত্নহত্যা করেছে। হেলালসহ যারাই জড়িত থাক,তাদের সবার কঠিণ শাস্তি চাই। আমরা থানায় মামলা করবো।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত হেলাল উদ্দিন সরদারের পরিবারের লোকজন। গ্রামের বাড়ি আঁকনাতে গিয়েও তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলাল এর সাথেও যোগাযোগ করার চেষ্টাও তা সম্বব হয়নি।

নওগাঁ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফজলুল হক নয়ন বলেন, মিম বিষ পান করার পর বেশ কয়েক ঘন্টা পর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা আমাদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদান করেছি। পরবর্তীতে রাজশাহী বা বগুড়া নিয়ে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছিলাম। তবে এখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যায়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাণীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) তারিকুল ইসলাম বলেন, মালশন গ্রামের মিম আক্তার নামের একজন বিষপান করে। পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আবস্থান মারা গেছেন। যেতেতু নওগাঁ সদর হাসপাতালে মারা গেছেন যার কারনে সদর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

স্বৈরাচার পালিয়েছে, তবে দেশে এখনো ক্রান্তিকাল বিদ্যমান: তারেক রহমান
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় গৃহবধূর আত্মহত্যা
সম্মেলন শেষে ঢাবি পরিচ্ছন্নতা অভিযান করেছে তাবলিগের সাথীরা
বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হলেন সালাহউদ্দিন
আরও ২৯ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
কৃষক বাবাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে পুলিশের এএসপি হন শতকোটি টাকার মালিক হারুন
হত্যা মামলার আসামি হয়েও পাসপোর্ট পেতে যাচ্ছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রদলের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা
শেখ হাসিনা কীভাবে ভারতে আছেন, জানতে চাইলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী
মানুষ আগেও ভোটারবিহীন সরকারকে মানেনি, এখনও মানবে না: মির্জা আব্বাস
মাওলানা সাদকে দেশে আসতে দিলে অন্তর্বর্তী সরকারের পতন
সরকারি অনুষ্ঠানে স্লোগান ও জয়ধ্বনি থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা
বেনাপোল স্থলবন্দরে ভোক্তা অধিকারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গুম কমিশনে জমা পড়েছে ১৬০০ অভিযোগ, সবচেয়ে বেশি র‌্যাবের বিরুদ্ধে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হত্যার হুমকি, থানায় জিডি
মালয়েশিয়ায় বন্দিশিবির থেকে ছয় বাংলাদেশিকে উদ্ধার, মানবপাচার চক্র আটক
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ১ টাকা
বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে হাইকোর্টের জাতীয় কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন নয়
বাংলাদেশে ইজতেমা একবারই হবে, দুবার নয়: মহাসম্মেলনে বক্তারা