রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১০০ কোটির বাগানবাড়ি ঘুষ নেন আয়নাঘরের কারিগর জিয়াউল আহসান

জিয়াউল আহসান ও তার ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নতুন করে একটি বিষয় সকলের সামনে হাজির হয়েছে তা হচ্ছে আয়নাঘর। যার বিভীষিকাময় বর্ণনা দিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী ব্যক্তি। আর সেই আয়নাঘরের কারিগর চাকরি হারানো বিতর্কিত সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ক্ষমতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অর্থবিত্তের পাহাড় গড়েছেন। তৎকালীন সরকারের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার মতোই জিয়াউল আহসান অল্প সময়েই বনে গেছেন বিপুল সম্পদের মালিক।

বহুল আলোচিত আয়নাঘর। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া সেই মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ির তথ্য বের হয়ে এসেছে। নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার কায়েতপাড়া ইউনিয়নে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর তিনি নির্মাণ করছেন দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি। দেশের প্রথমসারির একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানা গেছে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন ব্যক্তিকে গুম-খুনের নেপথ্যের নায়ক এই জিয়াউল আহসান। আলোচিত আয়নাঘরেরও মূল কারিগর তিনি। এ ছাড়া ফোনকলে আড়ি পাতা, মানুষের ব্যক্তিগত আলাপ রেকর্ড করতেন জিয়াউল আহসান। শাপলা চত্বরে হেফাজতের ঘটনায় যৌথ অভিযানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। গত ৭ আগস্ট গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেলে আছেন শেখ হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী এই সামরিক কর্মকর্তা।

গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ২০১৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে বাগানবাড়ির বিশালাকৃতির জমি একাধিক দলিলে বিভিন্ন ব্যক্তি থেকে কিনে জিয়াউল আহসানকে উপঢৌকন হিসেবে দেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। জমিগুলোর মালিকানা হস্তান্তরের বিভিন্ন স্তরে রফিকুল ইসলাম অথবা তার পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এদিকে, অবৈধ এই সম্পদের তথ্য গোপন করতে জিয়াউল আহসান বাগানবাড়ির জমিগুলো রেজিস্ট্রি করেছেন তার শিশুকন্যা তাসফিয়া আহসান জইতার নামে।

সম্প্রতি জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

দলিলে মাত্র ১২ বছর বয়সী জইতাকে নাবালিকা হিসেবে দেখানো হয়। অর্থাৎ জইতা শিশু থাকা অবস্থায় কোনো আয়ের উৎস না থাকলেও পিতা জিয়াউল আহসানের বদৌলতে শতকোটি টাকার বাগানবাড়ির মালিক বনে গেছে। আবার সেটি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে নেন জইতার পিতা জিয়াউল আহসান। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি থেকে এত বিশাল মূল্যের উপহার গ্রহণ মানে হলো জিয়াউল আহসান ওই ব্যক্তিকে বা প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দিয়েছেন, যেটি আইন ও বিধি বহির্ভূত।

অনুসন্ধানে পাওয়া নথি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এনটিএমসির সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের নাবালিকা মেয়ে তাসফিয়া আহসান জইতার নামে একাধিক দলিলে কেনা হয়েছে বাগানবাড়ির পুরো জমি। এর মধ্যে বাগানবাড়ির জন্য প্রথম জমি রেজিস্ট্রি হয় ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর। ওই সময় জইতার বয়স ছিল ১২ বছর ৬ মাস ৬ দিন। দলিলে জইতার বাবা ও মায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যথাক্রমে জিয়াউল আহসান ও নুসরাত জাহান। আর জিয়াউল আহসানের বাবা ও মায়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে যথাক্রমে নাসির উদ্দিন আহম্মেদ ও হোসনে আরা বেগম।

১৩৬৮৮ নম্বর দলিল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ০.৬০ একর বা ১.৮১৮ বিঘার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। দলিলে যার মূল্য দেখানো হয়েছে ২৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা। জইতা নাবালক হওয়ায় তার পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন পিতা জিয়াউল আহসান। রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কায়েমসাইর মৌজার আরএস ৮৬ দাগের ২.৫১ একর জমি থেকে ০.৬০ একর জমি জইতার নামে কেনা হয়। জমি ক্রয়ের অর্থ নগদ পরিশোধ করেন জিয়াউল আহসান। আর জমি বিক্রয়কারী হিসেবে দেখানো হয়েছে আব্দুর রহীম, রফিকুল ইসলাম, আবদুল বারেক, বেবী আক্তারসহ মোট আটজনকে।

জিয়াউল আহসানের ১০০ কোটি টাকা মূল্যের বাগানবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মে জিয়াউল আহসানের শিশুকন্যা তাসফিয়া আহসান জইতার নামে বর্তমান বাগানবাড়ির ০.৯০ একর বা ২.৭২৭ বিঘা জমির রেজিস্ট্রি হয়, রূপগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে যার দলিল নম্বর ৬৩৮৮। দলিলে জমির মূল্য দেখানো হয় ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এ জমিটির আমমোক্তার হিসেবে ছিলেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের ছেলে কাওসার আহম্মেদ অপু। নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, দুটি তফসিলে কায়েতসাইর মৌজার ২০৯২ খারিজা খতিয়ান ও ২০৯১ জোত থেকে ০.৬০ একর এবং ১৪৯০ খারিজা খতিয়ান ও ১৪৮৯ জোত থেকে ০.৩০ একর জমি কেনা হয়। জমির বিক্রেতা হিসেবে দেখান মো. জাহিদ হোসেন, তানভীর হোসেন, ফারহানা হোসেন ও হাজী হাসমত আলীকে। এখানে মেয়ের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন জিয়াউল আহসান।

২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি তাসফিয়া আহসান জইতার নামে বাগানবাড়ির ০.৬৬৭ একর জমি রেজিস্ট্রি হয়, যার দলিল নম্বর ১০৯০। দলিলে মূল্য দেখানো হয়েছে ২৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে বরুনা মৌজায় ০.২৩৭ একর, নাওড়া মৌজায় ০.১৭ একর ও বসুলিয়া মৌজায় ০.২৬ একর জমি রয়েছে। এই জমিতেও আমমোক্তার ছিলেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম রফিকের ছেলে কাওসার আহম্মেদ অপু। জমিটি কেনা হয় মো. হোসেন আলী, হাশেম আলীসহ মোট ১৮ জনের কাছ থেকে। যথারীতি এখানেও মেয়ের পক্ষে দলিলে স্বাক্ষর করেন জিয়াউল আহসান।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, এক প্লটে বিশাল আকৃতির বাগানবাড়ি নির্মাণের জন্য ধাপে ধাপে লাগোয়া জমিগুলোও কেনেন রফিকুল ইসলাম। জিয়াউল আহসানকে উপহার দিতেই তিনি জমিগুলোর মালিকদের সঙ্গে দেনদরবার করে বিক্রি করতে বাধ্য করেন। কেউ জমি বিক্রিতে রাজি না হলে জিয়াউল আহসানের নাম ব্যবহার করে তুলে নিয়ে গুম করার হুমকি দিয়ে জমি বিক্রিতে বাধ্য করেছেন রফিকুল ইসলাম। শতকোটি টাকা মূল্যের এই বাগানবাড়ির জমি কোনো টাকা না নিয়েই জিয়াউল আহসানের শিশুকন্যার নামে কেনেন রফিকুল ইসলাম।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসী জানায়, জিয়াউল আহসানকে এই বাগানবাড়িটি দিয়ে রফিকুল ইসলাম এলাকার সাধারণ মানুষের ভূমি নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য করতেন। তা না হলে জিয়াউল আহসানকে দিয়ে তাদের তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হতো। মূলত রফিকুল ইসলাম এই বাগানবাড়িটি উপহার দিয়েছেন তার দখলদারি নির্বিঘ্নে করার জন্য। জিয়াউল আহসানের বাগানবাড়িতে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর এলাকাবাসী সেখানে হামলা চালিয়ে নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। তার গ্রেফতারের পর থেকে বাগানবাড়ির নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে।

সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আলোচিত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঢাকা কলেজের সামনে ছাত্র ও হকার নিহতের মামলায় ইন্ধনদাতা হিসেবে ৭ আগস্ট রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ১৬ আগস্ট সিএমএম কোর্টে হাজির করা হলে আদালত তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

উল্লেখ্য, জিয়াউল আহসানের জন্ম ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর, ঝলকাঠি জেলায়। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পদাতিক কর্মকর্তা হিসেবে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও স্কাইডাইভার। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থা, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে (এনটিএমসি) দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়াউল আহসান।

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক

ছবি: সংগৃহীত

গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বাহিনীর চলমান অভিযানের মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। দখলদার বাহিনীর সঙ্গে হামাস ও ইসলামী জিহাদ প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সংঘর্ষে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাবালিয়া শরণার্থী শিবির এবং এর আশপাশের এলাকায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে অন্তত ৩৫ জন ইসরাইলি সেনা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষের এই ঘটনা দখলদার বাহিনীর জন্য বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এছাড়া ইসরাইলি সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুসারে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের ৭০ শতাংশ ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।

দখলদার সেনারা ৯৬,০০০ ফিলিস্তিনি নাগরিককে জাবালিয়া শিবির ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় একটি গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। এ আগ্রাসন শুরু হয় হামাসের ঐতিহাসিক অভিযানের প্রতিক্রিয়ায়। যা ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদারদের বাড়তে থাকা অত্যাচার-নিপীড়নের জবাব হিসেবে পরিচালিত হয়।

এরপরই ইসরাইল গাজার ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে এবং গণহত্যামূলক নির্মূল অভিযান শুরু করে। উপত্যকাটিতে ২০ লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনি বাস করত। তাদের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

গাজায় গত ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত মোট ৪৫,২৫৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০৭,৬২৭ জন।

রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অব্যাহত ইসরাইলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক
সুরের জাদুতে ঢাকার মঞ্চ মাতালেন রাহাত ফতেহ আলী খান